হতদরিদ্র ভিজিডি কার্ডধারীদের অভিজ্ঞ চিকিৎসকদের দিয়ে রক্তের গ্রুপ নির্ণয় করে চমক সৃষ্টি করেছেন তারাগঞ্জ উপজেলার মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা শাহনাজ ফারহানা আফরোজ। তার পেশাগত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি সামাজিক কর্মকাণ্ডে এলাকায় অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। তিনি গত বছর দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে অনুসন্ধান করে গরিব, অসহায়, বিধবা মহিলাদের পাশে থেকে সরকারের অনুদান ভিজিডি এবং মাতৃত্বকালীন ভাতাসহ বিভিন্ন কার্যক্রমের কার্ড বিতরণ করেন। উপজেলার ইকরচালী ইউনিয়নের বালাপাড়া গ্রামের আব্দুর রশিদের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রীর বিবাহ রোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে বাল্যবিবাহ রোধে বিভিন্ন ইউনিয়নে গিয়ে নিজ উদ্যোগে কাজ করে চলেছেন। আলমপুর ইউনিয়নের শেরমস্ত বানিয়াপাড়া গ্রামের আব্দুর রশিদের কন্যা রুমি বেগমের ঔরসজাত সন্তানের পিতার পরিচয়ের জন্য এলাকার জনগণ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে অবস্থান নিলে সমস্যা সমাধানে তিনি অগ্রণী ভূমিকা রেখে প্রশংসিত হন। সর্বশেষ তিনি গত ২৪শে জানুয়ারি প্রায় ৩ হাজার ১শ জন ভিজিডি কার্ডধারীদের রক্তের গ্রুপ নির্ণয়ে ভূমিকা রাখেন।
আলমপুর ইউনিয়নের শেরমস্ত বানিয়াপাড়া গ্রামের ভিজিডি কার্ডধারী সেলিনা, মেরিনা, রত্না, জরিনাসহ অন্যান্য কার্ডধারীরা জানান, আগে আমরা জানতাম না রক্তের গ্রুপ কি? এখন আমরা পরীক্ষা করে জানতে পেরেছি। আমাদের পরিবারসহ কারও কখনও বিপদে রক্তের প্রয়োজন হলে সহজেই আমরা রক্ত দিতে পারবো। ইকরচালী ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম জানান মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার প্রচেষ্টার ফলে এলাকাবাসী উপকৃত হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জিলুফা সুলতানা বলেন, সরকারি কর্মকর্তারা জনগণের জন্য, যা শাহানাজ ফারহানা আফরোজ প্রমাণ করেছে। এলাকায় আলোকিত অবদানের জন্য আমরা তাকে অভিনন্দন জানাই।