
ডেমরা প্রতিনিধি: রাজধানীর ডেমরা ও হাতিরঝিলের সঙ্গে সংযোগ সড়ক নির্মাণে নতুন করে ২৮ একর জমি অধিগ্রহণের সিদ্ধান্তে আপত্তি তুলেছে ডেমরার স্থানীয় বাসিন্দারা।গত- ১১ নভেম্বর মোঙ্গলবার সংশ্লিষ্ট এলাকায় জেলা প্রশাসক থেকে ৮ ধারায় চুড়ান্ত নোটিশ পেয়ে এই আপত্তি তুলে ধরে ডেমরা স্টাফকোয়ার্টার হাতিরঝিল – ডেমরা মহা সড়কে মানববন্ধন করেন তারা। বাসিন্দারা বলছেন, সংযোগ সড়কটির জন্য ২০১৯ সালে অধিগ্রহণ করা ৬২ একর জায়গাতেই প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণ সম্ভব।তারা আরো জানান কামারগোপ,পুর্ব দক্ষিণ,রাজাখালী, নড়াইবাগ,খুলিয়া,দেইল্লা হাইওয়ে এক্সপ্রেসের জন্য সরকারীভাবে যে জমি একোয়ার করা হচ্ছে আমরা এর ন্যায় সম্মত সমাধান না পেলে একোয়ার করতে দিবো না। ‘পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপের (পিপিপি)’ ভিত্তিতে ডেমরা-রামপুরা সেতু-হাতিরঝিল সংযোগ সড়ক নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, প্রস্তাবিত ২৮ একর জমিতে গার্মেন্টস, কলকারখানা, স্কুল-কলেজ ও আবাসন প্রতিষ্ঠান রয়েছে। একাধিক স্থানীয় ব্যাক্তি বর্গ আরো জানান, প্রস্তাবিত জমিতে অসংখ্য স্থাপনা রয়েছে। অধিগ্রহণ করা হলে বাসিন্দারা ক্ষতির মুখে পড়বেন। এ ছাড়া প্রয়োজনে লতিফ বাওয়ানী জুট মিলের যথোপযুক্ত পরিত্যক্ত জায়গায় টোল প্লাজা, রক্ষণাবেক্ষণ কেন্দ্র ও সার্ভিস পয়েন্টসহ সকল প্রকার অবকাঠামো নির্মাণ করা সম্ভব।
এ বিষয়ে ঢাকা জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট তানভীর আহমেদ এর সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। পরবর্তীতে ভুমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা (এল এ সাধারণ শাখা এবং এল এ শাখা -০৩) রিফাতুল ইসলাম মুঠোফোনে জানান,বিষয়টি আমার নলেজে আছে, আমরা এর আগেও দুইটা নোটিশ করেছিলাম গত- ১১ নভেম্বর যে নোটিশ করেছি এটা ৮ ধারায় চুড়ান্ত নোটিশ করেছি, এখন তাদের জমির মুল্য সরকার পরিশোধ করবে বলে নোটিশ দিয়েছি । তিনি আরো বলেন, ওনাদের দাবী ছিল যে, জমির মুল্য ওনাদের দাবীর থেকে কম হয়েছে এই বিষয়ে মানববন্ধন করেন তারা। কিন্তু আমরা ওনাদের চুড়ান্ত নোটিশ দিয়েছি এর আগে আরো দুটি নোটিশ দিয়েছিলাম। এবং এ বিষয়ে তাদের কাছ থেকে অফিসিয়াল ভাবে কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অফিসিয়ালি সরকার সারা বাংলাদেশে যেভাবে জমি অধিগ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নেন আমরা সেভাবে ভুমি মালিকদের নোটিশ করি।এর বাহিরে আর কিছু বলতে পারবো না।