দিনাজপুরে এখন চলছে লিচু পাড়া ও বিক্রির ধুম। লাল টসটসে লিচুতে রঙ্গীন হয়ে উঠছে এখনকার বাজার থেকে শুরু করে প্রতিটি বাড়ি। অন্যান্য বারের চেয়ে এবার ফলনও হয়েছে ভাল। দামও আগের চেয়ে কিছুটা বেশি বলে জানিয়েছেন কৃষক। আর দিনাজপুরসহ চিরিরবন্দরের লিচু বৈশিষ্টের কারণে অন্য এলাকার লিচুর চেয়ে আলাদা হওয়ায় এখানে ভিড় জমিয়েছেন বিভিন্ন্ এলাকার পাইকাররা।
দেশ ব্যাপী খ্যাতি রয়েছে দিনাজপুরের লিচুর। এবারে চিরিরবন্দরে গড়ে উঠেছে প্রায় ১২ শত লিচু বাগান। লিচু বাগানগুলোতে প্রতি বছর খরচ করতে হয় না। অল্প পরিচর্যায় প্রতি বছর মোটা অঙ্কের আয় হয় স্থানীয়দের। তাই এখানকার সবাই ঝুকছেন লিচু চাষে। চলতি বছর চিরিরবন্দর উপজেলায় ৫১০হেক্টর জমিতে লিচু চাষ হয়েছে। চিরিরবন্দরের প্রতিটি বাড়ির বসত ভিটা বা আঙ্গিনার গাছে গাছে লাল লিচুতে রঙিন হয়েছে পুরো উপজেলা। উপজেলা জুড়ে গাছে থোকায় থোকায় বাহারি লিচু সবার মন কাড়ছে। শেষ সময় পর্যন্ত আবহাওয়া অনূকুলে থাকলে লাভবান হওয়ার আশা করছেন কৃষকরা। এখন পাকা লিচু রক্ষায় রাতভর বাগান পাহাড়া দিচ্ছেন বাগান মালিকরা ।
চিরিরবন্দর সাতনালা লিচু চাষি আব্দুল রহমান জানান, দিনে বিভিন্ন পাখি ও কিশোর-কিশোরীদের অত্যাচার এবং রাতে বাদুরের উপদ্রব থেকে লিচু রক্ষা করতে দিনরাত বাগান পাহাড়া দিতে হচ্ছে।
লিচুর পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতা রহিম ইসলাম বলেন, বর্তমানে পুরোদমে গাছ থেকে লিচু পাড়ার কাজ ও বিক্রি শুরু হয়েছে। গত বছর ১০০ লিচুর দাম ছিল ১৫০ থেকে ৩৫০ টাকা পর্যন্ত। এবার লিচুর দাম কিছুটা বাড়তে পারে।
পাইকাররা প্রতি বছর এখান থেকে লিচু কিনে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহ করে থাকেন। অন্যান্য এলাকার লিচু থেকে দিনাজপুরের লিচুর স্বাদ আলাদা হওয়ায় বিভিন্ন এলাকার লোকজন ভিড় এখানে জমান লিচু কিনতে।