বরগুনা জেলা প্রতিনিধি ঃ
নদীর ভেরীবাধ নির্মানের এক বছর অতিবাহিত হলেও ক্ষতিপুরণ পায়নি বরগুনা জেলার বেতাগী উপজেলার সরিষামুড়ি ইউনিয়নের দক্ষিন কালিকাবাড়ী গ্রামের মৃত: কদম আলী পুত্র হোসেন আলী ও তার পুত্র নাসির মিয়া। জানাগেছে ২০১৬-২০১৭ অর্থ বছরে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ড ভেরীবাধ নির্মাণ কাজ প্রকল্প হাতে নেন। যথাসময়ে প্রকল্পের কাজ শেষ হলে ঐ জমিতে অধিগ্রহনের আওতায় হোসেন আলী ও নাসির মিয়ার বসতঘর স্থান্তান্তরের জন্য কর্তৃপক্ষ নোটিশ প্রদান করেন। সময়মত তারা তাদের ঘর অন্যাত্র সরিয়ে নেয়। কিন্তু এখনও কোন ঘর সরানের ক্ষতিপুরণ পাচ্ছে না ভূক্তভোগীরা। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেল ক্ষতিগ্রস্ত হোসেন আলী ও নাসির মিয়া জানান প্রায় ১ বছর হলেও আমরা ঘর সরানোর ক্ষতিপুরন সরকারি ভাবে পায়নি। তবে আমাদেরকে সরকারি ভাবে ঘর সরানোর নোটিশ প্রদান করা হয়েছে আবুল হোসেনের নামে ২,৬১,৪৯৩.৬৫ ( দুই লক্ষ একষাট্টি হাজার চারশত তেরানব্বই টাকা পয়ষাট্টি পয়সা) হারে ক্ষতিপুরণ প্রদান করা হবে এবং নাসির উদ্দিনের নামে ১,১৭,৩৬৫.৪৯ ৯( এক লক্ষ সতের হাজার তিনশত পয়ষাট্টি টাকা উনপঞ্চাশ পয়সা) প্রদান করা হবে বলে নোটিশে উল্লেখ করেন। তারই পরিপ্রেক্ষিতে যথাসময়ে ঘর অন্যাত্র সরিয়ে নেয়া হয়ছে। তাই আমাদের দাবী কর্তৃপক্ষ সরেজমিন তদন্ত পূর্বক আমাদের ঘর সরানোর ক্ষতিপুরনের টাকা যাতে পাইতে পারি।
এ ব্যাপারে অত্র ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইমাম হাসান শিপন জোমাদ্দার তিনি জানান দক্ষিন কালিকাবাড়ী ৩নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা হোসেন আলী ও নাসির মিয়া নদী ভাঙ্গনের ভেরীবাধের আওতায় পড়ছেন এবং সরকারিভাবে তাদেরকে ঘর সরানোর নোটিশ দিয়েছে। যথাসময়ে তাদের বসতঘর অন্যাত্র সরিয়ে নিয়েছে। কিন্তু তারা এখনও কোন ক্ষতিপুরণ পায়নি। (১৯৮২ সনের ২নং অধ্যাদেশ) এর ৭ ধারার (৩) স্থাপর সম্পত্তি অধিগ্রহন ও হুকুম দখল অধ্যাদেশের ৭ ধারায় উপ-ধারা মোতাবেক এই ক্ষতি পুরণ পেতে পারে।