সাভারে মরা গরুর মাংস বিক্রির সময় দুইজনকে আটক করেছে জনতা। এ সময় জবাইকৃত মরা গরুটির মাংসও জব্দ করা হয়েছে। পরে আটককৃতদেরকে সাভার মডেল থানা পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। গতকাল সকালে সাভার বাজার বাসস্ট্যান্ডের দিলখুশাবাগে আবদুর রাজ্জাকের মালিকানাধীন (আবদুল মজিদ কাঁচাবাজার) রাজু মাংস বিতান থেকে মরাগরু জবাইয়ের ঘটনা ঘটে। আটককৃতরা হলো- রাজু মাংস দোকানের কর্মচারী আবুল কালাম (৩৮) একজন সাংবাদিকের গাড়ির চালক। সরজমিন অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রতিদিনের মতো রাজু মাংস বিতানে বেচাকেনা চলছিল। ক্রেতা হিসেবে ওখানে ছিলেন সিনিয়র সাংবাদিক জাহিদুর রহমান। তার ভাষ্যমতে, এটাতো মরা গরুর মাংসের মতো চ্যালেঞ্জ করতেই কাচুমাচু করে কানের কাছে কশাই রাজু বললো, ‘ভাই হাতে ৩০ হাজার টাকা আছে। এটাই দিচ্ছি। কাউকে জানাবেন না ম্যানেজ করেন। আর বুঝতে অসুবিধা হলো না। ওর প্রস্তাবই নিশ্চিত করলো এটা মরা গরুর মাংস ব্যস ফোন দিলাম। পুলিশ এসে জব্দ করলো মরা গরুর মাংস। আটক করলো দু’জনকে। আটকতৃতদের মধ্যে একজন কসাই। আরেকজন প্রথমে নিজেকে পরিচয় দেন প্রশাসনের লোক হিসেবে। পরে উপস্থিত সাংবাদিকদের জেরার মুখে বলেন, আমি আপনাদের ডিপার্টমেন্ট এর লোক। এরপর বললেন সাংবাদিকের লোক। জনতার উত্তম-মাধ্যম খেয়ে বললেন আমি একজন ড্রাইভার। একজন সাংবাদিকের সঙ্গে থাকি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন ব্যবসায়ী ও মাংস ক্রেতারা জানান, আবদুর রাজ্জাকের কাঁচা বাজারের বিক্রেতারা প্রায়ই মরা গরুর মাংস বিক্রিসহ বিভিন্ন অপকর্মে জড়িত বলে জানান। মার্কেটের মালিক আবদুর রাজ্জাক বলেন, মরা গরুর মাংস বিক্রির বিষয়টি জানার পর আমরা পুলিশে জানাই। পুলিশ এসে ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে দুইজনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। খোঁজ নিয়ে যায়, মরা গরুর মাংস বিক্রেতা রাজু সাভার পৌর এলাকার ছায়াবিথী মহল্লায় বসবাস করেন। তিনি বলেন, মরা গরুর মাংস বিক্রেতার মূল হোতা ছায়াবিথীর ইসাহাক কসাই। এদিকে মরা গরুর মাংস জব্দের খবর শুনে সাভার উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের ফিল্ড অফিসার কায়সার আহমদে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। পরে তিনি মাংসগুলো দেখে তা মরা গরুর বলে নিশ্চিত করে বলেন, মরা গরুর মাংস খেলে মানুষের শরীরে বিভিন্ন ধরনের রোগ হয়। সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহসীনুল কাদির ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃতরা মরা গরুর মাংস বিক্রি করার কথা শিকার করেছে। তাদের বিরুদ্ধে যাথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি মরা গরুর মাংস বিক্রির জন্য শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।