মুন্সীগঞ্জ: ১ অক্টোবর থেকে ২২ অক্টোবর পর্যন্ত ইলিশের ভরা প্রজনন মৌসুম। এ ২২দিন সব প্রজাতির মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। নদী বেষ্টিত জেলার চারদিকে রয়েছে নদী। সরকারি হিসাব মতে, ৬টি উপজেলায় ৮হাজারের অধিক জেলে রয়েছে, এর মধ্যে ২৮২৭ জন জেলে ইলিশ মাছ ধরে থাকে।
লৌহজং, টংগীবাড়ি উপজেলা অংশের পদ্মা নদী এবং গজারিয়ার মেঘনা অংশের জেলেদের ইলিশ মাছ ধরার অঞ্চল হিসাবে পরিচিত। তবে ২২দিন জেলার জেলেদের জন্য সরকারিভাবে চাল দেওয়ার কথা থাকলেও মুন্সীগঞ্জে বরাদ্দ নিয়ে অনিশ্চিত। এর আগের বছরের জেলেদের চাল বরাদ্দ হয়নি। তিন বেলা অন্ন মুখে জোটে যা করে তা বন্ধ করে দিয়ে যদি বরাদ্দ না দাওয়া হয় তাহলে জেলার জেলেদের বেঁচে থাকা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে। বিগত বছর গুলোতেও জেলদের বরাদ্দ পেতে নানা জটিলতা ও সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।
জেলা মৎস্যজীবি সমিতির সভাপতি ও জেলা আমানউল্লাহ মিয়া জানান, জীবিকার তাগীদে কয়েকটি জায়াগায় মাছ ধরছে। বাংলাবাজার এলাকায় গিয়ে দেখা যাবে নৌকাগুলো অলস সময় পার করছে। জেলেদের জমানো টাকা যা ছিল তাও শেষের দিকে। এর আগেও জেলাতে ইলিশ মৌসুমে অনুদান পাওয়া যায়নি। এবারেও পাওয়া যাবে না বলে মনে হচ্ছে।
সদরের বাংলাবাজার এলাকার জেলে জহিরুল ইসলাম জানান, আমরা জেলে, মাছ শিকার করে প্রতিদিন মুখে অন্ন জোটে পরিবারের চাহিদা পূরন হয়। কিন্তু ইলিশ মৌসুমে আমাদের মাছ ধরতে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। সরকার ইলিশ মাছ না ধরতে এবং ধরলে নানা শাস্তির বিধান রেখেছে কিন্তু জেলেরা এই ২২দিন কিভাবে অনুদান ছাড়া থাকবে তা নিশ্চিতের ব্যপারে নানা জটিলতা দেখাচ্ছে। জালগুলো বাসায় ফেলে রেখেছি, নদীর পাড়ে নৌকাগুলোও পড়ে আছে। সরকার ইলিশ বাচাতে চায়, জেলে বাচাতে চায় না ?
বাংলাবাজার এলাকার হান্নান জানান, পরিবার নিয়ে দুঃশ্চিন্তায় আছি। প্রতিদিন মাছ ধরতে যাওয়ার উপর নির্ভর করে পরিবারের চাহিদা মেটে। এখন মাছ ধরতে পারছিনা। অভাবের সংসার চাহিদা মেটাতে নানা জটিলতা পোহাতে হচ্ছে। দিন যত এগিয়ে আসছে সমস্যা আরোও বেড়েই যাচ্ছে। আমাদের অনুদানের বিষয়ে শ্রীঘ্রই ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
লৌহজং উপজেলার ইলিশ মাছ ধরা জেলে আওলাদ হোসেন জানান, নদীতে জাল নিয়ে মাছ ধরতে নিষেধ করা হয়েছে। আমাদের পরিবারগুলো মাছ ধরেই চলে থাকে। এই উপজেলায় শতাধিক জেলে আছে। কিন্তু আমাদের বরাদ্দ হয়েছে কিনা জানা নেই। যদি বরাদ্দ না দাওয়া তাহলে কিভাবে পরিবার চালাবো।
মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রশাসক সায়লা ফারজানা, এর আগের বছর মৎস্য মন্ত্রনালয়ের মাধ্যমে ১৪টি জেলায় ত্রাণ মন্ত্রনালয় থেকে বরাদ্দ পেলেও মুন্সীগঞ্জ বঞ্ছিত হয়। এবার মৌসুম শুরুর দুই সপ্তাহ আগেই সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয় বরাবর চিঠি লিখেছি। আশা করি অন্য জেলা পেলে মুন্সীগঞ্জ জেলা পাবে। বরাদ্দ হোক কিংবা না হোক সরকারি নিয়ম অনুযায়ী মা ইলিশ ধরা যাবে না।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ড. অলিয়ুর রহমান জানান, গতবার ভুলের কারনে আমাদের জেলাতে জেলেদের জন্য বরাদ্দ আসেনি। এবার মন্ত্রনালয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে, রোহিঙ্গা ইস্যুতে ত্রাণ মন্ত্রনালয়ে ব্যস্ততা ও তাদের বরাদ্দের কারনে আমরা বরাদ্দ পাবো কিনা তা এখনো বলা যাচ্ছেনা।
. . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . .
সম্পাদক : জীবন খান, উপদেষ্টা : ডি আই জি আনোয়ার (অব:) , মোহাম্মদ আমিমুল এহসান খান, আইন উপদেষ্টা : ফেরদৌস কবির খান, সহকারি সম্পাদক: মোঃ জিল্লুর রহমান খান, নির্বাহী সম্পাদক : মতিউর রহমান ( জনি), সিনিয়র সহ-সম্পাদক: সজীব হোসেন (জয়), মফস্বল সম্পাদক: এহতেশামুল হক (মাশুক)।
চৌধুরী মল (৫ম তলা), ৪৩ শহীদ নজরুল ইসলাম সড়ক, হাটখোলা রোড, টিকাটুলী, ঢাকা-১২০৩। মোবাইল : ০১৭১৪-০২২৮৭৭, E-mail : jibonnews24@gmail.com
জীবন নিউজ ২৪ ডট কম