
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : এ যেন ‘কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলা’র মতো অবস্থা। বিভিন্ন ধরনের রোগ ছড়ানো মশা নির্বংশ করতে বিশেষ ধরনের মশা ছাড়া হয়েছে মশাকেই যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায়। ডেঙ্গু, জিকা ভাইরাসসহ নানা ধরনের রোগ-বালাই রুখতে এমন ব্যবস্থা নিচ্ছে তারা। জিন বদলে দেওয়া এসব মশা নিয়ে পরিবেশবাদী সংগঠনগুলোর জোর প্রতিবাদ সত্ত্বেও ফ্লোরিডায় এই পাইলট প্রকল্প চালু হয়েছে। স্বল্প সময়েই পরিস্থিতির আশানরূপ উন্নতি হচ্ছে বলে দাবি কর্তৃপক্ষের।
ধাপে ধাপে ৭৫ কোটি জিন বদলে দেওয়া মশা ছাড়ার পরিকল্পনা রয়েছে কর্তৃপক্ষের। ডেঙ্গু ও জিকার মতো প্রাণঘাতী রোগ বহন করা মশার সংখ্যা কমাতেই এই ধরনের জেনেটিক্যালি মডিফায়েড মশা ছাড়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
জিন বদলে দেওয়া মশা নিয়ে পরিবেশবাদী সংগঠনগুলোর জোর প্রতিবাদ সত্ত্বেও ফ্লোরিডায় এই পাইলট প্রকল্প সবুজ সংকেত পায়। পরিবেশবাদীদের দাবি, জিন বদলে দেওয়া এসব মশা বাস্তুসংস্থানের সম্ভাব্য ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। এসব মশার কারণে হাইব্রিড, কীটনাশক-প্রতিরোধী মশারও জন্ম হতে পারে।
ব্রাজিলে এ জিন বদলে দেওয়া মশা ব্যবহার করে সফলতা মিলেছে। তাই ফ্লোরিয়ায় চালু হয়েছে। কয়েক দিনের মধ্যে টেক্সাসেও এই ধরনের মশা ছাড়ার পরিকল্পনা করছে কর্তৃপক্ষ।