২০১৮ সালে চীনের সামরিক বাজেট হবে ১৭৫ বিলিয়ন ডলার। যা চীনের মুদ্রায় ১.১১ ট্রিলিয়ন ইউয়ান।
দেশটির রাজধানী বেইজিংয়ে ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেসের (এনপিসি) চলমান বার্ষিক সভায় প্রধানমন্ত্রী লি কেকিয়াং সামরিক বাজেটের এ ঘোষণা দেন। এটি গত বছরের তুলনায় ৮.১ শতাংশ বেশি।
২০১৮ সালের জন্য চীন অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ৬.৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে বলেও জানান চীনের প্রধানমন্ত্রী। ২০১৭ সালে দেশটির অর্জিত প্রবৃদ্ধির হার ছিল ৬.৯০ শতাংশ।
২০১৭ সালে চীনের সামরিক বাজেট বাড়ানো হয়েছিলো ৭ শতাংশ। যার পরিমাণ ছিলো ১৬৪.৬০ বিলিয়ন ডলার (১.০৪৪ ট্রিলিয়ন ইউয়ান)। যা প্রস্তাবিত মার্কিন প্রতিরক্ষা ব্যয়ের এক চতুর্থাংশ।
সামরিক বাজেট বৃদ্ধির বিষয়ে চীনের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সামরিক প্রশিক্ষণ, যুদ্ধ প্রস্তুতির সকল দিকে অগ্রসর হওয়া এবং দৃঢ়ভাবে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, নিরাপত্তা ও উন্নয়ন স্বার্থ রক্ষা করার জন্য এ বাজেট। জাতীয় নিরাপত্তার পরিবেশে গভীর পরিবর্তন এসেছে। এই অবস্থায় সেনাবাহিনীকে পাথরের মতো শক্ত হতে হবে।’
বৃটিশ গণমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে বলছে, সামরিক বাজেট বৃদ্ধিকে দক্ষিণ চীন সাগর ও হিমালয়ের সীমান্তবর্তী অঞ্চলগুলোতে দেশটির কৌশলগত উচ্চাভিলাস হিসেবে দেখা হচ্ছে। এটি যুক্তরাষ্ট্রসহ চীনের প্রতিদ্বন্ধী দেশগুলোর জন্য চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়াবে।
এদিকে সি জিন পিংকে দুই বারের বেশি সময়ের জন্য প্রেসিডেন্ট পদে রাখতে সাংবিধানিক বাধ্যকতাও এ বারের এনপিসি বৈঠকে সরিয়ে নেয়া হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, চীনের একদলীয় শাসন ব্যবস্থায় কমিউনিস্ট পার্টির তিন হাজার সদস্য নিয়ে ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেস (এনপিসি) গঠিত হয়।