1. rajubdnews@gmail.com : 24jibonnews : admin
রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:০৩ অপরাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদ:
জাতীয় সংসদ ভবনে জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে বৈঠকে বসেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন সিন্ধু নদে হয় পানি বইবে নাহয় ভারতীয়দের রক্ত: বিলওয়াল ভুট্টো জারদারি কাশ্মির ইস্যু ও ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা; যা বললেন ট্রাম্প রাঙামাটির কাউখালীতে পিকআপ ও সিএনজি সংঘর্ষে ৫ জন নিহত রাজশাহীতে আগুনে পুড়ে ছাই ৮০ কৃষকের ২০ বিঘা পানের বরজ পর্দায় অনুপস্থিত আরিফিন শুভ ফিরলেন স্বরূপে কুয়েট উপাচার্য ড. মুহাম্মদ মাছুদ ও উপ-উপাচার্য ড. শেখ শরীফুল আলমকে অব্যাহতি চাঁপাইনবাবগঞ্জের সীমান্ত এলাকা থেকে শতাধিক ককটেল ও পেট্রোল বোমা উদ্ধার করেছে বিজিবি গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ১০টি দোকান পুড়ে গেছে সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটায় বাসচাপায় মা ও তার শিশু সন্তান নিহত

বরিশালে দানের টাকায় নির্বাচনে ৮ কাউন্সিলর প্রার্থী

প্রতিনিধির নাম :
  • আপডেট এর সময় : বুধবার, ১১ জুলাই, ২০১৮

বরিশাল সিটি করপোরেশন (বিসিসি) নির্বাচনে অর্থপ্রাপ্তির সম্ভাব্য উৎসে দানের টাকার উপর জোর দিয়েছেন আট কাউন্সিলর প্রার্থী। এসব প্রার্থীর মধ্যে অনেকেই আংশিক আবার অনেকে পুরোটাই দানের টাকায় নির্বাচন করছেন বলে জানিয়েছেন তারা। অর্থ প্রাপ্তির সম্ভাব্য উৎস ও ব্যয়ের সম্ভাব্য খাতসমূহের বিবরণীর তথ্যানুযায়ী, বরিশাল সিটির ১নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা আমির হোসেন বিশ্বাস তার নির্বাচনি অর্থ প্রাপ্তির সম্ভাব্য উৎসে ৭৫ হাজার টাকার কথা উল্লেখ করেছেন। আর এ পুরো টাকাই তার ভাই সরকারি চাকরজীবী দেলোয়ার হোসেনের দানের টাকা। সম্ভাব্য নির্বাচনি ব্যয়ের খাতে তিনি পোস্টার বাবদ ১০ হাজার টাকা, ক্যাম্পের খরচ ১২ হাজার ৫০০ টাকা, নির্বাচনি ক্যাম্প, নির্বাচনি এজেন্ট ও কর্মীদের খরচ ১০ হাজার টাকা, লিফলেট ও হ্যান্ডবিল বাবদ ১০ হাজার টাকা ও ব্যানার-মাইকিং বাবদ ২৬ হাজার টাকা খরচ ধরা হয়েছে। একই ওয়ার্ডের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মো. আউয়াল মোল্লা তার নির্বাচনি অর্থ প্রাপ্তির সম্ভাব্য উৎসে ১ লাখ ১৫ হাজার টাকার কথা উল্লেখ করেছেন। যার মধ্যে ৭০ হাজার টাকা দানের। আর এ দানের টাকার মধ্যে তার ভাইয়ের ছেলে মশিউর রহমান দিচ্ছেন ৫০ হাজার এবং শ্যালক নূর হোসেন দিয়েছেন ২০ হাজার টাকা। সম্ভাব্য নির্বাচনি ব্যয়ের খাতে তিনি পোস্টার বাবদ সাড়ে পাঁচ হাজার টাকা, ক্যাম্পের খরচ সাড়ে আট হাজার টাকা, নির্বাচনি ক্যাম্প, নির্বাচনি এজেন্ট ও কর্মীদের খরচ বাবদ ১৬ হাজার টাকা খরচ ধরা হয়েছে। এদিকে বিসিসি’র ৫নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী আলম বিশ্বাস তার নির্বাচনি অর্থ প্রাপ্তির সম্ভাব্য উৎসে ২২ হাজার টাকা। এর মধ্যে তার বোন নিলুফা বেগমের কাছ থেকে ধার নিয়েছেন ২০ হাজার টাকা এবং তার বোন জামাই মো. ওলি তাকে দান করেছেন দুই হাজার টাকা। নির্বাচনি ব্যয়ে তিনি পোস্টার বাবদ খরচ দেখিয়েছেন দেড় হাজার টাকা। পাশাপাশি নির্বাচনি ক্যাম্প, নির্বাচনি এজেন্ট ও কর্মীদের খরচ ৩ হাজার টাকা। ৮নং ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা সুরঞ্জিত দত্ত লিটু তার মায়ের কাছ থেকে পাওয়া দানের একলাখ টাকা অর্থ প্রাপ্তির সম্ভাব্য উৎস হিসেবে উল্লেখ করেছেন। এ ছাড়া নিজের বা ধার করা কোনো টাকা দিয়ে নির্বাচনি ব্যয় উল্লেখ করেননি তিনি। তার নির্বাচনি ব্যয়ে পোস্টার বাবদ খরচ পাঁচ হাজার টাকা, নির্বাচনি কার্যালয়ের খরচ ১৫ হাজার টাকা, এজেন্ট এবং প্রার্থীর যাতায়াত ও ২০ জন কর্মীর খরচ বাবদ দেওয়া হয়েছে ২০ হাজার টাকা। এ ছাড়া ব্যানার, লিফলেট, মাইকিং ও আপ্যায়ন খরচ বাবদ দেওয়া হয়েছে ৪০ হাজার টাকা উল্লেখ করেন তিনি। একই ওয়ার্ডের প্রতিদ্বন্দ্বী কাউন্সিলর প্রার্থী বিএনপি নেতা মো. আল-আমিনও দানের টাকায় নির্বাচন করছেন। যার মধ্যে প্রার্থীর স্ত্রী রোকসানা বেগমের ৫০ হাজার টাকা ও ভাই জসিম উদ্দিনের ৪৫ হাজার টাকা দিয়েছেন। তিনি নির্বাচন কমিশনকে ব্যয় দেখিয়েছেন ৯৫ হাজার টাকা। যার মধ্যে তিনি পোস্টার বাবদ খরচ দেখিয়েছেন ১৪ হাজার টাকা। পাশাপাশি নির্বাচনি ক্যাম্প ও এজেন্ট এবং কর্মীদের খরচ ২৫ হাজার টাকা। বরিশাল সিটি করপোরেশনের ১৯নং ওয়ার্ড থেকে পরপর দুইবারের কাউন্সিলর গাজী নইমুল হোসেন লিটু এবারও প্রার্থী হয়েছেন। বর্তমানে তিনি এ ওয়ার্ডে একক প্রার্থী হওয়ায় নির্বাচনি খরচ নেই বললেই চলে। বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদধারী এ নেতা নির্বাচনে অর্থ প্রাপ্তির সম্ভাব্য উৎসে কর্য ছাড়াও দানের টাকা দেখিয়েছেন নির্বাচন কমিশনকে। নির্বাচনে নিজের থেকে কোনো টাকাই খরচ করছেন না তিনি। অর্থ প্রাপ্তির সম্ভাব্য উৎস ও ব্যয়ের সম্ভাব্য খাতসমূহের বিবরণীর তথ্যানুযায়ী, লিটুর নির্বাচনি ব্যয় ধরা হয়েছে একলাখ টাকা। এরমধ্যে ৫০ হাজার টাকা তার বন্ধু সৈয়দ ওবায়েদউল্লাহ সাজু দান করেছেন এবং আত্মীয় ব্যতীত সুবল দাস নামে এক ব্যক্তি ২৫ হাজার টাকা দান করেছেন। তার নির্বাচনি ব্যয়ের মধ্যে ২০ জন কর্মীর খরচ ধরেছেন ২৭ হাজার টাকা। এ ছাড়া এক হাজার ৫০০ পিস পোস্টার বাবদ ৫ হাজার টাকা, নির্বাচনি কার্যালয়ের খরচ ১২ হাজার টাকা, কেন্দ্রীয় ক্যাম্পে খরচ বাবদ ১৩ হাজার টাকা, প্রার্থীর যাতায়াত খরচ আট হাজার টাকা, ঘরোয়া বৈঠকে দুই হাজার ৫০০ টাকা, লিফলেট বাবদ দুই হাজার ৫০০ টাকা, হ্যান্ডবিল বাবদ দুই হাজার ৫০০ টাকা, ডিজিটাল ব্যানার খরচ চার হাজার টাকা, পথসভার খরচ এক হাজার ৫০০ টাকা, মাইকিং খরচ আট হাজার টাকা ও আপ্যায়ন খরচ বাবদ তিনহাজার ৬০০ টাকা। এদিকে সংরক্ষিত ওয়ার্ড ৬ এর ২৮, ২৯, ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদপ্রার্থী রাশিদা পারভীন তার নির্বাচনি অর্থ প্রাপ্তির সম্ভাব্য উৎসে এক লাখ ৫০ হাজার টাকার কথা উল্লেখ করেছেন। যে টাকা সম্পূর্ণ তার আত্মীয় (তালই) সাইদুর রহমান দান করেছেন। তার নির্বাচনি ব্যয়ে পোস্টার খরচ বাবদ দেখিয়েছেন ৩০ হাজার টাকা, নির্বাচনি কার্যালয়ের খরচ ১৫ হাজার টাকা এবং নির্বাচনি এজেন্ট ও কর্মীদের মোট খরচ ২৫ হাজার টাকা, ডিজিটাল ব্যানার ১৮ হাজার টাকা ও মাইকিং খরচ ২০ হাজার টাকা। সংরক্ষিত ওয়ার্ড-৬ এর ১৬, ১৭, ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদপ্রার্থী মোর্শেদা বেগম কাজলের নির্বাচনি অর্থ প্রাপ্তির সম্ভাব্য উৎসের মধ্যে ৫০ হাজার টাকা দান হিসেবে দেখিয়েছেন। যা তিনি মেয়ে নিশাত আমানের কাছ থেকে প্রাপ্তির কথা উল্লেখ করেছেন। তার নির্বাচনি ব্যয়ের বাকি দেড়লাখ টাকা তার ভাই কাজল ডা. হুমায়ন কবিরের কাছ থেকে ধার নিয়েছেন। তার ৩টি নির্বাচনি ক্যাম্পের খরচ দেখানো হয়েছে ৬ হাজার টাকা, এজেন্টের খরচ ১০ হাজার টাকা ও কর্মীদের খরচ দেওয়া হয়েছে ৫ হাজার টাকা, লিফলেট খরচ ধরা হয়েছে ১০ হাজার টাকা এবং তিন নির্বাচনি কার্যালয়ে আপ্যায়ন খরচ ধরা হয়েছে ১৫ হাজার টাকা।

পোস্টটি আপনার স্যোশাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© All rights reserved © জীবন নিউজ ২৪ ডট কম
Theme Customized BY LatestNews