1. rajubdnews@gmail.com : 24jibonnews : admin
রবিবার, ০১ জুন ২০২৫, ০৫:৩২ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদ:
গোমস্তাপুরে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৪ তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপি’র স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিল চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়ন ফাটাপাড়া গ্রামে সাখাওয়াত হোসেন গ্রেফতার দেশ ছেড়ে পালানোর সময় বিমানবন্দর থেকে ইউপি চেয়ারম্যান নাদিরা গ্রেপ্তার সার্জিস আলম বললেন, ‘সুন্দরগঞ্জে নতুন ভোর আসবেই’: এনসিপির পথসভায় মানুষের ঢল শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান (বীর উত্তম) এর ৪৪ তম শাহাদাত বার্ষিকী পালিত ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন না হওয়ার কোনও কারণ দেখছে না বিএনপি বাংলাদেশে দ্রুত নির্বাচন চেয়ে ভারতের দেয়া বক্তব্যের প্রতিবাদ জামায়াতের ২০২৫-২৬ বাজেটে ন্যূনতম আয়কর ৫ হাজার টাকা, নতুনদের ১ হাজার উজান থেকে নামা পাহাড়ি ঢল আর ভারী বৃষ্টিতে সুনামগঞ্জ ও হবিগঞ্জের বাঁধে ধস মেঘনা নদীতে যাত্রীবাহী ট্রলারডুবি: নিহত ১, নিখোঁজ ৬

বঙ্গমাতাকে পাশে পেয়েছিলেন বলেই সংগ্রামে সফল হয়েছেন বঙ্গবন্ধু: প্রধানমন্ত্রী

প্রতিনিধির নাম :
  • আপডেট এর সময় : বৃহস্পতিবার, ৯ আগস্ট, ২০১৮

 

বিশেষ প্রতিনিধি: স্বাধীনতার সংগ্রামের নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সফলতার পেছনে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেসার অনবদ্য অবদান ছিল বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মায়ের ৮৮তম জন্মবার্ষিকীতে বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য তার ত্যাগের কথা স্মরণ করে তিনি বলেছেন, মার সময়োচিত সিদ্ধান্ত দেশকে এগিয়ে নিয়ে গেছে। যে কোনো ক্রাইসিসে আমার মার সিদ্ধান্ত দেবার অতুলনীয় ক্ষমতা ছিল। গতকাল বুধবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে মায়ের জন্মবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে বাষ্পরুদ্ধ কণ্ঠে বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, আব্বা মায়ের মতো একটা সাথী পেয়েছিলেন, বলেই কিন্তু সংগ্রাম করে সফলতা অর্জন করতে পেরেছিলেন। শিক্ষা ও উন্নয়নসহ কর্মক্ষেত্রে বঞ্চনার শিকার বাঙালির স্বায়ত্তশাসন চেয়ে ১৯৬৬ সালে ঐতিহাসিক ছয় দফা দাবি উত্থাপন করেন শেখ মুজিবুর রহমান। ওই ছয় দফাই পরবর্তীতে স্বাধীনতা আন্দোলনের পটভূমি তৈরি করে বলে অনেকে মনে করেন। ১৯৬৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি বঙ্গবন্ধু ছয় দফা উত্থাপন করার পর তা বাস্তবায়নের দাবিতে ৭ জুন হরতালের ঘোষণা দেয় আওয়ামী লীগ। তখনকার পূর্ব পাকিস্তানজুড়ে সেই হরতালে ছাত্র-জনতা সেদিন অভূতপূর্ব সাড়া দেয়। ঢাকার তেজগাঁও ও নারায়ণগঞ্জে শ্রমিকদের মিছিলে গুলি চলে, নিহত হন বেশ কয়েকজন। সেদিন সন্ধ্যায় কারফিউ দিয়ে হাজার হাজার বাঙালিকে গ্রেফতার করা হলেও ৬ দফার আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে সারাদেশে। সেই পথ ধরে ১৯৭১ সালে নয় মাস যুদ্ধের পর স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটে বিশ্বের মানচিত্রে। ৬ দফা দেওয়ার পর তার পক্ষে জনমত তৈরিতে বঙ্গবন্ধু যেখানেই জনসভায় করেছেন, সেখানেই তার বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়েছে এবং তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধুকে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় অন্তরীণ করে তার বিচার শুরু হয়। কিন্তু অসযোগ আন্দোলনের একপর্যায়ে প্যারোলে মুক্তি দিয়ে তাকে পাকিস্তানে নিয়ে বৈঠকের সিদ্ধান্ত নেন আইয়ুব খান। কিন্তু ফজিলাতুন নেসার জন্যই বঙ্গবন্ধু ওই বৈঠকে যেতে পারেন নাই। সেই প্রেক্ষাপট তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ওই বৈঠকে যোগ দেওয়ার জন্য আব্বাকে প্যারোলে নিয়ে যাবে। আমাদের প্রায় সব নেতারাই রাজি ছিলেন যে, না আব্বা প্যারোলে যান। কিন্তু আমার মা কখনোই এর সাথে একমত ছিলেন না। মায়ের নির্দেশে বাবার সঙ্গে দেখা করার স্মৃতিচারণ করে বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, আমি ওখানে গিয়ে দেখি, আমাদের বড় বড় নেতারা সবাই কিন্তু ভিতরে। এনারা ভিতরে। কিন্তু আমাকে ভিতরে ঢুকতে দিচ্ছে না। আমি কিন্তু গেইটের বাইরে দাঁড়ানো। সকলের অন্তরালে বাবার কাছে মায়ের বার্তা পৌঁছে দেওয়ার কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, আব্বা কথা বলতে বলতে যখন দরজার কাছে এসে দাঁড়ালেন, দেখলেন আমি দাঁড়ানো, নিচু কাঠের গেইট। ওখান থেকে উনি আমাকে আদর করার জন্য গলাটা জড়িয়ে ধরে বললেন, ‘কোনো চিঠি-টিঠি দিস না, তোর মা কি বলেছে বল’। আমি শুধু বললাম, ‘মা এখনো প্যারোলে যেতে নিষেধ করেছে, কোনো সিদ্ধান্ত নিতে নিষেধ করেছে। উনি ইন্টারভিউয়ের জন্য সময় চেয়েছেন, সময় পেলে উনি আসবেন। মা নিষেধ করেছে যেতে, আপনি কিন্তু যাবেন না’। শেখ হাসিনা বলেন, জনগণ কী চায়- তা বোঝা, জনমত সৃষ্টি করার পেছনে তার মায়ের বিরাট অবদান ছিল। জীবনের সব আশা-আকাঙ্খা বিসর্জন দিয়ে, ভোগ-বিলাস বিসর্জন দিয়ে আমার বাবার পাশে থেকে এদেশের মানুষকে স্বাধীনতা দিয়ে গেছেন আমার মা। আমার বাবার পাশে থেকে যেভাবে (তিনি) ত্যাগ স্বীকার (করেছেন তা) না করলে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করতে পারতাম কি না…। মায়ের বুদ্ধিমত্তার কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, ১৯৬৬ সালে মে মাসে আব্বাকে গ্রেফতার করার পর সাতই জুন একটা হরতাল দেওয়া হয়। সেই হরতালটাকে সংগঠিত করা, কার্যকর করা- এই সমস্ত কাজগুলো কিন্তু আমার মা করেছে। তৎকালীন গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর দৃষ্টি এড়িয়ে ফজিলাতুন নেসা কীভাবে রাজনৈতিক কর্মসূচি সফল করতে বিভিন্ন জায়গা বৈঠক করেছেন, তারও বর্ণনা দেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, তিনি বিভিন্ন সময়ে ছাত্র নেতৃবৃন্দের সঙ্গে, আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের সঙ্গে দেখা করতেন। আমাদের বাসা সব সময় ইন্টালিজেন্সের লোকরা ঘিরে রাখতো। আমার মা আমাদের নিয়ে যেতেন আমাদের ছোট ফুপুর বাড়িতে। আর আমাদের বলতেন, ‘তোমরা ওই জানলার কাছে দাঁড়ায়ে থাকো, দেখো কারা কারা আছে’। ছোট ফুপুর বাড়িতে গিয়ে মা কাপড় বদলাতেন, পায়ের স্যান্ডেল বদলাতেন এবং বোরখা পড়ে স্কুটার ডেকে ওখান থেকে বের হয়ে আজিমপুর কলোনিতে আমাদের কিছু সরকারি অফিসার.. আমাদের কিছু আত্মীয় ছিলেন.. তাদের বাড়িতে ছাত্র নেতাদের ডাকতেন। সেখানে আব্বার নির্দেশনাগুলো পৌঁছে দিতেন মা। সে সময় আইবি এখন বলে এসবি.. তারা ধরতেই পরেনি। আমি তো বলবো, আমার মা ছিলেন আসলে একজন গেরিলা। একেকটা বাড়িতে দেখা করে কীভাবে আন্দোলনটা গড়ে উঠবে, সাতই জুনের হরতালটা গড়ে তোলা; সমস্ত কাজগুলি উনি গুছিয়ে গুছিয়ে করতেন। পরিবারের সকলকে হারানোর কথা বলতে গিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, পরাজিত শক্তি, তাদের দোসর পাকিস্তানি বাহিনীর যারা দালাল, যারা স্বাধীনতা চায়নি.. দেশে থেকেও যারা মোনাফেকি বেঈমানি করেছে, তারাই তো ১৫ অগাস্টের ঘটনা ঘটালো। আমার মাকেও ছাড়েনি। মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে জাতীয় মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান মমতাজ বেগম এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি রেবেকা মমিন বক্তব্য দেন। এতে মুখ্য আলোচক ছিলেন ফজিলাতুন্নেসা ইন্দিরা; স্বাগত বক্তব্য দেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নাছিমা বেগম।

পোস্টটি আপনার স্যোশাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© All rights reserved © জীবন নিউজ ২৪ ডট কম
Theme Customized BY LatestNews