1. rajubdnews@gmail.com : 24jibonnews : admin
বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫, ০৯:৪৯ অপরাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদ:
ভোটার হতে পারবেন তফসিল ঘোষণার এক মাস আগেই ১৮ বছরে পৌঁছানো নাগরিকরা গোপালগঞ্জে সহিংসতা: তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠন ইরাকে শপিং মলে ভয়াবহ আগুন, নিহত অন্তত ৬০ আলাস্কায় ৭.৩ মাত্রার ভূমিকম্প, সুনামি সতর্কতা জারি গোপালগঞ্জের ঘটনার পূর্বাভাস ছিল না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা অপপ্রচারে তারেক রহমানের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করা যাবে না: রিজভী ২১ আগস্ট মামলায় খালাসপ্রাপ্তদের বিরুদ্ধে আপিল শুনানি ২৪ জুলাই পর্যন্ত মুলতবি আওয়ামী দোসর অথরাইজড অফিসার আল মামুন এর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ত্রিমুখী সংঘর্ষে ভয়াবহ দক্ষিণ সিরিয়ার পরিস্থিতি সাবেক বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীর প্রায় ৪০০ কোটি টাকার সম্পত্তি জব্দ

সকল ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে, সরকারি নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে-মেজর মোহাম্মাদ আলী (অব.) (এন,আর,রাব্বি-দাউদকান্দি) বর্তমান উদ্বুদ্ধ পরিবেশ সৃষ্টির আলোকে, সরকারের নিয়ন্ত্রণে আনারবাংলাদেশের সকল ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহকে সরকারের নিয়ন্ত্রণে এনে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা প্রদান ও কার্যক্রম পরিচালনায় উপর গুরুত্বারোপ করে,সরকারের কাছে বিনীত অনুরোধ জানান দাউদকান্দি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মেজর মোহাম্মদ আলী (অব.) । ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান পরিচালনার ক্ষেত্রে মেজর মোহাম্মদ আলী(অব.) এর সুপারিশ ও মতামতগুলো হুবহু তুলে ধরা হলো:- ১। যে কোন ধর্মীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, প্রতিষ্ঠা করার পূর্বে, অবশ্যই সরকার থেকে লিখিত অনুমোদন নিতে হবে। ২। সরকারের সুনির্দিষ্ট নীতিমালা থাকতে হবে, যে কোন ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অনুমতি দেওয়ার ব্যাপারে। ৩। প্রতিষ্ঠাকালীন সময়, প্রতিষ্ঠানের সভাপতি এবং সকল পরিচালনা কমিটির সদস্যদের, আয়-ব্যয়ের হিসাব সরকারের কাছে জমা দিতে হবে। ৪। প্রতিবছর, সরকারের কাছে প্রতিষ্ঠানের আয়-ব্যয়ের হিসাব জমা দিতে হবে। ৫। সকল আর্থিক লেনদেন, সর্বনিম্ন দুইজন ব্যক্তির স্বাক্ষর এবং সরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে। ৬। সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে, অবশ্যই নিয়মিত জাতীয় সংগীত, পতাকা উত্তোলন করতে হবে এবং প্রধান শিক্ষকের অফিসে বঙ্গবন্ধুর ছবি থাকতে হবে। ৭। সরকার নির্ধারিত পাঠ্যপুস্তক/ পাঠ্যসূচি এর বাইরে, অন্য কোন পাঠ্য পুস্তক/ পাঠ্যসূচি সংযুক্ত-বিযুক্তি করা যাবে না। ৮। ধর্মীয় শিক্ষার পাশাপাশি, অবশ্যই বাংলা/ইংরেজী সহ, আধুনিক শিক্ষার শিক্ষাকার্যক্রম থাকতে হবে। ৯। সিকিউরিটি ক্লিয়ারেন্সের ভিত্তিতে, বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড/বাংলাদেশের কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড(বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া-বেফাক), নূরানী তালীমুল কোরআন বোর্ড এবং ইসলামিক ফাউন্ডেশনকে আরো আধুনিক/গতিশীল/শক্তিশালী করার লক্ষে, বড় বড় আলেম-ওলামা-মাশায়েখদের মাধ্যমে যোগ্যতার ভিত্তিতে নিয়োগ এবং পুনর্গঠন করতে হবে। ১০। যে কোন ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে, আর্থিক অনুদান দিলে ,অবশ্যই তা ব্যাংকের মাধ্যমে দিতে হবে এবং দানকারী ব্যক্তির বাৎসরিক আয়কর রিটার্নে প্রদর্শন করতে হবে। ১১। বৈদেশিক অনুদান আসলে, অবশ্যই তা বাংলাদেশ ব্যাংকের মাধ্যমে আসতে হবে। ১২। কোরবানির চামড়া/ নৌপথ /সড়কপথ /লঞ্চঘাট বাসাবাড়ি/বাজার ইত্যাদি থেকে মানি রিসিটের মাধ্যমে, ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নামে, শিক্ষক/শিক্ষার্থীবৃন্দের “চাঁদা” উঠানো দন্ডনীয় অপরাধ হিসেবে গণ্য করতে হবে। ১৩। বাৎসরিক ওয়াজ-মাহফিল করা যেতে পারে। তবে ওয়াজ-মাহফিল নামে, কোন অর্থ সংগ্রহ করা যাবে না। ১৪। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে অথবা ডিজিটাল প্লাটফর্মে ব্যবহার করে ওয়াজ করলে, অবশ্যই বাৎসরিক রিটার্ন জমা দিতে হবে এবং ওয়াজ করার পূর্বে প্রশাসন থেকে অনুমতি সাপেক্ষে শুধুমাত্র কুরআন/হাদিসের আলোকে দ্বীনের উপর ওয়াজ করবেন। ১৫। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সারাবছর হিসেব রেখে, বছরের শেষে সরকার অনুমোদিত কোন অডিট ফার্ম দ্বারা হিসাব নিরীক্ষণ করাতে হবে। ১৬। ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র/ছাত্রী হোস্টেল থাকলে,তা সরকারি নিয়ম নীতির মাধ্যমে পরিচালনা করতে হবে। ১৭। বৈষম্যমূলক শিক্ষাব্যবস্থার বন্ধ করতে হবে। পিতা-মাতার বিত্তের নিক্তিতে ওজন করে নির্ধারিত হয়ে যাচ্ছে কে কিন্ডারগার্টেনে যাবে, কে সরকারি বা বেসরকারি প্রাইমারি স্কুলে সুযোগ পাবে, কার এনজিও স্কুলে ঠাঁই হবে, আর কাকে ইবতেদায়ি মাদ্রাসায় পাঠিয়ে বাবা-মা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলবে যে ‘লিল্লাহ বোর্ডিংয়ে’ ভাতটা তো অন্তত জুটল! ১৮। বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড/বাংলাদেশের কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড(বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া-বেফাক), নূরানী তালীমুল কোরআন বোর্ড এবং ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সকল গ্রেডের অফিসারদের আরো যুগোপযোগী প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। ১৯। বিভিন্ন বোর্ডের সহকারী কর্মকর্তা এবং দেশের আলেম-ওলামা-মাশায়েখদের, সরকারি খরচে বিশ্বের খ্যাতনামা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে, বিভিন্ন পর্যায়ের প্রশিক্ষণ এবং সেমিনারে যোগ দানের ব্যবস্থা করতে হবে। ২০। প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে খেলার মাঠ এবং খেলার সামগ্রিক থাকতে হবে এবং ইসলামী শরীয়ত অনুযায়ী, ছাত্র-ছাত্রীদের শরীর গঠনে উৎসাহ প্রদান করতে হবে। ২১। আল্লাহর নির্দেশ উপেক্ষা করে, “ধর্মব্যবসা” সরকারের কাছে বন্ধ এবং শাস্তির দাবি করছি। “আমি যা অবতীর্ণ করেছি (কোরআন) তাতে তোমরা বিশ্বাস স্থাপন কর, তোমাদের কাছে যা আছে (তওরাত) এটি তারই সমর্থক। আর তোমরাই এর প্রথম প্রত্যাখ্যানকারী হয়ো না এবং আমার আয়াতকে স্বল্প মূল্যে বিক্রি করো না। তোমরা শুধু আমাকেই ভয় করবে।” (সূরা বাকারাহ:৪১) “তারা সেই লোক যাদেরকে আল্লাহতায়ালা পথ প্রদর্শন করেছেন। অতএব, আপনি তাদের পথ অনুসরণ করুন। আপনি বলে দিন, আমি তোমাদের কাছে এর জন্য কোনো পারিশ্রমিক চাই না। এটা তো সারা বিশ্বের জন্য উপদেশবাণী”। (সূরা আনআম: ৯০) বিভিন্ন সময়, নবী/রসূল/পয়গম্বর হিসেবে যাঁরা যুগে যুগে এ পৃথিবীতে এসেছেন, উনারা কি ধর্মীয় বাণী দিয়ে, দোয়া করে, ধর্ম প্রচার করে আয় রোজগার করতেন, নাকি উনারা অন্য কোন কাজের মাধ্যমে আয় করতেন? সবাই অন্য কোন কাজের মাধ্যমে, জীবিকা নির্বাহ করেন। একজন নবীও/খলীফা/ সাহাবি / তাবেয়ী / তাবে-তাবেয়ী ধর্ম প্রচার করতে গিয়ে, কোন বিনিময় বা পারিশ্রমিক নেন নাই। ছাত্র-ছাত্রীদের এই বিষয়টিকে গুরুত্ব সহকারে শিখা দান করতে হবে। ২২। তালেবান, আল কায়েদা ও আইএসের উত্থান-পতনের ইতিহাস পড়াতে হবে। ২৩। “তালেবান” শব্দটি আরবি শব্দ থেকে এসেছে যার অর্থ শিক্ষার্থী। ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের(মাদ্রাসা) এর শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ে এই সংগঠন গড়ে উঠে বলে তার নাম দেয়া হয় “তালেবান”। ফলে বিশেষ করে ধর্মীয় দলগুলো ও ধর্মীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্র-শিক্ষকরাই এখানে অধিক মাত্রায় যোগদান করে। আফগানিস্তানে এই সংগঠনের সূত্রপাত হলেও, পরবর্তীতে এটি পাকিস্তানেও ঘাটি গাড়ে। তবে তারা শুরুতে জঙ্গিগোষ্ঠী হিসেবে পরিচিত ছিল না। একটা সময় তাদের বর্তমান প্রধান শত্রু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথেও তাদের অত্যন্ত ভালো সম্পর্ক ছিল। তবে হুট করে কেন তারা “জঙ্গি” হয়ে গেল? ২৪। কাফেরা, ইসলামী ধর্মীয় অনুভূতিকে কাজে লাগিয়ে, বিভিন্ন দেশে “জিহাদের” নামে যুদ্ধ লাগিয়ে:- ক। নিজ অর্থায়নে সামরিক প্রশিক্ষণ দেয়া। খ। নিজেদের তৈরী অস্ত্র বিক্রয়। গ। যুদ্ধের ময়দানে, অস্ত্রের কার্যকারিতা পরীক্ষা করার মাধ্যমে, নিজ দেশের রাজনৈতিক/ অর্থনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য সিআইএ, কেজিবি, আইএসআইর কার্যক্রম সম্পর্কে শিক্ষার্থীবৃন্দের অবহিত করা। এদেশে রাজনৈতিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক, সংস্কৃতিক সুস্থ চিন্তাধারার বিকাশ, দ্বীনের প্রচার-প্রসার এবং ইসলামী জ্ঞান-বিজ্ঞানের ময়দানে যুগান্তকারী বিপ্লব সাধনের জন্য বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যেমে, ধর্মীয় শিক্ষাব্যবস্থার আরও আধুনিকায়নের সুযোগ আছে !

প্রতিনিধির নাম :
  • আপডেট এর সময় : শনিবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০২০

দাউদকান্দি প্রতিনিধি ঃ

বর্তমান উদ্বুদ্ধ পরিবেশ সৃষ্টির আলোকে, সরকারের নিয়ন্ত্রণে আনারবাংলাদেশের সকল ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহকে সরকারের নিয়ন্ত্রণে এনে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা প্রদান ও কার্যক্রম পরিচালনায় উপর গুরুত্বারোপ করে,সরকারের কাছে বিনীত অনুরোধ জানান দাউদকান্দি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মেজর মোহাম্মদ আলী (অব.) ।
ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান পরিচালনার ক্ষেত্রে মেজর মোহাম্মদ আলী(অব.) এর সুপারিশ ও মতামতগুলো হুবহু তুলে ধরা হলো:-

১। যে কোন ধর্মীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, প্রতিষ্ঠা করার পূর্বে, অবশ্যই সরকার থেকে লিখিত অনুমোদন নিতে হবে।
২। সরকারের সুনির্দিষ্ট নীতিমালা থাকতে হবে, যে কোন ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অনুমতি দেওয়ার ব্যাপারে।
৩। প্রতিষ্ঠাকালীন সময়, প্রতিষ্ঠানের সভাপতি এবং সকল পরিচালনা কমিটির সদস্যদের, আয়-ব্যয়ের হিসাব সরকারের কাছে জমা দিতে হবে।
৪। প্রতিবছর, সরকারের কাছে প্রতিষ্ঠানের আয়-ব্যয়ের হিসাব জমা দিতে হবে।
৫। সকল আর্থিক লেনদেন, সর্বনিম্ন দুইজন ব্যক্তির স্বাক্ষর এবং সরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে।
৬। সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে, অবশ্যই নিয়মিত জাতীয় সংগীত, পতাকা উত্তোলন করতে হবে এবং প্রধান শিক্ষকের অফিসে বঙ্গবন্ধুর ছবি থাকতে হবে।
৭। সরকার নির্ধারিত পাঠ্যপুস্তক/ পাঠ্যসূচি এর বাইরে, অন্য কোন পাঠ্য পুস্তক/ পাঠ্যসূচি সংযুক্ত-বিযুক্তি করা যাবে না।
৮। ধর্মীয় শিক্ষার পাশাপাশি, অবশ্যই বাংলা/ইংরেজী সহ, আধুনিক শিক্ষার শিক্ষাকার্যক্রম থাকতে হবে।
৯। সিকিউরিটি ক্লিয়ারেন্সের ভিত্তিতে, বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড/বাংলাদেশের কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড(বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া-বেফাক), নূরানী তালীমুল কোরআন বোর্ড এবং ইসলামিক ফাউন্ডেশনকে আরো আধুনিক/গতিশীল/শক্তিশালী করার লক্ষে, বড় বড় আলেম-ওলামা-মাশায়েখদের মাধ্যমে যোগ্যতার ভিত্তিতে নিয়োগ এবং পুনর্গঠন করতে হবে।
১০। যে কোন ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে, আর্থিক অনুদান দিলে ,অবশ্যই তা ব্যাংকের মাধ্যমে দিতে হবে এবং দানকারী ব্যক্তির বাৎসরিক আয়কর রিটার্নে প্রদর্শন করতে হবে।
১১। বৈদেশিক অনুদান আসলে, অবশ্যই তা বাংলাদেশ ব্যাংকের মাধ্যমে আসতে হবে।
১২। কোরবানির চামড়া/ নৌপথ /সড়কপথ /লঞ্চঘাট বাসাবাড়ি/বাজার ইত্যাদি থেকে মানি রিসিটের মাধ্যমে, ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নামে, শিক্ষক/শিক্ষার্থীবৃন্দের “চাঁদা” উঠানো দন্ডনীয় অপরাধ হিসেবে গণ্য করতে হবে।
১৩। বাৎসরিক ওয়াজ-মাহফিল করা যেতে পারে। তবে ওয়াজ-মাহফিল নামে, কোন অর্থ সংগ্রহ করা যাবে না।
১৪। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে অথবা ডিজিটাল প্লাটফর্মে ব্যবহার করে ওয়াজ করলে, অবশ্যই বাৎসরিক রিটার্ন জমা দিতে হবে এবং ওয়াজ করার পূর্বে প্রশাসন থেকে অনুমতি সাপেক্ষে শুধুমাত্র কুরআন/হাদিসের আলোকে দ্বীনের উপর ওয়াজ করবেন।
১৫। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সারাবছর হিসেব রেখে, বছরের শেষে সরকার অনুমোদিত কোন অডিট ফার্ম দ্বারা হিসাব নিরীক্ষণ করাতে হবে।
১৬। ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র/ছাত্রী হোস্টেল থাকলে,তা সরকারি নিয়ম নীতির মাধ্যমে পরিচালনা করতে হবে।
১৭। বৈষম্যমূলক শিক্ষাব্যবস্থার বন্ধ করতে হবে। পিতা-মাতার বিত্তের নিক্তিতে ওজন করে নির্ধারিত হয়ে যাচ্ছে কে কিন্ডারগার্টেনে যাবে, কে সরকারি বা বেসরকারি প্রাইমারি স্কুলে সুযোগ পাবে, কার এনজিও স্কুলে ঠাঁই হবে, আর কাকে ইবতেদায়ি মাদ্রাসায় পাঠিয়ে বাবা-মা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলবে যে ‘লিল্লাহ বোর্ডিংয়ে’ ভাতটা তো অন্তত জুটল!
১৮। বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড/বাংলাদেশের কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড(বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া-বেফাক), নূরানী তালীমুল কোরআন বোর্ড এবং ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সকল গ্রেডের অফিসারদের আরো যুগোপযোগী প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে।
১৯। বিভিন্ন বোর্ডের সহকারী কর্মকর্তা এবং দেশের আলেম-ওলামা-মাশায়েখদের, সরকারি খরচে বিশ্বের খ্যাতনামা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে, বিভিন্ন পর্যায়ের প্রশিক্ষণ এবং সেমিনারে যোগ দানের ব্যবস্থা করতে হবে।
২০। প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে খেলার মাঠ এবং খেলার সামগ্রিক থাকতে হবে এবং ইসলামী শরীয়ত অনুযায়ী, ছাত্র-ছাত্রীদের শরীর গঠনে উৎসাহ প্রদান করতে হবে।

২১। আল্লাহর নির্দেশ উপেক্ষা করে, “ধর্মব্যবসা” সরকারের কাছে বন্ধ এবং শাস্তির দাবি করছি।
“আমি যা অবতীর্ণ করেছি (কোরআন) তাতে তোমরা বিশ্বাস স্থাপন কর, তোমাদের কাছে যা আছে (তওরাত) এটি তারই সমর্থক। আর তোমরাই এর প্রথম প্রত্যাখ্যানকারী হয়ো না এবং আমার আয়াতকে স্বল্প মূল্যে বিক্রি করো না। তোমরা শুধু আমাকেই ভয় করবে।” (সূরা বাকারাহ:৪১) “তারা সেই লোক যাদেরকে আল্লাহতায়ালা পথ প্রদর্শন করেছেন। অতএব, আপনি তাদের পথ অনুসরণ করুন। আপনি বলে দিন, আমি তোমাদের কাছে এর জন্য কোনো পারিশ্রমিক চাই না। এটা তো সারা বিশ্বের জন্য উপদেশবাণী”। (সূরা আনআম: ৯০)

বিভিন্ন সময়, নবী/রসূল/পয়গম্বর হিসেবে যাঁরা যুগে যুগে এ পৃথিবীতে এসেছেন, উনারা কি ধর্মীয় বাণী দিয়ে, দোয়া করে, ধর্ম প্রচার করে আয় রোজগার করতেন, নাকি উনারা অন্য কোন কাজের মাধ্যমে আয় করতেন? সবাই অন্য কোন কাজের মাধ্যমে, জীবিকা নির্বাহ করেন। একজন নবীও/খলীফা/ সাহাবি / তাবেয়ী / তাবে-তাবেয়ী ধর্ম প্রচার করতে গিয়ে, কোন বিনিময় বা পারিশ্রমিক নেন নাই। ছাত্র-ছাত্রীদের এই বিষয়টিকে গুরুত্ব সহকারে শিখা দান করতে হবে।

২২। তালেবান, আল কায়েদা ও আইএসের উত্থান-পতনের ইতিহাস পড়াতে হবে।
২৩। “তালেবান” শব্দটি আরবি শব্দ থেকে এসেছে যার অর্থ শিক্ষার্থী। ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের(মাদ্রাসা) এর শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ে এই সংগঠন গড়ে উঠে বলে তার নাম দেয়া হয় “তালেবান”। ফলে বিশেষ করে ধর্মীয় দলগুলো ও ধর্মীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্র-শিক্ষকরাই এখানে অধিক মাত্রায় যোগদান করে। আফগানিস্তানে এই সংগঠনের সূত্রপাত হলেও, পরবর্তীতে এটি পাকিস্তানেও ঘাটি গাড়ে। তবে তারা শুরুতে জঙ্গিগোষ্ঠী হিসেবে পরিচিত ছিল না। একটা সময় তাদের বর্তমান প্রধান শত্রু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথেও তাদের অত্যন্ত ভালো সম্পর্ক ছিল। তবে হুট করে কেন তারা “জঙ্গি” হয়ে গেল?
২৪। কাফেরা, ইসলামী ধর্মীয় অনুভূতিকে কাজে লাগিয়ে, বিভিন্ন দেশে “জিহাদের” নামে যুদ্ধ লাগিয়ে:-
ক। নিজ অর্থায়নে সামরিক প্রশিক্ষণ দেয়া।
খ। নিজেদের তৈরী অস্ত্র বিক্রয়।
গ। যুদ্ধের ময়দানে, অস্ত্রের কার্যকারিতা পরীক্ষা করার মাধ্যমে, নিজ দেশের রাজনৈতিক/ অর্থনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য সিআইএ, কেজিবি, আইএসআইর কার্যক্রম সম্পর্কে শিক্ষার্থীবৃন্দের অবহিত করা।

এদেশে রাজনৈতিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক, সংস্কৃতিক সুস্থ চিন্তাধারার বিকাশ, দ্বীনের প্রচার-প্রসার এবং ইসলামী জ্ঞান-বিজ্ঞানের ময়দানে যুগান্তকারী বিপ্লব সাধনের জন্য বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যেমে, ধর্মীয় শিক্ষাব্যবস্থার আরও আধুনিকায়নের সুযোগ আছে।

 

পোস্টটি আপনার স্যোশাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© All rights reserved © জীবন নিউজ ২৪ ডট কম
Theme Customized BY LatestNews