
আমাকে মেরে ফেলার বিষয়ে অপহরণকারীদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়েছিল বলে জানিয়েছেন বেসরকারি নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মোবাশ্বার হাসান সিজার। তিনি বলেন, তাদের মূল উদ্দেশ্য কি ছিল, সেটি আমি বুঝতে পারিনি। আজ শুক্রবার সকালে ঢাকার দক্ষিণ বনশ্রীতে নিজ বাসার সামনে সাংবাদিকদের এ কথা জানান মোবাশ্বার হাসান সিজার।
মোবাশ্বর জানান, গতকাল দিবাগত রাতে চোখ বেঁধে গাড়িতে করে এয়ারপোর্টে রেখে যায় অপহরণকারীরা। এতদিন একটি বদ্ধ ঘরে তাকে আটকে রাখা হয়েছিল। খাবার হিসেবে দেওয়া হতো হোটেলের ভাত। অপহরণকারীদের মধ্যে নানা সময় টাকা-পয়সা নিয়ে কথা হয়। অপহরণের সময় সঙ্গে থাকা ২৭ হাজার টাকা অপহরণকারীরা রেখে দিয়েছে। নিখোঁজের ৪৪ দিন পর বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১টার দিকে তিনি রাজধানীর দক্ষিণ বনশ্রীতে নিজের বাসায় ফিরে আসেন ড. মোবাশ্বার হাসান সিজার। ৭ নভেম্বর আগারগাঁওয়ে একটি সভায় যোগদান শেষে ভাড়ায় চালিত গাড়ি নিয়ে বাসার উদ্দেশে রওনা দেন তিনি। এরপর থেকেই মুবাশ্বার হাসান সিজারের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। দক্ষিণ বনশ্রীর জে ব্লকের ১২/৩ নম্বর রোডের ২৫ নম্বর বাসা থেকে ৭ নভেম্বর মঙ্গলবার সকাল ৭টার দিকে মুবাশ্বার বের হন। রাত ৯টার পর বাসায় না ফিরলে পরিবারের লোকজন তার মোবাইলে কল করেন। তখন সিজারের মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের স্নাতক মুবাশ্বার হাসান সিজার একসময় সাংবাদিকতাও করেছেন। পরে তিনি যুক্তরাজ্যে মাস্টার্স ও অস্ট্রেলিয়ায় পিএইচডি করেন। সিজারের স্ত্রীর সঙ্গে কয়েক মাস আগে ডিভোর্স হয়েছে। ওই ঘটনায় সিজারের সাবেক স্ত্রী আদালতে একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় গেল ১৫ নভেম্বর আদালতে সিজারের হাজির হওয়ার তারিখ ছিল।