1. rajubdnews@gmail.com : 24jibonnews : admin
রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫, ০৯:০৫ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদ:
রিয়াল মাদ্রিদে নাম লিখিয়েছেন আর্জেন্টিনার অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার ফ্র্যাঙ্কো মাস্তানতুয়োনো ৪ দিনে বাসে অতিরিক্ত আদায়কৃত ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা ভাড়া যাত্রীদের ফেরত উত্তরায় র‍্যাব পরিচয়ে নগদ-এর ডিস্ট্রিবিউটরের এক প্রতিনিধিদের কাছ থেকে টাকা ছিনতাই টানা ১৮ দিন বন্ধ থাকার পর চালু হলো জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল দাম নিয়ে আড়তদারদের আশ্বস্ত করলেন ট্যানারি মালিকরা শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় এখন ভারতে লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা ও তারেক রহমানের মধ্যকার বৈঠকে নির্বাচন ও সংস্কার ইস্যু গুরুত্ব পাবে ভারতের বিধ্বস্ত বিমানে বিদেশি আরোহী ছিলেন ৬১ জন ভারতের বিধ্বস্ত হওয়া বিমানটিতে ছিলেন গুজরাটের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানি ভারতের গুজরাটের আহমেদাবাদে ২৪২ জন আরোহী নিয়ে বিমান বিধ্বস্ত

বীজের ওজনই ৪৪ কেজি

প্রতিনিধির নাম :
  • আপডেট এর সময় : শনিবার, ১১ আগস্ট, ২০১৮

কোকো ডে ম্যার। এটি একটি ফল। এই ফলটি মূলত তার বীজের জন্য বিখ্যাত। ফলদ এই গাছের বীজ বিশ্বের সর্ববৃহৎ এবং সর্বোচ্চ ওজনের সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক বীজ।

বিরল এই ফলের গাছ বর্তমানে ভারত মহাসাগরের প্রালিন দ্বীপের ন্যাশনাল পার্ক এবং কুরিয়াস দ্বীপের মেরিন ন্যাশনাল পার্কে পাওয়া যায়। প্রালিনেই এ গাছ বেশি দেখা যায়। এই দ্বীপ দুটি ১১৫টি দ্বীপ নিয়ে গঠিত সেশেলজ দ্বীপপুঞ্জের সদস্য।

গত জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহ দ্বীপপুঞ্জের ওই দ্বীপ দুটি ঘুরে বিচিত্র এই ফলের বীজ দেখার সুযোগ হয়েছিল।

কোকো ডে ম্যার বীজ দেড় ফুট লম্বা হয়। এর ব্যাস ৩ ফুট পর্যন্ত হতে পারে। ওজন ২০ কেজি থেকে শুরু। বীজের রেকর্ড সর্বোচ্চ ওজন ৪৪ কেজি।

বিস্ময়কর হলো, এ গাছে ফুল আসতে ২০ থেকে ৪৫ বছরও সময় লেগে যায়। পূর্ণাঙ্গ ফল হতে লাগে সাত বছর। কোকো ডে ম্যারের বীজ অঙ্কুরোদ্গমের জন্য সময় নেয় দুই বছর। বীজের রং গাঢ় বাদামি বা কালচে খয়েরি বা প্রায় কালচে হতে পারে। ভারত, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ডের বোটানিক্যাল গার্ডেনে এই বীজ সংরক্ষিত রয়েছে দর্শনার্থীদের জন্য।

কোকো ডে ম্যার গাছের উচ্চতা মাটি থেকে দেড় শ ফুট পর্যন্ত হতে পারে। বোটানিক্যাল নাম lodoicea maldivica। এটি পাম প্রজাতির গাছ। একেকটি গাছ ২০০ থেকে ৩০০ বছর বাঁচে। একটি মাদি গাছ সাধারণত ১০০ ফল দেয়। শুকনো পাতা স্পন্দনশীল। দাবদাহ, ভূমিকম্প থেকে এ গাছ ভূমিকে রক্ষা করে। প্রকৃতির ইকোসিস্টেম রক্ষায় সহায়ক এ গাছ।

এই ফলের অন্য অনেক নাম রয়েছে। লাভনাট, সি কোকোনাট, ডাবল কোকোনাট, কোকো ফেসে ইত্যাদি। ফলের শ্বাস জেলির মতো। পরিপক্ব হলে শক্ত হয়ে যায়। আইসক্রিম, কাস্টার্ড, সালাদ অথবা অ্যাপেটাইজার হিসেবে এটা ব্যবহৃত হয়। ফল আয়ুর্বেদিক ওষুধ, ঐতিহ্যবাহী চীনা ওষুধে ব্যবহৃত হয়।

পাতা ফ্যান আকারের। পাতা লম্বায় ১২ ফুট, প্রশস্তে ৬ ফুট হয়। এর ফুল বিশ্বের পুরো পাম প্রজাতির গাছের মধ্যে সর্ববৃহৎ। কোকো ডে ম্যার গাছের বৃদ্ধির হারের ধীরগতি এবং বিশেষ পুষ্টিসমৃদ্ধ মাটির স্বল্পতার কারণে গাছটি এখন ধ্বংসের মুখে। তাই গাছটি এখন লাল তালিকাভুক্ত, মানে বিপন্ন।

পোস্টটি আপনার স্যোশাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© All rights reserved © জীবন নিউজ ২৪ ডট কম
Theme Customized BY LatestNews