আঘাতে এক এতিমখানার শিক্ষার্থী মারা গেছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সে মারা যায়। এই ঘটনায় বিকেলে ওই শিক্ষার্থীর সহপাঠীকে আটক করেছে পুলিশ।
মারা যাওয়া ওই শিক্ষার্থীর নাম মো. মিজানুর রহমান (১১)। সে উপজেলার কলাউজান শাহ আমজাদিয়া হেফজখানা ও নুরিয়া এতিমখানার হেফজ শাখার শিক্ষার্থী ছিল। উত্তর কলাউজান সিকদার পাড়ার মোহাম্মদ ইছহাকের ছেলে মিজান।
পুলিশ ও এতিমখানা সূত্রে জানা যায়, এতিমখানায় গত বুধবার দিনগত রাত চারটার দিকে মিজানুর রহমান ঘুম থেকে ওঠে। পরে তার এক সহপাঠীকে ঘুম থেকে জাগানোর জন্য মুখে পানি ছিটিয়ে দেয়। হন্তদন্ত হয়ে সেই সহপাঠী ঘুম থেকে উঠে ক্ষিপ্ত হয়ে মিজানুরকে মারার চেষ্টা করে। এ সময় মিজানুর ভবনের বাইরে চলে যায়। পরে ওই সহপাঠী ঘণ্টির দণ্ড (লোহার রড) নিয়ে ধাওয়া করে মিজানুরের দিকে ছুড়ে মারে। এতে রডটি মিজানের মাথায় বিদ্ধ হলে সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। তাকে উদ্ধার লোহাগাড়ার আমিরাবাদের একটি বেসরকারি ক্লিনিকে নেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে সেখানেই তার মৃত্যু হয়।
মিজানুর রহমানের বাবা মোহাম্মদ ইছহাক মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমার ছেলেকে মাদ্রাসায় পড়তে দিয়েছিলাম, কোরআনের হাফেজ বানানোর জন্য। কিন্তু তারা আমার ছেলেটাকে হাফেজ না বানিয়ে হত্যা করেছে।’ ছেলে আহত হওয়ার পর মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ সেই খবরটি জানায়নি বলেও দাবি করেন মোহাম্মদ ইছহাক।
মাদ্রাসার পরিচালক গোলাম রসুল কমরী প্রথম আলোকে বলেন, মিজান মাথায় আঘাত পেলে তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়। দ্রুত চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করতে গিয়ে ওই সময় তাঁর অভিভাবকদের খবর পাঠানো সম্ভব হয়নি।
লোহাগাড়া থানার পরিদর্শক (এসআই) মো. মফিজুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে নিহত মিজানুরের এক সহপাঠীকে আটক করা হয়েছে।