বরগুনা জেলা প্রতিনিধি : স্কুল ছাত্রীকে ইভটিজিং করায় প্রতিবাদ করলে পিটিয়ে আহত করে স্কুল ছাত্রীর ভাইকে। জানাগেছে বরগুনা সদর উপজেলার ৩নং ফুলঝুড়ি ইউনিয়নের ছোট গৌরীচন্না গ্রামের ৩নং ওয়ার্ডের বারোঘর নামক স্থানে কালামের মেয়ে লামিয়া স্থানীয় গেীরীচন্না নওয়াব সলিমুল্লাহ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণীর ছাত্রী। প্রায়ই লামিয়া স্কুলে যাওয়া আসার সময় একই এলাকার এনায়েত তালুকদারের ছেলে ইমরান প্রেমের প্রস্তাব দেয়। এতে স্কুল ছাত্রী লামিয়া প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যক্ষন করলে, স্কুল পথে গতিরোধ করে এবং মোবাইল ফোনে কথা না বললে এসিড মেরে শরীর জলষা করে দিবে বলে প্রায়ই হুমকি দিত।
আহত নাঈম চিকিৎসা থাকালীন এ প্রতিবেদককে জানান আমার বোন লামিয়া গেীরীচন্না নওয়াব সলিমুল্লাহ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণীর ছাত্রী। স্কুলে আসা-যাওয়ার সময় ইমরান বোনকে উত্যাক্ত করে। বোন বিরক্ত হয়ে আমার মাকে বিষয়টি জানায়। গতকাল ১৮.০৯.২০১৮ (মঙ্গলবার) আমার বোন স্কুল যাওয়ার পথে ইমরান পথ আটকে নানা কু-প্রস্তাব দেয় ও ওড়না টেনে নেয়। আমার বোন স্কুল না গিয়ে তাৎক্ষনিক বাড়ী এসে আমাকে জানালে আমি মোবাইল ফোনে বখাটে ইমরানকে জিজ্ঞাসা করলে আমাকে নানান ভাবে জীবন নাশের হুমর্কি দেয়। আমি সন্ধ্যার পরে দাদুর বাড়ীতে যাওয়ার সময় ইমরান পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ওতপেতে থেকে পিছন দিয়ে এলোপাতালি ভাবে পিটাতে থাকে। আমার ডাকচিৎকারে স্থানীয়রা উদ্ধার করে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করান। আমি এ ঘটনার বখাটে ইমরানের বিচার চাই।এ বিষয় নিয়ে লামিয়ার মা জানান ইমরানকে একাধিক ভাবে নিষেধ করলেও এতে আরোও ক্ষিপ্ত হয়ে আমার মেয়েকে বিভিন্ন সময় উত্যাক্ত করে। গত মঙ্গলবারের ঘটনায় ইমরানসহ যারা জড়িত আছে তাদেরকে আইনের আওতায় এনে বিচার করা হউক। যাতে কোন মা কন্যা সন্তান নিয়ে বিপদে পড়তে না হয়।বিষয়টি নিয়ে অভিযুক্ত ইমরান ও তার বাবার সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তাদের মোবাইল বন্ধ পাওয়া গেছে।এ ব্যাপারে বরগুনা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ এস.এম মাসদুজ্জামান জানান আমার কাছে এখনও কোন অভিযোগ আসেনি অভিযোগ পেলে তদন্ত স্বাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।