যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত একজন নারী কয়েদীর মুক্তির অনুরোধ করতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের জনপ্রিয় টিভি ব্যক্তিত্ব ও অভিনেত্রী কিম কার্দাশিয়ান। খবর বিবিসির।
মাদক সংক্রান্ত অপরাধে গত ২০ বছর ধরে কারাভোগ করছেন ৬৩ বছর বয়সী অ্যালিস ম্যারি জনসন।
ট্রাম্পের জামাতা জারেড কুশনারও এই মামলার ব্যাপারে কার্দাশিয়ানের সঙ্গে গত কয়েক মাস ধরে কথা বলছেন।
বৃহস্পতিবার সকালে ট্রাম্প এক টুইট বার্তায় বলেছেন, কার্দাশিয়ানের সঙ্গে তার চমৎকার ‘বৈঠক’ হয়েছে।
কেন কার্দাশিয়ান এই মামলার সঙ্গে জড়িত হলেন?
একটি টেলিভিশনের রিয়েলেটি শোতে জনসনের জীবনের গল্প প্রথম দেখানো হয়। এরপর সোশ্যাল মিডিয়াতে তার মামলার বিষয়ে একটি সংক্ষিপ্ত ভিডিও প্রকাশিত হয়। এরপর কিম তার দীর্ঘ দিনের ব্যক্তিগত আইনজীবী শাওন হলির সঙ্গে এই বিষয়ে কথা বলেন। জনসনের জন্য নতুন আইনজীবী দল নিয়োগ দেয়া হয়।
রিয়েলিটি টেলিভিশন স্টার কর্তৃপক্ষ ট্রাম্পের জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা জারেড কুশনারের সঙ্গে এই বিষয়ে কথা বলেন।
অ্যালিস ম্যারিস জনসন
জনসনের মেয়ে জানান, কিম এই মামলার সঙ্গে জড়িত হওয়ার পর থেকে এর প্রক্রিয়া দ্রুত গতিতে এগুতে থাকে।
বুধবার জনসনের জন্মদিন ছিল।কিম তাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে একটি টুইটও করেছেন।
বৈঠকে কিম ও ট্রাম্প বলেছেন, তারা আশা করছেন জনসন ‘একটি নতুন জীবন শুরু করার জন্য দ্বিতীয় বার সুযোগ পাবেন।’
কে এই অ্যালিস ম্যারিস জনসন?
১৯৯৬ সালে প্রথম বারের মতো তাকে অসহিংস মাদকের অপরাধের জন্য তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়। মাদক বিক্রেতা ও বন্টনকারীদের মধ্যে টেলিফোনে তথ্য আদান-প্রদান করতেন জনসন।