রেদওয়ান সিকদার রনি বরিশাল ব্যুরো: অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বরিশাল মেট্টোপলিটন কোতয়ালী থানা জিয়ারু এস.্আই খোকন এর বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছেন গত ১০/০৯/২০১৮ইং তারিখ জি.আর- ৬১৮/১৮ (কোতয়ালী) মোকদ্দমায় ০৯ জন আসামী বিজ্ঞ অতিরিক্ত চীফ মেট্টোপলিটন থেকে জামিন প্রাপ্ত হন। বাদী ও বিবাদী মিমাংসার যোগ্য মামলায় আদালত থেকে সেচ্ছায় জামিন পাওয়ায় অত্র মোকদ্দমার জামিনের আদেশনামা জমা দেয়ায় ৫০০ টাকার ঘুষ নিয়ে আজও পর্যন্ত জামিনের আদেশ কোতয়ালী মডেল থানায় পাঠানো হয়নি এবং ১০০০ টাকা না দিলে জামিনের আদেশ পাঠাবে না বলে জানান। ঐ আসমীদের মামলার আয়ু বিভিন্ন সময় ধরার জন্য হয়ারনি করে আয়ু বলে জামিনের কোন কাগজ আমি পাই নাই। যে কোন সময় আসামীদের গ্রেপ্তার করে আমি কোর্টে চালান দিব। জামিন পাওয়ার সত্বেও কোতয়ালী মডেল থানার এস.আই পিবিএম মইনউদ্দিন আসামীদেরকে ধরার জন্য খুঁজে বেড়াচ্ছেন এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে জানা যায় ঐ মামলার আসামীগণ সেচ্ছায় জামিন পেয়েও হয়রানির স্বীকার হচ্ছেন তাই এই হয়রানির করার পিছে বরিশাল মেট্টপলিটন কোতয়ালী থানার জিয়ারু খোকনের ষড়যন্ত্রের আদেশের কপি আটকে রেখেছেন। আদালতের আদেশনামা জন্য ১০০০ টাকা ঘুষ না দিলে এস.আই খোকন তিনি আদেশনামা কোতয়ালী থানায় জমা দিবেন না। এইভাবে একাধিক অভিযোগ রয়েছে তাহার বিরুদ্ধে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন এস.আই খোকন। অত্র মোকদ্দমার আইনজিবীর সাথে যোগাযোগ করিলে তিনি বলেন যথাসময় ০৯ জন আসামীর জামিন নামা জিয়ারুর সেরেস্তায় জমা দিয়েছি। থানায় আদেশ পাঠানোর কাজ জিয়ারুর এবিষয়ে আমি অবগত নই। এইভাবে যত জামিন নামা জিয়ারু অফিসে আসে তাদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা দাবী করে এবং গ্রহন করে। একাধিক অভিযোগ রয়েছে ভূক্তভোগীদের কাছ থেকে জানা যায়। এই বিষয়ে মুঠো ফোনের মাধ্যমে এস.আই খোকনের সাথে কথা বলিলে তিনি বলেন ১০ তারিখে আদেশনামা পাঠিয়ে দিয়েছি টাকার কথা জিজ্ঞেসাবাদ করিলে তিনি কোন সৎ উত্তর দেয়নি তিনি ফোনটি কেটে দেন। একই বিষয় নিয়ে মুঠোফোনের মাধ্যমে কোতয়ালী মডেল থানার মামলার আয়ু এস.আই পিবিএম মইনউদ্দিনকে মুঠো ফোনের মাধ্যমে মোকদ্দমার আদেশ নামার কথা জিজ্ঞাসা করিলে তিনি বলেন এখনো পর্যন্ত আদেশনামা আমি পাইনি তবে ১৯/১০/২০১৮ইং রোজ বুধবার মুঠো ফোনের মাধ্যমে আমার সাথে ও জিয়ারুর সাথে কথা হইছে যে, আজ পাঠানো হবে বলে জানান। এস.আই খোকন যখন বরিশাল মেট্টোপলিটন কাউনিয়া থানার এস.আই হিসেবে কর্মরত ছিল তিনি তখনকার সময়েই ঘুষের টাকার জন্য কাউনিয়া থানার এরিয়ার নানান নিরহ মানুষকে হয়রানি করে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন কাউনিয়া থানাধীন কয়েকটি এলাকার স্থানীয় লোকজনদের সাথে কথা বললে নাম প্রকাশ করা অনিচ্ছুক একাধিক ভূক্তভোগিরা বলেন এস.আই খোকন তিনি টাকার জন্য মাদকসহ ধরা পড়লেও মোটা অঙ্কের টাকা দিলে ছেড়ে দিত টাকা না দিলে নানাভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে অর্থ উপার্জন করিত। এই অত্যাচারে গোটা এলাকা অতিষ্ঠ হইয়া উঠেছিল এবং অদ্য এলাকার নিরহ লোকজন তার অত্যাচারে বসবাস ও রাস্তা ঘাটে চলাফেরা করিতে পারত না সাধারণ জনগণ রাস্তায় যদি হাঁটা চলা করিত দেখত এবং কোন জায়গায় জড় হতে দেখত এস.আই খোকন তাহাদের তল্লাশী করে কিছু না পেয়ে অশ্লিল ভাষায় গলাগালি করে। আরও বলেন ৫-১০ হাজার টাকা ঘুষ না দিলে মিথ্যা মামলায় চালান দিব। এইভাবে হয়রানির স্বীকার হতে হন সাধারণ জনগনের। এর ব্যাপারে কেউ যদি উর্দ্ধতন কর্মকর্তার যদি অভিযোগ করে তাহলে তার কিছু করতে পারবে না তার ঘুষের টাকা সবাইকে ভাগ বন্টন করে দিতে হয় বলে জানান। কাউনিয়া থানা থেকে বরিশাল মেট্টোপলিটন কোতয়ালী থানার জিয়ারু পদে যোগদান করিলে জিয়ারু অফিসকে ঘুষ-বানিজ্যর পরিণত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন ঐ অসৎ এস.আই খোকন। একাধিক ভূক্তভোগীরা এই এস.আই খোকনের বিরুদ্ধে ঘুষ ও হয়রানির একাধিক অভিযোগ রয়েছে।