রাজধানীর খিলক্ষেত জোয়ারসাহারায় বিআরটিসি’র বাস ডিপোতে আগুন লেগে ১১টি বাস পুড়ে গেছে। শুক্রবার রাত একটার দিকে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ৭টি ইউনিট ৩ ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। অগ্নিকাণ্ডের কারণ জানা যায়নি। পুড়ে যাওয়া বাসগুলো মতিঝিল-জয়দেবপুর, মোহাম্মদপুর-কুড়িল বিশ্বরোড, মতিঝিল-টঙ্গী ও মতিঝিল-আবদুুল্লাহপুর রুটে লিজে চলাচল করতো। বিআরটিসি বাস লিজ গ্রহণকারীদের মধ্যে দ্বন্দ্বের জের ধরে কেউ বাসে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে কিনা তা তদন্ত করছে বিআরটিসি।এ ঘটনার তদন্তে একজন অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ বিষয়ে জোয়ারসাহারা বাস ডিপোর ব্যবস্থাপক
মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান জানান, রাত একটার দিকে কর্মীরা রাতের শিফটে কাজ করছিল। এ সময় হঠাৎ করে ডিপোতে তারা আগুন দেখতে পান। আগুন লাগার পরপরই ফায়ার সার্ভিসে খবর দেয়া হলে তাদের গাড়িও এসেছিল। তবে পানি না থাকায় আগুন নেভানোর কাজ দেরিতে শুরু হয়। পরে পাশের একটি পাম্প থেকে পানি নিয়ে আগুন নেভানো হয়। তিনি জানান, আগুনে পুড়ে যাওয়া ১১ টি বাসের মধ্যে ৫ টি ডাবল ডেকার বাস, ৫ টি সিঙ্গেল ডেকার ও ১ টি মিনিবাস। এদের মধ্যে ৭ টি বাস ছিল সচল। ৪ টি বাস অকেজো ।
জানা গেছে, ডিপোতে শতাধিক বাস ছিল। আগুন লাগার পর চালকরা অনেকগুলো বাস চালিয়ে বাইরে নিয়ে আসে। ফলে ভয়াবহ ক্ষতি থেকে অনেকগুলো বাস রক্ষা পায়।
উত্তরা ফায়ার স্টেশনের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা সফিকুল ইসলাম বলেন, আগুন লাগার খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে উত্তরা, কুর্মিটোলা ও বারিধার ফায়ার স্টেশনের ৭টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ফায়ার সার্ভিস দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছার কারণে ডিপোতে রক্ষিত অনেকগুলো বাস আগুন থেকে রক্ষা পেয়েছে। ঘটনাটি তদন্ত করে আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যাবে। গতকাল সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব মো. নজরুল ইসলাম, বিআরটিসি’র চেয়ারম্যান ফরিদ আহমেদ ভূঁইয়াসহ কর্মকর্তারা। সচিব নজরুল ইসলাম বলেন, এখন পর্যন্ত আগুন লাগার কারণ জানতে পারিনি। ঘটনাস্থলে যারা ছিল তারা কেউ বলতে পারছে না কীভাবে আগুন লেগেছে। তবে প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, গাড়ির ইলেকট্রিক ফাংশনের শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লাগতে পারে।