পড়ন্ত বিকেল
ইসরাত জাহান মিম
গগনে নেমেছে মেঘ, আলতো ছোয়া হাওয়া
ধান ক্ষেতে, পানের বনে এসেছে প্রাণের ছোয়া।
শঙ্খচিল, শালিক পেয়েছে নিমন্ত্রন যাচ্ছে সেথা তারা,
টুনটুনিও ছাড়ে নি তাদেও পিছু নিতে তাড়া।
ক্ষিপ্র হচ্ছে নদের স্রোত, পড়েছে আবছা সাজের ছায়া।
সুরেলা কন্ঠে সুমধুর শব্দে বাঁশির সুর সাথে
রাখাল বালক ফিরছে বাড়ি গো-মহিষের পাল লয়ে।
কানা কুয়োর ভৌতিক ডাকে শঙ্কা জাগে মোর মনে
এমনি সাঁঝে পড়ন্ত বিকেলে হারিয়ে ছিলুম তোমারে ,
ভুলিতে পারিনে আজও সেই ব্যাথা ২০ বছরের পরে।
হৃদয়ের অতলে সন্ধা প্রদীপের সাজে, আছ তুমি বেঁচে,
আজও ভাবি মনে, ফিরে আসবে তুমি এই অভাবীর কাছে।
পাঠ-পরিচিতিঃ “পড়ন্ত বিকেল” কবিতাটিতে দিনের শেষে আবছা সাঁঝের বেলায় পড়ন্ত বিকেলের রূপ বৈচিত্র, গ্রাম বাংলার স্বাভাবিক জীবন ও কবি মনের ব্যক্তিগত দুঃখ বেদনার কথা ফুঠে উঠছে। বৈশাখের বিকেলে হালকা বাতাসে ধান ক্ষেত,পানের বনে প্রানের উচ্ছাস ফিরে এসেছে।টুনটুনি,শঙ্খচিল,শালিক ও রাখাল বালক তাদের ঘরে ফিরে যাচ্ছে। অপর দিকে কানা কুয়োর ডাক শুনে কবি মনে অনেক বছর আগের প্রিয়জন হারানোর বেদনা ফুঠে উঠেছে।হৃদয়ের অতলে তুলসী তলার সন্ধ্যা প্রদীপ রূপে তার প্রিয়জনকে সে স্থান দিয়েছে।কোনো একদিন সে ফিরে আসবে এই অভিব্যক্তি পোষন করে আছে কবি।
কবি পরিচিতিঃ কবি ইসরাত জাহান মিম ২০০১ সালে পহেলা জানুয়ারী ঝারকাঠি জেলার কাঠালিয়া উপজেলায় জন্মগ্রহন করেন।তার বাবা মোঃইলিয়াস মিয়া একজন সমাজসেবক ও রাজনৈতিক ব্যাক্তি ও তার মা নাসিমা বেগম একজন গৃহিনী। তরুনী এই জন্মের পর থেকে বাবার দিক থেকে পেয়েছেন প্রকৃতিপ্রেমের ব্যকুলতা আর মাএর দিক থেকে পেয়েছেন পড়ালেখার পাশাপাশি সাধারন জ্ঞান অর্জনের অনুপ্রেরনা। তাই তিনি শৈশব থেকে কবিতা ও প্রবন্ধ লেখা শুরু করছেন।পড়ালেখার পাশা পাশি তিনি বেশ কয়েকটা সামাজিক সংগঠনের সাথে যুক্ত হয়ে বেশ সুনাম অর্জন করছেন।২০১৪ সালে “সৃজনশীল মেধা অন্বেষন” প্রতিযোগীতায় বিজ্ঞান বিভাগে ঝালকাঠি জেলায় সেরা মেধাবী নির্বাচিত হয়।২০১৮ সালে ৩৯তম বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহে ঝালকাঠি জেলা পর্যায়ে প্রথম স্থান অধিকার করে।মেধা অন্বেষন” প্রতিযোগীতায় বিজ্ঞান বিভাগে ঝালকাঠি জেলায় সেরা মেধাবী নির্বাচিত হয়।২০১৮ সালে ৩৯ তম বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহে ঝালকাঠি জেলা পর্যায়ে প্রথম স্থান অধিকার করে।