1. rajubdnews@gmail.com : 24jibonnews : admin
শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫, ০৪:১৮ অপরাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদ:
দাম নিয়ে আড়তদারদের আশ্বস্ত করলেন ট্যানারি মালিকরা শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় এখন ভারতে লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা ও তারেক রহমানের মধ্যকার বৈঠকে নির্বাচন ও সংস্কার ইস্যু গুরুত্ব পাবে ভারতের বিধ্বস্ত বিমানে বিদেশি আরোহী ছিলেন ৬১ জন ভারতের বিধ্বস্ত হওয়া বিমানটিতে ছিলেন গুজরাটের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানি ভারতের গুজরাটের আহমেদাবাদে ২৪২ জন আরোহী নিয়ে বিমান বিধ্বস্ত একই ফ্লাইটে ঢাকা ছাড়লেন দুই ফুটবলার হামজা চৌধুরী ও শমিত সোম লস অ্যাঞ্জেলেসে কারফিউ জারির! রাস্তায় লোক জড়ো হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে গণগ্রেফতার ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি শেষে রাজধানীতে ফিরতে শুরু করেছেন কর্মজীবী মানুষ যুক্তরাজ্য সফরের শুরুতেই কর্মব্যস্ত দিনে পার করলেন প্রধান উপদেষ্টা

এবার মিয়ানমারের কাচিন থেকে পালাচ্ছে খ্রিস্টানরা

প্রতিনিধির নাম :
  • আপডেট এর সময় : রবিবার, ২৯ এপ্রিল, ২০১৮

মিয়ানমারের রাখাইন থেকে সেনাবাহিনীর নির্যাতনে যেভাবে লাখ লাখ রোহিঙ্গা পালাতে বাধ্য হয়েছিল ঠিক একইভাবে দেশটির উত্তরাঞ্চলের প্রদেশ কাচিন থেকেও সেনাবাহিনীর নির্যাতনের মুখে পালাতে বাধ্য হচ্ছে হাজার হাজার খ্রিস্টান।

রোহিঙ্গা সঙ্কটের কারণে উত্তরের কাচিন বিদ্রোহীদের সঙ্গে সেনাবাহিনীর সংঘাতের খবর সম্প্রতি খুব একটা নজরে আসেনি। কিন্তু সেখানে যুদ্ধ হঠাৎ করে তীব্র হয়ে ওঠায় হাজার হাজার বেসামরিক মানুষ পালিয়ে যাচ্ছে।

মিয়ানমারের সরকারি বাহিনী কাচিন ইন্ডিপেন্ডেস আর্মির যোদ্ধাদের অবস্থানগুলোর ওপর বিমান হামলা এবং কামানের গোলাবর্ষণ করছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। এর ফলে হাজার হাজার লোক ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে চীন সীমান্ত সংলগ্ন এলাকাগুলোয় আশ্রয় নিচ্ছে। জাতিসংঘ বলছে, এ বছর অন্তত ১০ হাজার লোক ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে। আর শুধু এপ্রিল মাসেই সেখান থেকে পালিয়েছে চার হাজারের মতো খ্রিস্টান।

কাচিন জনগোষ্ঠীর লোকেরা প্রধানত খ্রিস্টান এবং ১৯৬১ সাল থেকে তারা বৌদ্ধ-সংখ্যাগরিষ্ঠ মিয়ানমারে স্বায়ত্বশাসিত এলাকা প্রতিষ্ঠার দাবিতে লড়াই করে যাচ্ছে। কেআইএ বিদ্রোহীদের হাতে প্রচুর অস্ত্রশস্ত্র আছে এবং তারা অন্যতম শক্তিশালী একটি বিদ্রোহী গ্রুপ বলে মনে করা হয়।

বিবিসির স্থানীয় সংবাদদাতা বলছেন, গত কিছুদিনে পরিস্থিতি গুরুতর রূপ নিয়েছে। খবরে বলা হচ্ছে, সবশেষ এই লড়াইয়ে সরকারি সৈন্যরা কাচিন যোদ্ধাদের বেশ কয়েকটি ঘাঁটি দখল করে তাদেরকে সীমান্ত এলাকার দিকে ঠেলে দিয়েছে।

জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, কাচিন এলাকাগুলোয় বিচার-বহির্ভূত হত্যা, নির্যাতন এবং যৌন সহিংসতার মতো ঘটনা সাম্প্রতিককালে ব্যাপকভাবে বেড়ে গেছে। সেখানে মানবাধিকার লংঘন বন্ধ করতে ব্যর্থতার জন্য এবং ত্রাণ যেতে না দেয়ার জন্য মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সূচির সমালোচনা করা হয়েছে। বিভিন্ন সাহায্য সংস্থার কর্মীরা তাদেরকে সেখানে যেতে অনুমতি দেওয়ার জন্য মিয়ানমার সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।

জাতিসংঘের কর্মকর্তারা বলছেন, এই যুদ্ধের কারণে উত্তর মিয়ানমারে সোয়া এক লাখের মতো মানুষ গৃহচ্যুত হয়েছে। বিদ্রোহীদের একজন মুখপাত্র বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, ৫০ বছরেরও বেশি সময় আগে এই যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর এতো তীব্র সংঘর্ষ আর কখনো হয়নি।

মিয়ানমার সরকার গত ছয় বছর ধরে বেশ কয়েকটি জাতিগত বিদ্রোহী গ্রুপের সঙ্গে শান্তি আলোচনা চালিয়ে আসছিল। কিন্তু কাচিন ন্যাশনাল আর্মি এই যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে রাজি না হয়ে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের দাবি হলো, প্রথমেই কাচিনের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা করতে হবে। কাচিনের সংখ্যালঘু খ্রিস্টান  জাতিগোষ্ঠীর জন্যে আরো স্বায়ত্বশাসনের দাবিতে এই সশস্ত্র লড়াই শুরু হয় ষাটের দশকে।

সূত্র: বিবিসি

পোস্টটি আপনার স্যোশাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© All rights reserved © জীবন নিউজ ২৪ ডট কম
Theme Customized BY LatestNews