গোলাপি বলের সিমে সেলাই থাকে বেশি। বল তাই বেশি সুইং করে, মুভ করে। বাউন্স পাওয়া যায় বেশি। তার সঙ্গে গোলাপি বল যাতে দ্রুত রঙ না হারায় সেজন্য ইডেন গার্ডেনসের উইকেট বানানো হয় সবুজ। দিবা-রাত্রির টেস্টে ওই গোলাপি বলের সামনে নিজেদের লেলিয়ে দেয় বাংলাদেশ। টস জিতে নেয় ব্যাটিং।
মুমিনু্লের সিদ্ধান্তে অবাক হয়ে মাঠে থাকা ধারাভাষ্যকার ব্যাটিং নেওয়ার কারণ জানতে চান মুমিনুলের কাছে। তিনি বলেন, এটা তাদের সাহসী সিদ্ধান্ত। উইকেট শক্ত, ব্যাটিং সহায়ক হবে। কিন্তু ব্যাটিংয়ে সেই সাহস দেখাতে পারেনি বাংলাদেশ। প্রথম ইনিংসে ১০৬ রানে অলআউট। দ্বিতীয় ইনিংসে সংগ্রহ দুইশ’ ছুঁইছুঁই রান। সোয়া দুই দিনে টেস্ট হার ইনিংস ও ৪৬ রানে।
মুমিনুলকে টসের সিদ্ধান্ত নিয়ে তাই ম্যাচ শেষে আবার কথা বলতে হলো। তিনি জানিয়ে দিলেন, পরে ব্যাটিং নিলেও চিত্রটা তেমন একটা বদলাতো না। মুমিনুল বলেন, ‘দুই দলের মধ্যে পারফরম্যান্সের যে ফারাক তা অবশ্যই চিন্তার ব্যাপার। এই দু্ই টেস্ট থেকে অনেক কিছুই শিখেছি। দেখা যাক সামনে কী হয়। গোলাপি বলে নতুন বল সামলানো খুবই কঠিন। আমরা নতুন বল সামলানোর সেই চ্যালেঞ্জ নিতে পারিনি। তবে পরাজয়ের ম্যাচ থেকেও আছে কিছু ইতিবাচক দিক।’
মুমিনুল বলেন, ‘ইবাদত ভালো বোলিং করেছে। মুশফিক এবং রিয়াদ ভাই ভালো ব্যাটিং করেছেন। উইকেট যেরকম ছিল পরে ব্যাটিং করলেও একই ব্যাপার ঘটটো। পরে ব্যাট করলেও খুব বেশি পার্থক্য দেখা যেত না।’