1. rajubdnews@gmail.com : 24jibonnews : admin
মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫, ১০:০৫ অপরাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদ:
নতুন বাংলাদেশ গঠনে কাজ করছে সরকার: প্রধান উপদেষ্টা মহানবী (সা.) ও মুসা (আ.)-কে নিয়ে ব্যঙ্গচিত্র আঁকায় চারজন কার্টুনিস্ট আটক বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন যশোরের আহ্বায়ক রাশেদ খান পদত্যাগ করেছেন ঝিনাইদহের শৈলকূপায় ট্রাক চাপায় এক ব্যক্তি নিহত গোলাম রাব্বানীর দ্বিতীয় চলচ্চিত্র ‘আনটাং’ অফিসিয়ালি নির্বাচিত হচ্ছে ওয়াটারলু ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে টেলিফোনালাপ মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ’কাঁটা লাগা’ গার্ল খ্যাত শেফালি জরিওয়ালা হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান ভয়াবহ দাবানলে পুড়ছে তুরস্কের পশ্চিমাঞ্চলীয় ইজমির প্রদেশ ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৭২ ফিলিস্তিনি নিহত পিআরকে ইস্যু করে দেশের মানুষের গণতন্ত্রের আকাঙ্ক্ষায় দ্বন্দ্ব সৃষ্টিকারী বাংলাদেশের আদর্শে বিশ্বাসী না

যমুনা ও বড়াল নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় আতঙ্কে কৃষকেরাÑ শাহজাদপুরের রাউতারা ঝুঁকিপূর্ণ রিং বাঁধের উপর নির্ভর করছে ৬৩ হাজার হেক্টর জমির ধান

প্রতিনিধির নাম :
  • আপডেট এর সময় : বৃহস্পতিবার, ২৪ মে, ২০১৮

 

মাসুদ মোশাররফ, শাহজাদপুর (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি ঃ উত্তরাঞ্চলের শস্য ভান্ডার হিসেবে খ্যাত চলনবিল অঞ্চলের বিস্তীর্ণ জমির ফসল বন্যার হাত থেকে রক্ষায় নির্মিত সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরের বড়াল নদীর মুখে রাউতারা রিং বাঁধ। সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের পওর বিভাগের বাস্তবায়নে ১,৫১,১৫,৫৮.৯৬ টাকা ব্যায়ে গত ২০ মে রিং বাঁধটির নির্মাণ কাজ শেষ হয়। প্রতি বছর আগাম বন্যার হাত থেকে কৃষকের ধান রক্ষার জন্য এটি নির্মাণ করা হলেও এ বছর আরও নি¤œ মানের করে নির্মাণ করা হয়েছে। সম্প্রতি হাওর অঞ্চলগুলোতে বন্যা ও বৃষ্টির কারণে কৃষকের স্বপ্ন ভঙ্গ হওয়ায় শাহজাদপুরসহ চলনবিল অঞ্চলের হাজার হাজার কৃষক শঙ্কিত হয়ে পড়েছে। কারণ ইতিমধ্যেই শাহজাদপুরের প্রধান প্রধান নদী, যমুনা, করতোয়া, বড়াল, ও হুরাসাগরে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এ অঞ্চলে কিছু কিছু স্থানে ধান পাকলেও অধিকাংশ মাঠের ধান এখনও আধাপাকা। ঈদের সপ্তাহ খানেক আগে এসব ধান পুরোপুরি পাকার সম্ভাবনা রয়েছে। সম্প্রতি নদীতে পানিবৃদ্ধি কৃষকদের জন্য দুঃশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাড়িয়েছে। প্রতি বছর পানি উন্নয়ন বোর্ডের লোÑহাইট বাঁধ বন্যার শুরুতেই ভেঙ্গে যায় এতে শত শত হেক্টর কাঁচাÑপাকা ধান ডুবে যায়। যদি এই মুহুর্তে বন্যার পানি তীব্রগতিতে বৃদ্ধিপায় তাহলে মাত্র কয়েক ঘন্টার ব্যবধানেই লোÑ হাইট বাঁধটি ভেঙ্গে শাহজাদপুরসহ চলনবিল অঞ্চলের প্রায় ৬৩ হাজার হেক্টর জমির ধান ডুবে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। আশিরদশকে ৫০ কোটি টাকা ব্যায়ে শাহজাদপুরের বাঘাবাড়ী বড়াল নদীর রাউতারা থেকে তাড়াশের নিমাইচড়া পর্যন্ত বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ নির্মাণ করা হয়। ৩৫ কিঃ মিঃ দীর্ঘ এই বাঁধ নির্মাণের ১০ বছরের মাথায় এর ত্রæটি ধরা পড়ে। ভূল পরিকল্পনায় তৈরী এ বাঁধের কারণে বর্ষা মৌসুমে চলনবিল অঞ্চলের ৭টি থানার পানি প্রবাহ বাঁধার সম্মুখীন হওয়ার পাশাপাশি অস্বাভাবিক বন্যা ও জলাবদ্ধতার সৃষ্টি করে। এ অবস্থায় পানি উন্নয়ন বাঁধটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করে। কিন্তু বর্তমানে বাঁধটির অভ্যন্তরে প্রায় ৬৩ হাজার হেক্টর জমিতে চাষ করা হয়েছে ইরিÑবোরো ধান। সরেজমিনে ঘুরে বৃহস্পতিবার সকালে এ অঞ্চলের ৭০ভাগ জমির ধান কাচা দেখা গেছে। পুরোদমে ধান পাকতে ১৫ থেকে ২০দিন সময় লাগবে। সেই সাথে কৃষক ধান মাড়াই করে ঘরে তুলতে তারচেয়ে বেশি সময় লাগতে পারে। এরকম পরিস্থিতিতে কৃষকেরা শঙ্কিত অবস্থায় আছেন। লোÑহাইটের বাঁধ নির্মাণ করায় এলাকার কৃষকেরাও দারুন হতাশ। এ ব্যাপারে পোতাজিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী বেপারী জানান, আমাদের কৃষকেরা পানি উন্নয়নবোর্ডের গাফিলতি ও লোÑহাইটের রিং বাঁধ নির্মাণে খুবই ক্ষুব্দ। নদীতে পানি বাড়লেই কৃষকের বুক কাঁপে। নি¤œমানের বাঁধ, ও বালু দিয়ে তৈরী রিং বাঁধ সামান্য বৃষ্টিতেই চার সাইডে ধসে পড়তে পারে। এজন্য এ অঞ্চলের কৃষকদের প্রাণের দাবী এই রিং বাঁধটি স্থায়ীভাবে মজবুত করে দিলে এই ৬৩ হাজার হেক্টর জমিতে বারো মাস বিভিন্ন ফসল ফলানো সম্ভব।

 

পোস্টটি আপনার স্যোশাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© All rights reserved © জীবন নিউজ ২৪ ডট কম
Theme Customized BY LatestNews