1. rajubdnews@gmail.com : 24jibonnews : admin
মঙ্গলবার, ০৮ জুলাই ২০২৫, ০২:০৫ অপরাহ্ন

মা যাদের রান্না করে খাওয়াতেন তারাও বঙ্গবন্ধু হত্যায় জড়িত : প্রধানমন্ত্রী

প্রতিনিধির নাম :
  • আপডেট এর সময় : রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২০

আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, পাকিস্তানের শাসকরা বঙ্গবন্ধুকে ফাঁসিতে হত্যার চেষ্টা করেছিল, কিন্তু পারেনি। কিন্তু স্বাধীনতার পর পরাজিত শত্রুরা এদেশীয় দালালদের নিয়ে বঙ্গবন্ধু হত্যা করে একাত্তরের পরাজয়ের প্রতিশোধ নিয়েছিল। খুনিদের মধ্যে অনেকেই ছিল যারা আমাদের বাড়িতে নিয়মিত আসা-যাওয়া করতো, আমার মা যাদের রান্না করে খাওয়াতেন- তারাও বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। খুনি মুশতাক-জিয়ারা মদদ না দিলে এ ধরণের ঘটনা ঘটতো না। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর তার নাম পর্যন্ত মুছে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু সত্য ইতিহাস কখনো মুছে ফেলা যায় না, মিথ্যা দিয়ে কখনো সত্যকে ঢেকে রাখা যায় না- এটাও আজ প্রমাণিত হয়েছে।

শনিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে মহান ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।

জাতির পিতার স্বপ্নের ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত আত্মমর্যাদাশীল উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণে তার অঙ্গীকারের কথা পুনর্ব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পঁচাত্তর পরবর্তী দীর্ঘ একুশটি বছর ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে স্বাধীনতা সংগ্রামে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর অবদানসহ তার নাম মুছে ফেলার নানা চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র হয়েছে। কিন্তু মিথ্যা দিয়ে কখনো সত্য ইতিহাস মুছে ফেলা যায় না, এটা আজ প্রমাণিত। বুকের রক্ত দিয়ে যারা আমাদের রক্তের আখরে মাতৃভাষার মর্যাদা রক্ষা করেছিল, তাদের পদাঙ্ক অনুসরণ করেই আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছি। লাখো শহীদের সেই আত্মত্যাগ কখনো বৃথা যাবে না, বৃথা যেতে আমরা দেব না- এটাই আমাদের প্রতিজ্ঞা।

তিনি বলেন, আমরা বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। শুধু অর্থনৈতিকভাবে না; আমরা প্রযুক্তিগত শিক্ষাকেও গুরুত্ব দিয়েছি। আধুনিক প্রযুক্তিজ্ঞান সম্পন্ন একটা জাতি হিসেবে আমরা দেশের মানুষকে গড়ে তুলতে চাই। অর্থনৈতিক স্বাবলম্বিতার সঙ্গে প্রযুক্তিগত জ্ঞান নিয়ে সারাবিশ্বে একটা সম্মানিত জাতি হিসেবে গড়ে তুলে ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলা গড়ে তুলবো। যে বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। মুজিববর্ষে দেশের প্রতিটি মানুষের ঘর বিদ্যুতের আলোতে আলোকিত করবো, দেশের একটি লোকও গৃহহীন থাকবে না, সবার একটা ঠিকানা আমরা করে দেব।

ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে স্বাধীনতা অর্জনে বীর শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, অতীতে বাংলাদেশকে নিয়ে অনেকে অনেক কথা বলেছেন। বাংলাদেশ মানেই তাদের কাছে ছিল দারিদ্র্যপিড়ীত, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, বন্যা-জ্বলোচ্ছ্বাস, গরিব দেশ হিসেবে। এখন আর কারও সেসব কথা বলার কোন সুযোগ নেই। মাত্র এক দশকেই বাংলাদেশ এখন বিশ্বের কাছে উন্নয়নের রোলমডেল, মর্যাদাশীল দেশ।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, রূপকল্প ২০২১ ও ২০৪১ এবং ডেল্টা প্লান-২১০০ বাস্তবায়নের মাধ্যমে আমরা জাতির পিতার ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত ও সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলতে কাজ করে যাচ্ছি। আসুন, দৃঢ় সংকল্পে আবদ্ধ হই-মহান একুশের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলবো। আর ভাষার আন্দোলনে রক্ত দিয়ে যারা রক্তের অক্ষরে মাতৃভাষার মর্যাদা রক্ষা করেছিলেন, আর যাদের পদাঙ্ক অনুসরণ করেই লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছি- সেই ত্যাগ কখনো বৃথা যায় না।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে আলোচনা সভার শুরুতেই ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট দাঁড়িয়ে নিরাবতা পালন করা হয়। আলোচনায় অংশ নেন দলের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব ডেনভারের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ও লেখক-গবেষক হায়দার আলী খান, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক মেহের আফরোজ চুমকি, কার্যনির্বাহী সদস্য মেরিনা জামান কবিতা, ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, আবু আহম্মেদ মান্নাফী এবং ভাষা শহিদদের স্মরণে কবিতা আবৃত্তি করেন কবি তারিক সুজাত। আলোচনা সভা যৌথভাবে পরিচালনা করেন দলের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ ও উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন।

পোস্টটি আপনার স্যোশাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© All rights reserved © জীবন নিউজ ২৪ ডট কম
Theme Customized BY LatestNews