কিশোরগঞ্জের নিকলী উপজেলায় তাঁতশিল্প নেই। কিন্ত আছে তাঁতী দলের ১০১ সদস্য উপজেলা কমিটি। এ ছাড়াও নিকলী উপজেলার সাতটি ইউনিয়ন পর্যায়ে আছে সংগঠনটির কমিটি। এসব কমিটিতে তিন শতাধিক নেতা রয়েছে। সংগঠনটির গঠনতন্ত্রে তাঁতশিল্পের উন্নয়নে অনেকগুলো লক্ষ্য বাস্তবায়নের কথা বলা আছে। কিন্ত নিকলী উপজেলাতে কোনো তাঁতশিল্প না থাকায় বাস্তবে এক যুগেও তাঁত বা তাঁতিদের স্বার্থে কোনো কর্মসূচি নিকলীতে পালিত হয়নি।
দিবস ভিত্তিক রাজনৈতিক কর্মসূচি ও মূলদল বিএনপির সভা-সমাবেশে যোগ দেওয়ার মধ্যেই সীমিততাঁতীদলের কার্যক্রম।নিকলীতে তাঁতী দলের কোনো প্রয়োজনীয়তা দেখছেনা নিকলী উপজেলার বিএনপির সভাপতি বদরুল মোমেন (মিঠু)।
তিনি ইত্তেফাককে বলেন, উপজেলা ও ইউনিয়নগুলোতে নেতাকর্মী বাড়নো ও দলকে সংগঠিত করতে তাঁতী দলের জন্ম। কিন্ত নিকলীতে যেহেতু কোনো তাঁতী নেই বা তাঁতাশিল্প নেই, তাই সেখানে তাঁতী দলের শাখা থাকার যুক্তি নেই। এটি বিবেচানায় রাখা উচিত। আর অনেকেই এসব সংগঠনের নেতা হন পদ ব্যবহার করে দলের সুবিধা নেওয়ার জন্য।
দলীয় সূত্র জানায়, নিকলী উপজেলাতে তাঁতী দলের কমিটি প্রায় একযুগ আগে করা হয়েছে। জজ মিয়াকে সভাপতি ও মুক্তার হোসেনকে সাধারণ সম্পাদক করে ১০১ সদস্যের কমিটি ঘোষণা করা হয়।
জজ মিয়া জানান, তাঁতী দলের কোনো কার্যক্রম না তাকায় আমরা মূল দলের কমসূচিগুলোতে যোগ দেয় দলীয় শক্তি বৃদ্ধির জন্য। এছাড়া কমিটির তিন বছরের মেয়াদ অনেক আগে শেষ হলেও নতুন করে কমিটি গঠন করা হয়নি।
তাঁতী দলের কয়েকজন নেতা জানান, কমিটিতে যে সদস্য আছে তারা কেউ তাঁতী নন। তাঁতী পরিবারের সন্তানও নন। তারপরও তাঁদের কমিটিতে রাখা হয়েছে। দিবস ভিত্তিক রাজনৈতিক কর্মসূচি ও মূলদল বিএনপির সভা-সমাবেশে যোগ দেওয়ার মধ্যেই সীমিতবদ্ধ তাঁতীদলের কার্যক্রম।
নিকলী উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা মোজাম্মেল হোসেন বলেন, নিকলীতে তাঁত শিল্প না থাকলেও কেন্দ্রীয় ভাবে তাঁতীদল থাকায় নিকলীতে কমিটি করা হয়েছে। নিকলীতে কোনো তাঁতীর সন্তান নেই। তাঁতী না থাকলেও আমরা সহযোগী সংগঠন হিসেবে বিএনপিকে সহযোগীতা করার করার জন্য কমিটি করা হয়েছে। পাশাপাশি দলের বিভিন্ন কার্যক্রমে তাঁতী দল সহযোগীতা করছে। তবে তারা দলের বিভিন্ন সময় সুযোগ সুবিধা নিয়ে থাকে।