লাইফস্টাইল ডেস্ক: আধুনিক ব্যস্ত জীবনে রাত জাগা যেন অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। কেউ রাতভর কাজ করেন, কেউ আবার সোশ্যাল মিডিয়ায় ডুবে সময় হারিয়ে ফেলেন। অনেকে আবার সিরিজ দেখতে দেখতে বুঝতেই পারেন না কখন রাত গভীর হয়ে যায়। ফলাফল—সকালে ঘুম থেকে ওঠা হয়ে দাঁড়ায় একপ্রকার যুদ্ধের মতো।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, পর্যাপ্ত ও মানসম্মত ঘুম শরীর ও মস্তিষ্ক দুটোকেই কর্মক্ষম রাখে। ঘুম কম হলে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হয়ে যায়। নিয়ম মেনে না ঘুমালে সকালে উঠতেও সমস্যা হয়, সময় নষ্ট হয়, আর কাজের কাজ হয় না।
আমাদের শরীরে একটি প্রাকৃতিক জৈবঘড়ি আছে, যাকে বলা হয় সার্কাডিয়ান রিদম। প্রতিদিন একই সময়ে ঘুমানো ও জাগার অভ্যাস এই ছন্দকে ঠিক রাখে। তাই কখন ঘুমাবেন ও কখন উঠবেন তা আগে থেকে নির্দিষ্ট করুন—উইকেন্ডেও রুটিন ভাঙবেন না।
রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে হালকা শরীরচর্চা করলে ঘুম সহজে আসে এবং গভীর হয়। রাতে খাবারের পর কয়েক মিনিট হাঁটাহাঁটি করতে পারেন। এতে ঘুম ভালো হবে এবং সকালে সহজে উঠতে পারবেন।
ঘুমানোর আগে ফোন বা ল্যাপটপ ব্যবহার করলে এর নীল আলো মেলাটোনিন হরমোনের ক্ষরণ কমিয়ে দেয়, যা ঘুমের জন্য অত্যন্ত জরুরি। তাই ঘুমানোর অন্তত ৩০ মিনিট আগে সব ধরনের ডিজিটাল স্ক্রিন এড়িয়ে চলুন।
ঘুম থেকে ওঠার পর সূর্যের আলো শরীরে পড়লে কর্টিসল হরমোন সক্রিয় হয়, যা শরীরকে জাগিয়ে তোলে। তাই সকালে উঠেই জানালার পর্দা সরিয়ে দিন বা বাইরে কিছুক্ষণ হাঁটুন।
একজন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির প্রতিদিন অন্তত ৭–৮ ঘণ্টা ঘুম প্রয়োজন। তাই কখন উঠবেন তা হিসাব করে ঘুমাতে যান। ঘুম যথেষ্ট হলে সকালে সতেজভাবেই জাগতে পারবেন।
রাতে চা, কফি বা ক্যাফেইনসমৃদ্ধ খাবার (যেমন চকোলেট) খাবেন না। এগুলো ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায়, ফলে সকালে ওঠা কঠিন হয়ে যায়। পাশাপাশি রাতে ভারী ও অতিরিক্ত মসলাদার খাবারও এড়িয়ে চলুন।
যদি পর্যাপ্ত ঘুমের পরও সকালে ঘুমঘুম ভাব, মাথা ভার বা অতিরিক্ত ক্লান্তি অনুভব করেন, তবে এটি স্লিপ অ্যাপনিয়া বা অন্য কোনো নিদ্রাজনিত সমস্যার লক্ষণ হতে পারে। এ ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
👉 চাইলে আমি এটাকে আরও ছোট করে চেকলিস্ট/হেলথ টিপস স্টাইলে (যেমন ৭টি সহজ উপায় সকালে ওঠার) বানিয়ে দিতে পারি। চাও কি আমি সেটাও বানিয়ে দিই?