অবশেষে বাস্তবে রূপ পেল বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ও ওয়ানডে লিগের প্রস্তাব। বিশ্ব ক্রিকেটের অবিভাবক সংস্থা আইসিসি এই প্রস্তাবে সম্মত হয়েছে। ২০১৯ সাল থেকে শুরু হতে যাচ্ছে নয়টি দেশকে নিয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ। দেশে ও বিদেশে মোট ছয়টি করে সিরিজ খেলবে দেশগুলো। দুই বছর পর অনুষ্ঠিত হবে এই চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল। ১৩টি দেশকে নিয়ে হবে ওয়ানডে লিগ। ২০২০-২১ মৌসুমে শুরু হয়ে এটি চলবে ২০২৩ বিশ্বকাপের ঠিক আগপর্যন্ত। বলা বাহুল্য, দ্বিস্তরবিশিষ্ট ক্রিকেটের নব্য সংস্করণ এটি।
নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ডে আইসিসির পরিচালনা পর্ষদের সভায় লিগভিত্তিক এই ফরমেটকে অনুমোদন দেয় আইসিসি।
টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের পয়েন্ট পদ্ধতি অবশ্য এখনো চ‚ড়ান্ত হয়নি। তবে আইসিসি জানিয়েছে, টেস্ট র্যাংকিং অনুযায়ী সেরা নয় দল মিলে হবে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ। দুই বছর পর, অর্থাৎ ২০১২ সালে সবচেয়ে বেশি পয়েন্ট পাওয়া দল ইংল্যান্ডে শিরোপার লড়াইয়ে মুখোমুখি হবে। এই দুই বছরে প্রতিটি দেশ সমান সংখ্যক ছয়টি করে সিরিজ খেলার সুযোগ পাবে। প্রতিটি সিরিজে সর্বোচ্চ তিনটি করে ম্যাচ থাকবে ।
অ্যাশেজের মতো সিরিজগুলোও এই লিগে অন্তর্ভুক্ত হবে, তবে ঐতিহ্যের কথা ভেবে অ্যাশেজকে পাঁচ ম্যাচ পর্যন্ত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জিম্বাবুয়ে, আয়ারল্যান্ড ও আফগানিস্তান নিয়ে আরেকটি টেস্ট লিগ। সেখানে ভালো করার মাধ্যমে একটি দল উঠে আসতে পারে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের লড়াইয়ে।
১৩ দল নিয়ে হবে ওয়ানডে লিগ। ২০২১ সালে এটি শুরু হয়ে ২০২৩ পর্যন্ত। সবগুলো দল এ দুই বছরে আটটি সিরিজ খেলার সুযোগ পাবে। এখানেও দেশ-বিদেশে হবে চারটি করে সিরিজ। প্রতিটি সিরিজ হবে তিন ম্যাচের। এই লিগে ভালো খেলার মাধ্যমে সরাসরি বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ পাবে র্যাংকিংয়ের নিচে থাকা দলগুলো। এ ছাড়া ২০১৯ সালের আগপর্যন্ত পরীক্ষামূলকভাবে চার দিনের টেস্ট আয়োজন করতে সম্মত হয়েছে সব দেশ। জিম্বাবুয়ে-দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ দিয়ে পরীক্ষামূলকভাবে চার দিনের টেস্ট ম্যাচ শুরু হবে।