1. rajubdnews@gmail.com : 24jibonnews : admin
বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫, ১০:০৪ অপরাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদ:
ভোটার হতে পারবেন তফসিল ঘোষণার এক মাস আগেই ১৮ বছরে পৌঁছানো নাগরিকরা গোপালগঞ্জে সহিংসতা: তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠন ইরাকে শপিং মলে ভয়াবহ আগুন, নিহত অন্তত ৬০ আলাস্কায় ৭.৩ মাত্রার ভূমিকম্প, সুনামি সতর্কতা জারি গোপালগঞ্জের ঘটনার পূর্বাভাস ছিল না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা অপপ্রচারে তারেক রহমানের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করা যাবে না: রিজভী ২১ আগস্ট মামলায় খালাসপ্রাপ্তদের বিরুদ্ধে আপিল শুনানি ২৪ জুলাই পর্যন্ত মুলতবি আওয়ামী দোসর অথরাইজড অফিসার আল মামুন এর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ত্রিমুখী সংঘর্ষে ভয়াবহ দক্ষিণ সিরিয়ার পরিস্থিতি সাবেক বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীর প্রায় ৪০০ কোটি টাকার সম্পত্তি জব্দ

সাতক্ষীরায় রেজিস্ট্রার অফিস সহকারীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ

প্রতিনিধির নাম :
  • আপডেট এর সময় : বুধবার, ২৯ জানুয়ারী, ২০২৫

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি : সাইফুল ইসলাম বাচ্চু যেভাবে ছড়ি ঘোরান সেভাবেই চলে জেলা রেজিষ্ট্রার অফিস। খোদ জেলা রেজিস্ট্রারও বাচ্চুর বাইরে কথা বলেননা বলে অভিযোগ করেছেন অনেকের।

সাতক্ষীরা জেলা রেজিস্ট্রার অফিসের অফিস সহকারী সাইফুল ইসলাম বাচ্চু’র বিরুদ্ধে ঘুষ, দূর্ণীতি, অনিয়ম, নকল নবিশদের হয়রানি, ক্ষমতার অপব্যবহারসহ নানা অভিযোগ উঠেছে।

এবিষয়ে অভিযোগ করেও কর্তৃপক্ষে ইতিবাচক সাড়া মেলেনি বলে দাবী ভূক্তভূগীদের।

সম্প্রতি আবেদ আলী নামের একজন ব্যক্তি নিবন্ধন শাখার মহাপরিদর্শক বরাবর বাচ্চু’র দূর্ণীতি ও অনিয়মের বিচার চেয়ে অভিযোগ করেছেন।

অভিযোগ সূত্র জানায়, নকলনবিশ থেকে আসা অফিস সহকারি পদে যোগদানের পরে সাইফুল ইসলাম বাচ্চুকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। ২০১৬ সাল থেকে জেলা রেজিষ্ট্রার অফিস, জেলা ৭টি সাব-রেজিষ্ট্রি অফিস একায় নিয়ন্ত্রণ করেন। জেলা ৭টি অফিস থেকে গড়ে মাসে ৪০০০ হাজার দলিল রেজিষ্ট্রি হয় এতে বাচ্চু দলিল প্রতি নেন ২০০ টাকা, মাসে ৩ হাজার নকলে নেন নকল প্রতি ১৫০ টাকা করে। প্রতি মাসে পরির্শনে অফিস প্রতি দিতে হয় লাখ টাকা, ৩০ জন কর্মচারিকে প্রতিমাসে বাচ্চু বাবদ দিতে হয় ৫ হাজার টাকা করে।

জেলায় ১০০ জনের নিকাহ রেজিস্ট্রারকে প্রতি বছর ইনডেন্ট প্রতি দিতে ৩ হাজার টাকা, নিকাহ রেজিস্ট্রারদের অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়ার নামে লাখ টাকা নিয়ে থাকে। জেলা অফিসে প্রতি বছর আসবাব পত্র কেনার জন্য যে বাজেট থাকে তার কোন কাজ না করে ভূয়া বিল ভাউচার করে টাকা হজম করে ফেলে। সহকারি বদলিতে দিতে হয় ৫ লাখ টাকা, মোহরার ৩ লাখ টাকা ও পিয়নে দিতে হয় ২ লাখ টাকা। দলিল লেখার লাইসেন্স নবায়ন করতে জনপ্রতি দিতে হয় ১৫০০ টাকা। জেলায় লাইসেন্স আছে ৪০০।

আরো জানা যায়, তৃতীয় শ্রেণীর একজন কর্মচারি হয়েও সাইফুল ইসলাম বাচ্চু সাতক্ষীরা শহরে গড়ে তুলেছেন আলিশান বাড়ি। কিনেছে শত বিঘা জমি। কৌশলে নিজের ছেলেকে দিয়েছেন নকল নবিশের চাকুরি। যদিও তিনি অফিস করেন না। বোনকে করিয়েছে পদন্নতি। বাচ্চু জেলা রেজিস্ট্রার অফিস নিজের বাড়ি মনে করেন। নিজের ইচ্ছামত করেন অফিসের কাজ। অফিসের প্রধান সহকারী নুসরাত ফাতেমাকে দিয়ে কোন কাজ করান না। কম্পিউটার অপারেটরেরও একই অবস্থা। নিজেই করেন যাবতীয় কাজ।

এ বিসয়ে তদন্তপূর্বক বাচ্চুর বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানিয়ে ভূক্তভোগীরা মহাপরিদর্শকের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

এ বিষয়ে সাইফুল ইসলাম বাচ্চু তার বিরুদ্ধে সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা মিথ্যা ও বানোয়াট। এ সকল অভিযোগের কোন ভিত্তি নেই।’

পোস্টটি আপনার স্যোশাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© All rights reserved © জীবন নিউজ ২৪ ডট কম
Theme Customized BY LatestNews