বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন-বিপিসির সঙ্গে আলোচনার পর কিছু দাবি পূরণের আশ্বাস পেয়ে ধর্মঘট ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত স্থগিত করার ঘোষণা দিয়েছে পেট্রোল পাম্প ও ট্যাংক লরি মালিক-শ্রমিকরা। সোমবার ঢাকার কারওয়ানবাজারে বিপিসির লিয়াজোঁ কার্যালয়ে সমঝোতা বৈঠক থেকে এই ঘোষণা আসে।
বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ জ্বালানি তেল পরিবেশক সমিতির সভাপতি সৈয়দ সাজ্জাদুল করিম বলেন, ‘আমরা জনগণের ভোগান্তি চাই না। আগামী ১৫ ডিসেম্বর জ্বালানি প্রতিমন্ত্রীর আহ্বানে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে আমাদের দাবিগুলো নিয়ে আলোচনা হবে। সে পর্যন্ত আমরা কর্মসূচি স্থগিত রাখছি।”
এর আগে রবিবার সকাল ৬টা থেকে ট্যাংকলরি মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ, জ্বালানি তেল পরিবেশক সমিতি, পেট্রোল পাম্প মালিক সমিতিসহ জ্বালানি তেল ব্যবসায়ীরা এ কর্মবিরতি শুরু করে। পাশাপাশি পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা তেল ডিপোর শ্রমিকরা তেল উত্তোলন, বিপণন ও সরবরাহ বন্ধ রাখায় ২৬ জেলায় জ্বালানি তেল সরবরাহও বন্ধ হয়ে যায়। এতে যানবাহন চলাচলে ব্যহত হচ্ছে।
তেল পরিবশেকদের সূত্র জানিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে জ্বালানি তেল ব্যবসায়ীদের যৌক্তিক দাবিসমূহ নিয়ে কর্তৃপক্ষ তালবাহানা করছে। বারবার প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেছে। ফিলিং স্টেশন তথা জ্বালানি ব্যবসায়ীদের ওপর অযথা চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে বিভিন্ন দপ্তর থেকে বিভিন্ন ধরনের বিধান। যা মেনে নিয়ে জ্বালানি ব্যবসা করা আদৌ সম্ভব নয়। তাই বাধ্য হয়ে জ্বালানি ব্যবসায়ীরা অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি পালন করছেন।