৬৫ দিন কারাভোগ শেষে জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর আবারো কারাগারের সামনে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছেন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ১৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের আহবায়ক মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ।
তিনি বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকারের আপন ছোট ভাই। খোরশেদ আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে নারায়ণগঞ্জ-৫ (শহর-বন্দর) আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশা নিয়ে গণসংযোগ করে আসছিলেন এবং তিনি সিটি কর্পোরেশেনের টানা দুবার নির্বাচিত কাউন্সিলর।
এর আগে পৌরসভা থাকার সময়েও তিনি একই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নির্বাচিত হন।
হাইকোর্টের জামিনের আদেশ বুধবার নারায়ণগঞ্জ কারাগারে পৌঁছালে কারাগার থেকে বের হন খোরশেদ। পরে কারাগারের সামনে থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানা পুলিশ।
কাউন্সিলর খোরশেদের পক্ষে আইনজীবী অ্যাডভোকেট বোরহান উদ্দিন সরকার জানান, মঙ্গলবার হাইকোর্ট থেকে জামিনের আদেশ বুধবার সকালে নারায়ণগঞ্জ জেলা কারাগারে পৌঁছে। পরে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ২০১৭ সালের ৯ সেপ্টেম্বরের একটি মামলায় তাকে কারাগারের সামনে থেকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। তাকে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে। আগামী রবিবার মামলার রিমান্ড শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।
জানা গেছে, গত ১৯ মার্চ দুপুরে শহরের মাসদাইর এলাকায় আদর্শ স্কুলে নির্বাচন কমিশনের অধীনে ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের মধ্যে জাতীয় পরিচয়পত্র (স্মার্ট কার্ড) বিতরণ অনুষ্ঠান থেকে আটক করে পুলিশ। এর পর সদর মডেল থানার একটি ও ফতুল্লা মডেল থানার আরেকটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। ওইসব মামলায় তাকে কায়েক দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এর পর থেকে এখনও পর্যন্ত মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ কারাগারে বন্দি আছেন।