বগুড়া: মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন স্কুলছাত্রী ফাহমিদা আলম। এ ঘটনায় বাবা মাদরাসা শিক্ষক ফরিদ আহমেদ আহত হয়েছেন।
শনিবার (৭ অক্টোবর) বিকেলে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (শজিমেক) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ফাহমিদা। এর আগে বগুড়ার শেরপুর পৌরশহরের ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কের বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
ফাহমিদা আলম বগুড়া পল্লী উন্নয়ন একাডেমি ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজের (আরডিএ) সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী। তার বাবা ফরিদ আহমেদ শাজাহানপুর উপজেলার নগর জেএম ফাজিল মাদরাসার শিক্ষক। শেরপুর উপজেলার দশমাইল এলাকায় ভাড়া বাড়িতে বসবাস করেন এই পরিবারটি।
জানা গেছে, বগুড়া পল্লী উন্নয়ন একাডেমি ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক গোলাম মোস্তফা সাকির বাড়ি শেরপুর শহরের টাউন কলোনিতে। তার কোচিংয়ে পড়তে আসে একই স্কুলের ছাত্রী ফাহমিদা আলম। কোচিং শেষে বাবার সঙ্গে মোটরসাইকেলযোগে স্কুলের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় সে। কিন্তু বাসস্ট্যান্ড এলাকায় মহাসড়কে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা হানিফ এন্টারপ্রাইজের একটি বাস মোটর সাইকেলটিকে চাপায় দেয়।
তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি ঘটলে ফাহমিদাকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (শজিমেক) নেয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকেলের দিকে ফাহমিদা মারা যায়।
শেরপুর টাউন ফাঁড়ি পুলিশের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (টিএসআই) শাহ আলম জানান, ঘাতক বাসটিকে শাজাহানপুর থানা পুলিশ আটক করেছে। তবে পালিয়ে যাওয়ায় চালক ও চালকের সহকারীকে আটক করা যায়নি। আহত বাবা ফরিদ আহমদ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।