দেশের প্রথম স্যাটেলাইট ‘বঙ্গবন্ধু-১’-এর উৎক্ষেপণ উদযাপনের জন্য আগামী বছরের ১ মার্চ থেকে সারাদেশে মাসব্যাপী কাউন্টডাউন উৎসবের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এই উৎক্ষেপণের মাধ্যমে বাংলাদেশ স্যাটেলাইট ওনার্স ক্লাবের ৫৭তম সদস্য হিসেবে যুক্ত হচ্ছে। এই আবির্ভাবের ঐতিহাসিক দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য এই পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
এ প্রসঙ্গে ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম বলেন, কক্ষপথে নিজস্ব স্যাটেলাইট স্থাপনের দিনটিকে অনেক বেশি স্মরণীয় করে রাখার জন্য এই কাউন্টডাউন উৎসবের আয়োজন করা হবে। জাতির জন্য এই দিনটি হবে একটি বড় মাইলফলক। বাংলাদেশ মহাকাশ বিজয় করতে যাচ্ছে— এটি একটি বড় অর্জন, যা প্রতিটি শিশুর জন্যই হবে অত্যন্ত আনন্দদায়ক।
স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের দিনক্ষণ সম্পর্কিত এক প্রশ্নের জবাবে তারানা হালিম বলেন, স্পেসএক্স থেকে চূড়ান্ত নিশ্চয়তা পাওয়ার পরই আমরা তা জানাব।
তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) এই স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের ফিতা কাটবেন। এ উপলক্ষে সোর্সএক্স-এর আদলে বিআইসিসি মিলনায়তনটি সাজানো হবে। এই কর্মসূচির অংশ হিসেবে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ উপজেলা পর্যায়, বিভাগীয় শহর এবং রাজধানী ঢাকায়ও বিলবোর্ড, বিশাল পর্দা ও কাউন্টডাউন বোর্ড স্থাপন করা হবে যাতে চূড়ান্ত উৎক্ষেপণ সম্পর্কে মানুষ অবগত হতে পারে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের ঐতিহাসিক মুহূর্তটি যাতে দেশের প্রতিটি মানুষ প্রত্যক্ষ করতে পারে তার জন্য সব পর্যায়ে উৎক্ষেপণের জন্য সরাসরি সম্প্রচার করার ব্যবস্থা নেয়া হবে। তা ছাড়া ফেসবুকে একটি ইভেন্ট পেজ খোলা হবে। ওই দিন লোকেরা যাতে সরাসরি তাদের মতামত প্রকাশ ও প্রতিক্রিয়া জানাতে পারে তারও ব্যবস্থা থাকবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, কাল রাতে (২৫ মার্চ) পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর নৃশংস হত্যাকাণ্ডের স্মরণে সব পর্দা ও ডিজিটাল বিল বোর্ড কালো করে দেয়া হবে।
দেশের প্রথম স্যাটেলাইট ‘বঙ্গবন্ধু-১’-এর নির্মাণ কাজ ইতোমধ্যেই শেষ হয়েছে এবং এখন এটি উৎক্ষেপণের অপেক্ষায় রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার ক্যাপে ক্যানাভেরাল লাঞ্চিংপ্যাডের স্পেসএক্স ফ্যালকন ৯-এর লাঞ্চিং ভেহিক্যাল থেকে উৎক্ষেপণ করা হবে। এই প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য বাংলাদেশ ২০১৫ সালের ১১ নভেম্বর থালেস এ্যালেনিয়া স্পেসের সঙ্গে এক হাজার ৯৫১ কোটি টাকার একটি চুক্তি করে।