আইনি প্রক্রিয়ায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি না হলে ‘শক্তিশালী আন্দোলনের’ হুঁশিয়ারী দিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। আজ সোমবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের উদ্যোগে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৩৭তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে অনুষ্ঠিত এক আলোচনা সভায় এ হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
নজরুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি চাই। আইনের মাধ্যমে মুক্তির চেষ্টা করছি আমরা। সর্বোচ্চ পর্যায় পর্যন্ত যত চেষ্টা করা দরকার আমরা করছি আমরা।’
‘বলছি আমি- আইনি প্রক্রিয়ায় এই মুক্তি সরকার অসম্ভব করে তুললে আমাদেরকে বাধ্য করা হবে অন্য পন্থায় তার মুক্তির জন্য চেষ্টা করা। আর সেই পন্থা অনেক শক্তিশালী ঐক্যবদ্ধ গণতান্ত্রিক আন্দোলন। যে শহীদ জিয়ার হাতে গড়া দেশপ্রেমিক গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে এবং আগামী দিনে প্রয়োজনে অনেক বেশি শক্তিশালী আন্দোলনের ডাক দেবে।’
শ্রমিক দলকে সর্বাত্মক প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে সংগঠনের সাবেক এই সভাপতি বলেন, ‘শ্রমিক দলের সব নেতা-কর্মীর কাছে অনুরোধ থাকবে, যে সংগঠন আপনারা করেন এই সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতাও জিয়াউর রহমান এবং তিনি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ সৈনিক।’
‘সেই শহীদ জিয়ার সহধর্মীনি, তার যে মিশন দেশকে ভালোবাসার যে ইচ্ছা সেটা বাস্তবায়নের হাতিয়ার বিএনপি। যে বিএনপির নেত্রী, বিএনপিকে যিনি এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন, দেশনেত্রীর মুক্তির জন্য যা কিছু করার দরকার তা আমাদের করতে হবে।”
কারাবন্দি খালেদা জিয়ার জামিন বিলম্বের বিষয়টি তুলে ধরে নজরুল ইসলাম বলেন, ‘সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে সাজানো মিথ্যা মামলায় দেশনেত্রীকে কারাগারে বন্দি করে রাখা হয়েছে। পরিত্যক্ত কারাগারে তাকে রাখা হয়েছে। তিনি অসুস্থ। সরকার চিকিৎসার উদ্যোগ নিচ্ছে না।’
‘আমরা রাজনীতি করি। রাজনীতিতে প্রতিপক্ষ আছে, প্রতিদ্বন্দ্বী আছে। কিন্তু রাজনীতিতে শত্রু থাকার কথা নয়। সরকার বেগম খালেদা জিয়াকে প্রতিদ্বন্দ্বী মনে করতে পারে, প্রতিপক্ষ মনে করতে পারে, কিন্তু যে আচরণ তার সঙ্গে করেছে, সে আচরণ শত্রুর আচরণ। বাংলাদেশের জনগণ দেখছে সব কিছু।’
সংগঠনের সভাপতি আনোয়ার হোসেইনের সভাপতিত্বে এবং প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মনজুরুল ইসলাম মনজুরের পরিচালনায় আলোচনা সভায় শ্রমিক দলের সহসভাপতি আবুল কালাম আজাদ, মেহেদি আলী খান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাজী শেখ নুরুল্লাহ বাহার, মোস্তাফিজুল করিম মজুমদার, কেন্দ্রীয় নেতা ফজলুল হক মোল্লা, আসাদুজ্জামান বাবুল, মফিদুল ইসলাম মোহন, খন্দকার জুলফিকার মতিন, সুমন ভুঁইয়া, মাহবুবুল আলম বাদল প্রমুখ বক্তব্য দেন।