অনন্য, রেহান ও রাত্রি খুব ভালো বন্ধু। এই বন্ধুত্বের বাইরেও তাদের মধ্যে অবচেতন মনে ভালোবাসাবাসি চলে গোপনে। রাত্রি যেমন রেহানের জন্য ভেতরে ভেতরে এক ধরণের টান অনুভব করে, রেহানও তেমনি রাত্রিকে নিয়ে রচনা করে অনেক স্বপ্নের গান। সাহিত্যের ভাষায় যেটাকে বলে ত্রিভূজ প্রেম।
এদিকে অনন্যও রাত্রিকে নিজের রাজ্যের রানির আসনে বসিয়ে রেখেছে। অবশ্য অনন্যর প্রতি রাত্রির আলাদা কোন টান নেই। অনন্যকে সে শুধুই বন্ধু ভাবে। এরই মধ্যে উজানের ঢেউ এসে পাল্টে দেয় রাত্রির জীবন। সে বাধ্য হয় অনন্যকে বিয়ে করতে। এক সময় অনন্যকে মেনে নিয়ে সংসারও শুরু করে। তবে দাম্পত্য জীবনের অশুভ টানাপোড়েনে এক সময় স্ত্রী রাত্রিকে খুন করে পলাতক হয়ে যায় অনন্য।
কি, গল্প পছন্দ হয়েছে তো? তবে গল্পের বাকিটা দেখতে হবে টেলিভিশনের পর্দায়। কেননা, এমনই গল্প নিয়ে সম্প্রতি নির্মিত হয়েছে একটি টেলিফিল্ম। নাম ‘ভালোবাসা..চোখের জল’। সাংবাদিক রকিব হোসেনের রচনা ও গাঙচিল-এর প্রযোজনায় টেলিফিল্মটি পরিচালনা করেছেন এস. এস. কামরুজ্জামান সাগর।
‘ভালোবাসা..চোখের জল’-এর বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন কল্যাণ কোরাইয়া, সালহা খানম নাদিয়া, নিলয় আলমগীর, শিখা মৌ, আজম খান, জিয়া উদ্দিন জিয়া, প্রিমা, আমিনুল ইসলাম অপু, সাবিহা রুসা, শাহিন, তাহসান বর্ন, ফয়জুন নেসা লুনা, রবিউল ইসলাম রনি, চামেলি সিনহা, রবিউল ও শাকিলসহ আরো অনেকে। আসছে ঈদুল ফিতরে এটি একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলে প্রচারিত হবে।
টেলিফিল্মটি সম্পর্কে নির্মাতা কামরুজ্জামান সাগর বলেন, ‘প্রেম বা ভালোবাসার গল্পের কোনো পরিবর্তন হয় না। এটা সনাতন। তেমনই এক ভালোবাসার কাহিনি নিয়ে এই টেলিফিল্মটি নির্মিত হয়েছে। তবে গল্পের মোচড়গুলো দর্শকরা দারুণ উপভোগ করবেন। যারা এতে অভিনয় করেছেন, সবাই নিজেদের মেলে দিয়ে কাজ করেছেন। আমি আশাবাদী কাজটি দর্শকপ্রিয়তা পাবে।’
অভিনেতা কল্যাণ কোরাইয়া বলেন, ‘গল্পের ভাবনাটা চিরকালের। কিন্তু গল্পের ভেতরের নানা রকম বাঁক আমাকে মুগ্ধ করেছে। কাজটি করে আমি খুবই সন্তুষ্ট।’ নিলয় বলেন, ‘সাগর ভাই চেষ্টা করেছেন গল্প অনুযায়ী কাজটি ভালোভাবে শেষ করতে।’
সালহা খানম নাদিয়া বলেন, ‘বলা যায় এই টেলিফিল্মের গল্পটা আমাকে কেন্দ্র করেই। জীবন চলার পথে এক অন্যরকম পরিস্থিতির মুখোমুখি হই আমি। আগের চেয়ে আমি আমার কাজে অনেক বেশি সিরিয়াস। তাই যথারীতি চেষ্টা করেছি মন দিয়ে কাজটি করার।’