কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে হঠাৎ করে আত্মহত্যার প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। গত বছর এই উপজেলায় আত্মহত্যায় প্রাণ হারিয়েছেন ১১ জন। এদিকে গত দুই সপ্তাহের ব্যবধানে দুই স্কুল ছাত্র ও এক বৃদ্ধের আত্মহত্যার ঘটনায় শঙ্কিত অভিভাবক মহল। আক্রান্তদের অধিকাংশই কিশোর এবং তরুণ
স্থানীয় দুইজন অভিভাবক জানান, স্কুল-কলেজ পড়ুয়া ছেলে-মেয়েদের মধ্যে যেভাবে আত্মহননের প্রবণতা দেখা যাচ্ছে তাতে সন্তানদের নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি। পরিবারের পাশাপাশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোতে কাউন্সিলিংয়ের ব্যবস্থা করা উচিত।
নাওডাঙ্গা স্কুল অ্যান্ড কলেজের সহযোগী অধ্যাপক আব্দুল হানিফ সরকার জানান, কখনও কখনও অভিভাবকদের অসদ আচরণ আত্মহত্যার প্রবণতাকে উসকে দেয়। এ জন্য তাদের আরও বেশি করে সচেতন হতে হবে। সেই সঙ্গে সন্তানদের যেকোন সমস্যা বুঝিয়ে বলার চেষ্টা করতে হবে। পাশাপাশি আমাদের ছেলে-মেয়েদের বাবা-মাকে বুঝবার চেষ্টা করতে হবে। কেননা সন্তানরা আমাদের বেঁচে থাকার একমাত্র অবলম্বন।
এ প্রসঙ্গে ফুলবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ রাজীব কুমার রায় জানান, আত্মহত্যা ঠেকাতে সামাজিক ভাবে জনসচেতনতা বাড়াতে হবে। পরিবারের সঙ্গে কিশোর-তরুণদের যোগাযোগ আরও বাড়াতে হবে। কেননা হঠকারী এবং ভুল পদক্ষেপ একটি পরিবারকে সারাজীবন ভোগায়।