
অনলাইন ডেস্ক: ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ওসমান হাদির কবর জিয়ারত শেষে জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধনের জন্য নির্বাচন ভবনের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় এ কর্মসূচিকে ঘিরে রাজনৈতিক অঙ্গনে ছিল বাড়তি আগ্রহ ও সতর্ক নজর।
শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) বেলা ১০টা ৪০ মিনিটে গুলশানের ১৯৬ নম্বর বাসা থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্দেশে রওনা হন তারেক রহমান। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তিনি জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের সমাধি প্রাঙ্গণে পৌঁছান। সেখানে ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ওসমান হাদির কবরে শ্রদ্ধা জানান, ফাতেহা পাঠ ও মোনাজাতে অংশ নেন। এরপর তিনি জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
হাদির কবর জিয়ারত শেষে বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে তারেক রহমানের গাড়িবহর জাতীয় কবির সমাধি প্রাঙ্গণ ত্যাগ করে। আগের দুদিন বুলেটপ্রুফ বাসে চলাচল করলেও এদিন তাকে সাদা রঙের একটি এসইউভিতে যেতে দেখা যায়। তিনি সরাসরি আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে যান এনআইডি নিবন্ধনের জন্য।
নির্বাচন কমিশনের এনআইডি উইংয়ের মহাপরিচালক এ এস এম হুমায়ুন কবীর জানান, আঙুলের ছাপ, আইরিশের প্রতিচ্ছবি ও অন্যান্য বায়োমেট্রিক তথ্য দেওয়ার পর তারেক রহমানের জাতীয় পরিচয়পত্র পেতে সর্বোচ্চ একদিন সময় লাগতে পারে। সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে ভোটার হওয়া বাধ্যতামূলক হওয়ায় এ প্রক্রিয়াকে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
নির্বাচন কমিশন সূত্র জানায়, আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে আগ্রহীদের জন্য মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও জমার শেষ সময় ২৯ ডিসেম্বর। এরই মধ্যে বগুড়া-৬ আসনে তারেক রহমানের পক্ষে বিএনপি মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দেওয়ার কথা রয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে হাদির কবরে শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় তারেক রহমানের সঙ্গে ছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন ও হাবিব উন নবী খান সোহেল। এ ছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়াজ আহমদ খান, উপ উপাচার্য মামুন আহমেদ, শিক্ষক নেতা মোর্শেদ হাসান খানসহ শিক্ষক ও ছাত্রনেতারাও উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, প্রায় দেড় দশক নির্বাসিত জীবন কাটিয়ে বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) তারেক রহমান দেশে ফেরেন। ওই দিন ঢাকার পূর্বাচলের জুলাই ৩৬ এক্সপ্রেসওয়েতে তাকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) তিনি বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবর জিয়ারত করেন এবং পরে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে গিয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।