লোহাগাড়া উপজেলার অন্তর্গত আমিরাবাদ ইউনিয়নের পুরান বিওসি নামক এলকার ৫০গজ উত্তরে নির্মিত স্বনামধন্য ফার্নিচার কারখানা শহীদ মেটালের কারখানায় বুধবার রাতে আজিজ নগর ইসলামপুর নিবাসী মুহাম্মদ জাফর আলমের পুত্র রিফাত (২৮) কারখানার ছাদের বীমের সাথে রশি টাঙ্গিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে জানা যায়। অত্র কারখানার শ্রমিকরা বলেন তারা সকালে প্রতিদিনের ন্যায় কারখানা খুলতে আসলে দেখেন, ফাঁসী খাওয়া অবস্থায় রিফাতের লাশ ঝুলে আছে। তৎক্ষনাত তারা মালিক শহিদের মোবাইলে ঘটনাটি জানায় এবং পুলিশের সাহায্যের জন্য থানায় ফোন করেন। থানা প্রশাসন ফোন পাওয়ার সাথে সাথে এসআই আব্দুল হক সঙ্গীয় ফোর্সসহ অত্র কারখায় আসেন এবং লাশ উদ্ধার করেন। এই বিষয়ে জানতে থানায় গেলে ওসি তদন্ত আব্দুল জলিল জানান, এ বিষয়ে তারা যতটুকু জানতে পেরেছেন তা হচ্ছে, এটি একটি অপমৃত্যু। আরও জানতে পারবে লাশ ময়না তদন্তের পর। কেননা এখনো পর্যন্ত পূর্ণাঙ্গভাবে কিছুই বলা যাচ্ছেনা। তবে একটি অপমৃত্যু মামলা রুজু করা হয়েছে । যার নাম্বার ১০০০ তাং- ১৩/০৯/২০১৮ইং। এই সম্পর্কে শহীদ মেটালের মালিক মুহাম্মদ শহিদ বলেন, এই ছেলেটি আমার কাছে রয়েছে মাত্র ১ সপ্তাহ। তার সাথে কারও কিছু হওয়ার কথা নয় এবং আমি যতটুকু জানি ছেলেটি ভাল স্বভাবের ছিল।
কিন্তু অন্য দিকে শহিদের বিপক্ষে কিছু স্বার্থন্বেসী মহল রিফাতের মা ও আত্মীয় স্বজনকে বিভিন্ন প্রলোভনের মধ্য দিয়ে শহিদের বিরুদ্ধে একটি মার্ডার মামলা করার পায়তারা করছে। এই বিষয়ে এলাকার লোকজন বলেন শহিদ একজন ভাল ছেলে। সে দীর্ঘদিন যাবৎ অত্র এলাকায় সুনামের সহিত ব্যবসা করে আসছিল। সে আর যাই করুক কোন শ্রমিকের উপর বেআইনীভাবে হাত তুলেছে অথবা গাল মন্দ করেছে তার কোন প্রমাণ নেই। তাই তারা বলেন রিফাতের মা ও আত্মীয় স্বজনরা শোকাহত অবস্থায় বিভিন্ন জনের কাছে বিভিন্ন ধরনের বক্তব্য রাখছেন। আসলে যা সঠিক নয়। এই বিষয়ে সঠিক তদন্ত করলে এবং ময়না তদন্তের রিপোর্টে অবশ্যই আত্মহত্যা প্রমাণিত হবে বলে আশা করেন এলাকাবাসী। অন্য দিকে রিফাতের চাচা ইমাম হোসেন বলেন তারা সকাল ৮ টায় কারখানার হেড মিস্ত্রির মারফতে এই ঘটনা জানতে পারেন। তারা ঘটনাস্থলে এসে দেখেন কারখানা তালাবদ্ধ থাকলেও নিচের অর্ধেক ভাঙ্গা-খোলা অবস্থায়। যেখানে অনায়াসে কেউ ঢুকতে পারে। এমন অবস্থাতে কিভাবে তাদের ছেলে আত্মহত্যা করেছে? এটি একটি হত্যাকাÐ।