টাংগাইল মির্জাপুর প্রতিনিধি,
মির্জাপুর বংশাই নদী হতে একই বংশের লোক তাদের নিজস্ব ভূমির উপর যৌথ ভাবে বালু উত্তোলন করে। মৃত- শামীম, পিতা- মো: নুরু মিয়া তার ভাতিজা শফিকুল মজনু, জুয়েল গং এদেরকে বালু বিক্রি করার দায়িত্ব দেন এবং বালু বিক্রি করার পর বালু উত্তোলনে ভূমিতে কিছু অবশিষ্ট বালু থাকে। জমিতে ফসল আবাদ করার জন্য মো: নুরু মিয়া অবশিষ্ট বালু বিক্রি করার জন্য বলেন তখন ভাতিজা বলে চাচা আপনি আপনার দায়িত্বে বালু বিক্রি করে জমিতে ফসল আবাদ করার ব্যবস্থা করেন। অনুমতি স্বাপেক্ষে চাচা মো: নুরু মিয়া অবশিষ্ট বালু বিক্রি করার কারণে ভাতিজা শফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে মির্জাপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করে পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে ও তার বাড়িতে যায়। এলাকার লোকজনের কাছে জিজ্ঞাসাবাদ করিলে তেমন সত্য প্রমাণ না পাওয়াতে স্থানীয় গণ্যমান্য মাতাব্বরের নিকট উক্ত বিষয়টি মিমাংশার দায়িত্ব দেন। মিমাংশার শালিসের ০৭/০৬/২০১৮ইং রোজ- বৃহস্পতিবার উভয় পক্ষকে বলা হয়। ইহাতে উভয় পক্ষ একমত প্রকাশ করেন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত ০৬/০৬/২০১৮ইং রোজ- বুধবার মো: নুরু মিয়ার বড় ছেলে শাহাদৎ অন্য লোকের রেকডীয় জমি হতে ক্রয়কৃত মাটি পাঁচগাও কে.বি.এম ইট ভাটায় ট্রাক যোগে মাটি নিয়ে চলে যাওয়ার সময় বিবাদী শফিকুল ইসলাম গংদের বাড়ির পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় শফিকুল ইসলাম গং সহ ৫/৬ লোক নিশাগ্রস্থ্য অবস্থায় ইট হাতে নিয়ে রাত ১০ টার সময় শাহাদৎ এর মাটির ট্রাকের সামনে গিয়ে ট্রাকটি আটক করে এবং গালাগালিজ করে ও মারার চেষ্টা করিলে শব্দ পেয়ে আশপাশের লোকজন আগাইয়া আসে এক পর্যায় এলাকার লোকজনের মাধ্যমে মিমাংশ হয়। শাহাদৎ তার ছোট ভাই শামীমকে মোবাইল ফোনে ঘটনা জানালে ঘটনাস্থলে চলে আসে তার পর শফিকুল গং নিশাগ্রস্থ্য অবস্থায় একত্রিত হয়ে শামীমকে এলোপাথারি কিলঘুশি মারিয়া শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলা ফুলা ও জখম করে এবং তার ডাক চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসে শফিকুল গং দের কবল হতে উদ্ধার করে মির্জাপুর কুমুদিনী হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালে কর্মরত ডাক্তারগণ শামীমকে মৃত্যু বলে ঘোষণা করেন। মৃত- শামীম এর স্ত্রী সাথী বেগম বাদী হয়ে মির্জাপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করিলে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নির্দেশে মৃত্যু শামীমকে উদ্ধার করে টাংগাইল হাসপাতাল মর্গে পাঠান। মর্গে থেকে লাশ ফেরত আসার পর খামার পাড়া সাকিনে পারিবারিক কবর স্থানে দাফন করা হয়। বাদীর অভিযোগটি মির্জাপুর থানার জি.আর ১০/২০১৮ নং মামলা রুজু করে আসামী গণের বিরুদ্ধে এফ.আর.আই গঠন করেন। এলাকার লোকদের জিজ্ঞাসাবাদ করিলে তারা বলেন উক্ত ঘটনা ঘটানোর পর হতে বর্তমান পর্যন্ত আসামী পক্ষ তাদের বসত বাড়ীতে ও মেইন গেইট তালা মেরে পলাতক আছেন। কোথায় আছেন তা আমরা সঠিক বলতো পারব না এবং জনগণের দাবি সঠিক বিচার চেয়েছেন।