বিএনপির ৪০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের সড়কে নেতাকর্মীদের ভিড়ে জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছে। জনসমুদ্র থেকে পরিণত হওয়া মহা জনসমুদ্র এখন সমাবেশস্থল নয়াপল্টন ছেড়ে গেছে। ফকিরেরপুল মোড় থেকে নাইটিঙ্গেল মোড় পর্যন্ত নেতাকর্মীরা জড়ো হলে এই জনসমুদ্র তৈরি হয়।
আজ শনিবার দুপুর ২টায় জনসভার মূল আনুষ্ঠানিকতা শুরু হলেও শুক্রবার রাত থেকেই জনসভাস্থলে আসতে শুরু করেন নেতাকর্মীরা। রাতেই অস্থায়ী মঞ্চ নির্মাণ শুরু হয়।
নেতাকর্মীদের বিপুল উপস্থিতি হওয়ায় নির্দিষ্ট এলাকায় সমাবেশ সীমাবদ্ধ নেই। বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সীমানা ছাড়িয়ে সমাবেশ ছড়িয়ে পড়েছে আশেপাশের এলাকায়। সেখানে নেতাকর্মীরা জড়ো হয়েছেন উৎসবমুখর পরিবেশে। কেউ কেউ ব্যান্ড বাজাচ্ছেন, দলীয় সঙ্গীত গাইছেন। আবার কোথাও কোথাও থেমে থেমে স্লোগান দিচ্ছেন নেতাকর্মীরা।
বিএনপির সমাবেশের অনুমতি দেওয়ার আগে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) শর্ত ছিল ফকিরেরপুল মোড় থেকে নাইটিঙ্গেল মোড় পর্যন্ত নেতাকর্মীরা জড়ো হতে পারবেন। পুলিশের দেওয়া ২৩ শর্তের মধ্যে অন্যতম শর্ত ছিল এটি।
আজকের এই কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আর এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেবেন দলের প্রবীণ নেতা ও স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
সমাবেশে আরো উপস্থিত আছেন ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আব্দুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস-চেয়ারম্যান রুহুল আলম চৌধুরী, আলতাব হোসেন চৌধুরী, জয়নুল আবদিন, বেগম সেলিমা রহমান, শামসুজ্জামান দুদু, ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, আহমেদ আযম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, আব্দুস সালাম, হাবিবুর রহমান হাবিব, তৈয়মুর আলম খন্দকার, ফরহাদ হালীম ডোনার, সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম-মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দীন খোকন, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানী ও যুবদলের সভাপতি সাইফুল আলম নীরব প্রমুখ।
নেতাকর্মীরা ‘আমার নেত্রী আমার মা, বন্দী থাকতে দেবো না’, ‘আমার মা জেলে কেন’, ‘লড়াই লড়াই লড়াই চাই লড়াই করে বাঁচতে চাই’, ‘বন্দি আছে আমার মা, ঘরে ফিরে যাবো না’, ‘হামলা করে আন্দোলন- বন্ধ করা যাবে না’- ইত্যাদি স্লোগানে দিচ্ছেন।