1. rajubdnews@gmail.com : 24jibonnews : admin
রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ০২:১৭ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদ:
গাজায় ইসরাইলি হামলায় ৬১ জন ফিলিস্তিনি নিহত, আহত হয়েছে ২৩১ জন ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যাকাণ্ডের আসামিকে ৫ দিনের রিমান্ড সারাদেশে আধিপত্য বিস্তারকারীদের তালিকা তৈরির কাজ চলছে : আইজিপি অস্ট্রেলিয়ায় নিখোঁজের দুই সপ্তাহ পর জীবিত উদ্ধার জার্মান পর্যটক বিচ্ছিন্ন ঘটনায় দায় বিএনপির ওপর চাপানো অপরাজনীতি : সালাহউদ্দিন আহমদ ১৮ বিচারককে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠিয়েছে সরকার ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী জন্য ৩০০ কেজি আম পাঠিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা চার বছর পর টেস্ট ক্রিকেটে ফিরেছেন জোফরা আর্চার এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ ফেনী-নোয়াখালী অঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি

গ্লোবাল ফিন্যান্স মিনিস্টার অব দ্যা ইয়ারে ভূষিত অর্থমন্ত্রী

প্রতিনিধির নাম :
  • আপডেট এর সময় : বৃহস্পতিবার, ২ জানুয়ারী, ২০২০

লন্ডন ভিত্তিক ফিন্যন্সিয়াল টাইম গ্রুপ এর মাসিক ম্যাগাজিন ‘দ্য ব্যাংকার’ পত্রিকা ২০২০ সালের জন্য ফিন্যান্স মিনিস্টার অব দ্য ইয়ার ফর এশিয়া-প্যাসিফিক অ্যান্ড গ্লোবাল অ্যাওয়ার্ড-২০২০ এ ভূষিত হয়েছেন বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। সারাবিশ্বের অর্থমন্ত্রীদের আর্থিক খাতে গতিশীলতা আনয়নসহ দীর্ঘমেয়াদী উন্নয়ন নিশ্চিতকরণে গৃহিত পদক্ষেপ বিবেচনা করে এ পুরস্কারে ভূষিত করা হয়।

এশিয়া-প্যাসিফিক, আমেরিকা, আফ্রিকা, মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপ, এই পাঁচটি অঞ্চল হতে পাঁচজন অর্থমন্ত্রীকে এবং তাদের মধ্যে থেকে একজনকে বিশ্বের মধ্যে শ্রেষ্ঠ অর্থমন্ত্রী হিসাবে ঘোষণা করা হয়। বাংলাদেশের কোন অর্থমন্ত্রী প্রথমবারের মতো এই পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। পত্রিকাটি ১৯২৬ সাল হতে প্রকাশিত হচ্ছে। পুরস্কারটি ২০০৪ সাল থেকে দেওয়া হচ্ছে। গতবছর এ পুরস্কারে ভূষিত হয়েছিলেন ইন্দোনেশিয়ার অর্থমন্ত্রী, তার আগের বছর ভারতের সাবেক অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি এবং ২০১৭ সালে আর্জেন্টিনার অর্থমন্ত্রী এ পুরস্কার লাভ করেন।

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বিরল এ পুরস্কারটি দেশের সর্বস্তরের সকল জনগণের উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করেছেন। সেইসাথে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করে বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশিত পথ অনুসরণ করেই এটি অর্জিত হয়েছে।

উল্লেখ্য ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার গঠনের পর মুস্তফা কামালকে অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব প্রদান করা হয়। তিনি ২০১৪-২০১৮ সময়কালে সফলভাবে পরিকল্পনামন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। অর্থমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব গ্রহণের পর পরই তিনি চলমান অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির গতিকে সচলরাখা ও আর্থিক খাতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনয়নে বেশ কিছু কার্যকরী উদ্যোগ গ্রহণ করেন। পর পর তিনটি অর্থবছর ৭ শতাংশের ওপর প্রবৃদ্ধি অর্জিত হওয়ার পর ২০১৮-১৯ অর্থবছর ৮ দশমিক ১৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে, যা দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের মধ্যে সর্বোচ্চ। বিশ্ব প্রবৃদ্ধিতে প্রভাব বিস্তারকারি শীর্ষ ২০টি দেশের অন্তর্ভুক্ত বাংলাদেশ। অর্থমন্ত্রীর নীতি নির্ধারণী অনেকগুলো উদ্যোগের মধ্যে ব্যাংক, আর্থিক খাত ও রাজস্ব খাতের সংস্কার উল্লেখযোগ্য। বিশেষ করে ব্যাংক সুদের হার সিঙ্গেল ডিজিডে নামিয়ে আনতে উদ্যোগ গ্রহণ করেন তিনি। রাষ্ট্রায়াত্ত্ব ব্যাংকগুলোর যৌক্তিক কারণে খেলাপি হওয়া ঋণ পুনঃতফসিলকরণের উদ্যোগ গ্রহণ, ইচ্ছাকৃত ঋণ খেলাপিদের দেউলিয়া ঘোষণাসহ এসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানির মাধ্যমে ঋণ আদায়ের উদ্যোগ গ্রহণ, পুঁজিবাজারে প্রয়োজনীয় সংস্কার ও প্রণোদনা প্রদানের উদ্যোগ গ্রহণ, বন্ড মার্কেট চালুর উদ্যোগ গ্রহণ ছাড়াও প্রথমবারের মতো বাংলা টাকা বন্ড লন্ডন স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্তকরণ উল্লেখযোগ্য। সেইসাতে ভ্যাট আইন চালু করা, কাস্টমস আইন সংস্কার করা এবং উপজেলা পযন্ত আয়কর আদায়ের জাল বিস্তারের উদ্যোগ গ্রহণ করেন তিনি। সম্প্রতি রেমিট্যান্স বাড়াতে ২ শতাংশ প্রণোদনা ঘোষণা করা হয় যার প্রভাবে রেকর্ড রেমিট্যান্স আসছে দেশে।

পোস্টটি আপনার স্যোশাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© All rights reserved © জীবন নিউজ ২৪ ডট কম
Theme Customized BY LatestNews