গত ১ জানুয়ারি ২৫তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা শুরু হলেও এখনো জমে উঠেনি। প্রস্তুত হয়নি বেশির ভাগ স্টল-প্যাভিলিয়ন। চলছে নির্মাণ আর সাজানোর কাজ। তাই পুরোপুরি জমে উঠতে আরো কয়েক দিন সময় লাগবে। প্রথমবারের মতো এবার মেলার প্রধান গেট করা হয়েছে জাতীয় স্মৃতিসৌধের আদলে। সঙ্গে রয়েছে পদ্মাসেতুর মডেল। মেলা প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত দর্শনার্থীদের জন্য খোলা থাকবে। মেলা চলবে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত।
মেলা ঘুরে দেখা যায়, সকালের দিকে লোকসমাগম কম থাকলেও, বিকাল গড়িয়ে সন্ধ্যা নামলে দর্শনার্থীদের সমাগম বাড়তে থাকে। বিকালের দিকে প্রস্তুতি সম্পূর্ণ হয়েছে এমন স্টল-প্যাভিলিয়নে ক্রেতা-দর্শনার্থীদের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। দর্শনার্থীরা ঘুরে দেখছেন স্টলগুলো। কেউ কেউ কেনাকাটাও করেছেন। রাজধানীর মোহাম্মদপুর থেকে পরিবারসহ ঘুরতে আসা শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আজ এলাম ঘুরতে। বেশি কিছু কেনাকাটা করিনি। বিভিন্ন পণ্য দেখলাম, মূল্যের ধারণা নিলাম। কেনাকাটার জন্য আবারও আসব। তবে মেলার অনেক স্টলের নির্মাণকাজ এখনো শেষ হয়নি। শেষ হলে আরো ভালো লাগত।’
গতকাল বৃহস্পতিবার মেলার বিভিন্ন স্টলের বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মেলার দ্বিতীয় দিনে ক্রেতাদের সংখ্যা মোটামুটি ভালোই। তবে আজ (শুক্রবার) প্রথম ছুটির দিনে মেলা জমে উঠবে বলে প্রত্যাশা তাদের। এবার মেলায় প্রবেশের জন্য প্রাপ্ত বয়স্কদের টিকিটের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৪০ টাকা, যা গত বছরের চেয়ে ১০ টাকা বেশি। তবে অপ্রাপ্ত বয়স্কদের টিকিটের মূল্য আগের মতো ২০ টাকাই রাখা হয়েছে।
জানা যায়, এ বছর মেলায় ২১টি দেশ অংশ নিয়েছে। এর মধ্যে বাংলাদেশ ছাড়াও রয়েছে থাইল্যান্ড, ইরান, তুরস্ক, নেপাল, চীন, মালয়েশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ভারত, পাকিস্তান, ভুটান, ব্রুনাই, দুবাই, ইতালি, তাইওয়ান, হংকং, দক্ষিণ কোরিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, জার্মানি ও অস্ট্রেলিয়া। মোট স্টল-প্যাভিলিয়নের সংখ্যা ৪৮৩টি। গত বছরের তুলনায় স্টল কমেছে ১৫৯টি। বিভিন্ন ক্যাটাগরির প্যাভিলিয়নের সংখ্যা ১১২টি, মিনি প্যাভিলিয়নের সংখ্যা ১২৮টি এবং বিভিন্ন ক্যাটাগরির স্টলের সংখ্যা ২৪৩টি। এর মধ্যে বিদেশি প্যাভিলিয়ন ২৭টি, বিদেশি মিনি প্যাভিলিয়ন ১১টি এবং বিদেশি প্রিমিয়ার স্টলের সংখ্যা ১৭টি।