1. rajubdnews@gmail.com : 24jibonnews : admin
বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫, ১০:০৬ অপরাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদ:
ভোটার হতে পারবেন তফসিল ঘোষণার এক মাস আগেই ১৮ বছরে পৌঁছানো নাগরিকরা গোপালগঞ্জে সহিংসতা: তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠন ইরাকে শপিং মলে ভয়াবহ আগুন, নিহত অন্তত ৬০ আলাস্কায় ৭.৩ মাত্রার ভূমিকম্প, সুনামি সতর্কতা জারি গোপালগঞ্জের ঘটনার পূর্বাভাস ছিল না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা অপপ্রচারে তারেক রহমানের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করা যাবে না: রিজভী ২১ আগস্ট মামলায় খালাসপ্রাপ্তদের বিরুদ্ধে আপিল শুনানি ২৪ জুলাই পর্যন্ত মুলতবি আওয়ামী দোসর অথরাইজড অফিসার আল মামুন এর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ত্রিমুখী সংঘর্ষে ভয়াবহ দক্ষিণ সিরিয়ার পরিস্থিতি সাবেক বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীর প্রায় ৪০০ কোটি টাকার সম্পত্তি জব্দ

ট্রাভেল এজেন্ট থেকে বিপুল রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার

প্রতিনিধির নাম :
  • আপডেট এর সময় : রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০১৯

দেশের ৩৮ জেলা থেকে ৩৫৭টি ট্রাভেল এজেন্সির পরিদর্শন প্রতিবেদন না দেওয়ায় সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। জেলা প্রশাসনের চাহিদা অনুযায়ী এলআর ফান্ডে (লোকাল রিসোর্স ফাণ্ড) টাকা না দেওয়ায় এসব এজেন্সির বিষয়ে বছরের পর বছর প্রতিবেদন দেওয়া হচ্ছে না বলে বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন একটি সূত্র জানিয়েছে। ট্রাভেল এজেন্সির পক্ষ থেকে এরকমই অভিযোগ মন্ত্রণালয়ে করা হয়েছে বলে ঐ সূত্র দাবি করেছে।

সংশ্লিষ্ট একাধিক জেলা প্রশাসক অবশ্য ভিন্নমত প্রকাশ করে বলছেন, লোকবলের অভাব আর অনেক এজেন্সির জন্য প্রয়োজনীয় তথ্যাদি সংযুক্ত না থাকায় ঐসব আবেদন বিবেচনা করা যাচ্ছে না। কিন্তু জেলা প্রশাসকরা বিষয়টি মন্ত্রণালয়কে অবহিত করেননি।

জেলা প্রশাসনের সূত্রগুলো অবশ্য এলআর ফান্ডে ঐ খাত থেকে টাকা বা চাঁদা নেওয়া হয় সে কথা স্বীকার করে বলছেন, প্রতিটি এজেন্সির কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা নেওয়া হয়। যারা বা যেসব এজেন্ট ঐ পরিমাণ টাকা দিতে পারেন না তাদের বিষয়ে কোনো কোনো জেলা প্রশাসন ঐসব আবেদন ফেলে রাখে।

বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মহিবুল হক ইত্তেফাককে বলেন, এজেন্সিগুলোর বিষয়ে জেলা প্রশাসকের প্রতিবেদন না পাওয়ায় সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া যাচ্ছে না। প্রতিটি এজেন্সি বছরভিত্তিক নবায়নের ক্ষেত্রে সরকারকে ৩৩ হাজার টাকা ফিস এবং নতুন এজেন্সির ক্ষেত্রে ৬৩ হাজার ৩০০ টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়ার নিয়ম রয়েছে। তিনি বলেন, প্রতিবেদন প্রাপ্তির ক্ষেত্রে মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট শাখা থেকে মাঝে মাঝে তাগিদপত্র দেওয়া হচ্ছে।

যেসব জেলা থেকে প্রতিবেদন পাওয়া যাচ্ছে না সেগুলো হচ্ছে চট্টগ্রামে ১২৯টি, সিলেটে ১০৯টি, কুমিল্লায় ছয়টি, কক্সবাজারে আটটি, গাইবান্ধায় দুইটি, গাজীপুরে দুইটি, হবিগঞ্জে দুইটি, রাজশাহীতে ১১টি, চাঁদপুরে একটি, চাঁপাইনবাবগঞ্জে ছয়টি, ঢাকায় দুইটি, ফরিদপুরে একটি, ফেনীতে আটটি, ঝিনাইদহ ও কিশোরগঞ্জে একটি করে, ময়মনসিংহে ছয়টি, নওগাঁয় একটি, নরসিংদীতে তিনটি, নোয়াখালীতে পাঁচটি, শেরপুরে একটি, সিরাজগঞ্জে ছয়টি, সুনামগঞ্জে দুইটি, বগুড়ায় পাঁচটি, দিনাজপুরে দুইটি, খুলনায় ছয়টি, মৌলভীবাজারে ছয়টি, মুন্সিগঞ্জে দুইটি, নারায়ণগঞ্জে ১০টি, রংপুরে দুইটি, টাঙ্গাইলে তিনটি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, জামালপুর, জয়পুরহাট, কুড়িগ্রাম, মানিকগঞ্জ, মেহেরপুর, নীলফামারী ও পটুয়াখালীতে একটি করে আবেদন পড়ে আছে।

বিভাগওয়ারী হিসাবে ঢাকায় ২৫টি, চট্টগ্রামে ১৫৮টি, সিলেটে ১১৯টি, রাজশাহীতে ৩০টি, বরিশালে একটি, খুলনায় আটটি, ময়মনসিংহে আটটি আবেদন নিষ্পত্তি না করে ফেলে রাখা হয়েছে।

পোস্টটি আপনার স্যোশাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© All rights reserved © জীবন নিউজ ২৪ ডট কম
Theme Customized BY LatestNews