সামিমা ইসলাম: নারায়ণগঞ্জে জমি বিক্রি করতে চাওয়ায় আউয়াল মিয়া নামে এক বৃদ্ধকে মারধরের অভিযোগ উঠছে মেয়ে ও জামাতার বিরুদ্ধে। জানা গেছে, গত ২৮ ডিসেম্বর আউয়াল মিয়া নিজের জমি বিক্রি করতে চাইলে তাকে গালিগালাজ ও প্রাণনাশের হুমকি দেয় তা মেয়ে শিল্পী আক্তার ও মেয়ে জামাতা ফরহাদ হাওলাদার। এ বিষয়ে মেয়ে ও জামাতার বিরদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন আঃ আউয়াল মিয়া। অভিযোগে উল্লেখ করেন, আউয়াল মিয়া ফতুল্লা ভূইগড় ৭.৫ শতাংশ সম্পত্তিতে ক্রয় সূত্রে মালিক হয়ে মেয়ে শিল্পী আক্তারকে ৪.৫ শতাংশ সম্পত্তি বণ্টন করে দেন। বাকি ০৩ শতাংশ সম্পতিতে আ. আউয়াল মিয়া মালিক থাকে। বাকি ৩.১৭ শতাংশ সম্পত্তি বিক্রয় বা মাপ দেওয়ার চেষ্টা করলে মেয়ে শিল্পি আক্তার ও মেয়ে জামাতা ফরহাদ হাওলাদার বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ভাবে বাঁধা প্রদান করে ভয়ভীতি দেখান। গত ২৮ ডিসেম্বর সকাল ১০ টার দিকে আ. আউয়াল মিয়া ওই সম্পত্তি পরিমাপ দেয়ার চেষ্টা করলে মেয়ে ও জামাতা সহ অজ্ঞাত ৫ থেকে ৬ জন আসে আমাকে বাঁধা প্রদান করে।
একপর্যায়ে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালি গালাজ করতে থাকে। তাদেরকে গালি গালাজ করতে বারণ করলে তারা বৃদ্ধ আ. আউয়াল মিয়াকে মারধর করার চেষ্টা করে। সম্পত্তি বিক্রি করার চেষ্টা করে বা সম্পত্তিতে যায় তাহলে আ. আউয়াল মিয়া ও তার পরিবারের সদস্যদের যেকোন মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করাসহ প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে তাড়িয়ে দেয়। তবে অভিযুক্ত মেয়ে জামাতা ফরহাদ হাওলাদার বলেন, এসব কিছুই হয়নি। আমরা এমনিতে জমির কথা বলছিলাম। আঃ আউয়ালের ছোট ছেলে সোহেল রানা বলেন, আমি একজন প্রবাসী। আমরা তিন ভাই তিন বোন প্রথম ঘরের দ্বিতীয় ঘরের আমাদের একটি ছোট বোন আমার বাবা ও তার দুই পার্টনার এই সম্পত্তি জার আরএস ১০২০ তারা তিন জন মালিক আমার বাবা তার অংশ থেকে আমার ছোট বোন শিল্পী আখতার কে ৪.৩৩ শতাংশ জায়গা বুঝিয়ে দেন। আমার বাবা তার বাকি অংশ বাউন্ডারি করতে গেলে আমার বাবা কে শিল্পীর স্বামী ফরহাদ হাওলাদার আমার বাবা কে মারধর করছে। এখন আমি ও আমার বড় ভাই প্রবাসে থাকি তাই আমার এলাকাবাসী ও আমাদের দেশের প্রশাসনকে অনুরোধ করে বলছি এটি সুষ্ঠু বিচার করা হোক। আল্লাহ তাআলা সবাইকে হেদায়েত দান করুন।
আঃ আউয়াল বলেন, জমি নেওয়ার জন্য অনেক ফকানোর চেষ্টা করেছেন।জাল দলিল বানিয়ে হয়রানি করার চেষ্টা করেছেন এবং মিথ্যা মামলা সহ নানান অভিযোগ দিয়েছেন। আমাকে জুতা,লাঠি সহ বিভিন্ন জিনিস দিয়ে মারতে এসেছে।তাৎক্ষণিক ভাবে এলাকার মানুষ আমাকে বাঁচিয়েছে।এছাড়া আমাকে বিভিন্ন ভাবে লাঞ্ছনার শিকার হতে হয়েছে, আমি এর বিচার চাই। এ বিষয় ফতুল্লা থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) সোলেয়মান মাহমুদ বলেন, অভিযোগ পেয়েছি, তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।