মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সেনা অভিযানের মুখে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গা নাগরিকদের পরিস্থিতি সরেজমিনে দেখতে এবং বাংলাদেশের সঙ্গে কূটনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক নিয়ে আলোচনার জন্য ঢাকায় এসেছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি দল।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্র জানায়, শনিবার আসা উচ্চপর্যায়ের এই প্রতিনিধি দলে ইউরোপীয় ইউনিয়নের মানবাধিকার, বৈদেশিক সম্পর্ক ও বাণিজ্য বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির প্রধানরা রয়েছেন। বাংলাদেশ সফর শেষে ইউরোপীয় ইউনিয়নের মানবাধিকার ও বাণিজ্য বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির প্রধানরা মিয়ানমার যাবেন। সেখানে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে মিয়ানমারকে চাপ দেবে এই প্রতিনিধি দল।
ইইউ’র মানবাধিকার বিষয়ক সাব কমিটির সভাপতি পিয়ার এন্টনি পেনজারির নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলে রয়েছেন জেকহিম জিলিয়ার, সোরায়া পোস্ট, বারবারা লকবাইলার, উরমাস পায়েট, মার্ক তারাবেলা, জেন ল্যাম্ববার্ট, জেমস নিকলসন, রির্চাড করবেট, ওয়াজিদ খান, সাজ্জাদ করিম।
এখন পর্যন্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নই রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমারকে দৃশ্যত সবচেয়ে বেশি চাপের মধ্যে রেখেছে। আর সেই সঙ্গে রোহিঙ্গা সংকট মোকাবেলায় বাংলাদেশের পাশে থাকার ব্যাপারেও উদ্যোগী ভূমিকা রেখেছে ইইউ।
এর আগে, গত বছরের শেষের দিকে রোহিঙ্গা ইস্যুতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের মানবিক সহায়তা ও সংকট ব্যবস্থাপনা বিষয়ক কমিশনার ক্রিসতোস্ত স্তিলিয়ানিদেস ঢাকা সফর করেছেন।
গত বছরের ২৫ আগস্ট মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর সশস্ত্র গোষ্ঠীর হামলার পর সেনা অভিযানের মুখে পালিয়ে এসে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গা নাগরিক। এদেরকে ফিরিয়ে নেয়ার বিষয়ে মিয়ানমারের সঙ্গে ফিজিক্যাল অ্যারাঞ্জমেন্ট চু্ক্তি হয়েছে জানুয়ারিতে। মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ ২৩ জানুয়ারি থেকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের কথা গণমাধ্যমকে জানিয়েছিল। কিন্তু সে প্রত্যাবাসন এখনো শুরু হয়নি।
এই চু্ক্তির পর রোহিঙ্গারা মিয়ানমারে তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবিতে বিক্ষোভ করেছে। আর পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী জানিয়েছেন, মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করেই তারা প্রত্যাবাসন শুরু করবেন।