1. rajubdnews@gmail.com : 24jibonnews : admin
শুক্রবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৩:৩০ অপরাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদ:
এনসিপি নেত্রী জান্নাত আরা রুমীর মৃত্যুর নেপথ্যে কারণ কী? নেপালকে হারিয়ে সেমির পথে বাংলাদেশ চিকিৎসা নিতে পারছেন খালেদা জিয়া, শারীরিক অবস্থা আগের মতোই স্থিতিশীল জেআইসি সেলে গুম ও নির্যাতন, শেখ হাসিনা ও ১২ সেনা কর্মকর্তার বিচার শুরুর আদেশ শীতকালে শসা খাওয়ার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকা প্রয়োজন আন্তর্জাতিক বাজারে লাফিয়ে বাড়ছে স্বর্ণের দাম, সব রেকর্ড ভাঙল রূপা ইরানকে কঠোর হুঁশিয়ারি ইসরাইলের জুলাই আন্দোলন দমনের অভিযোগ ওবায়দুল কাদেরসহ সাতজনের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ এলাকা ভিত্তিক বন্যপ্রাণীর তালিকা প্রণয়ন করবে সরকার ডিসেম্বরের প্রথম ১৬ দিনে প্রবাসী আয় ১৮২ কোটি ৬০ লাখ ডলার

ভিক্ষুকের টাকা ছিনিয়ে নিল মাদকসেবী

প্রতিনিধির নাম :
  • আপডেট এর সময় : সোমবার, ২৮ মে, ২০১৮

‘আহারে একটা কাপড় কিনার জন্য আমাকে ৩শ টেকা দিলো আর সেই টেকা থাপা মেরে নিয়ে গেল এক খারাপ পোলা। রোজা রমজানের দিন মেইনসে দিবো কি আরও গরিবের টাকা ছিনিয়ে নেয়। ঘুরে ঘুরে যাও পয়সা তুলতাম ভয়ে তাও পারছি না। বাবা ওরা আমাকে আবার মারবে না তো।’

সুন্দুরি বেগম (৭৫) নামে এক ভিক্ষুক সোমবার দুপুর সাড়ে বারটার দিকে মির্জাপুর প্রেসক্লাবে এসে কান্নাজড়িত কন্ঠে আক্ষেপ করে এসব কথা বলেন।  ভিক্ষুকের টাকা এভাবে ছিনতাইয়ের এ ঘটনাটি ঘটে সোমবার বেলা বারটার দিকে মির্জাপুর পুরাতন বাসস্ট্যান্ডে আশকবর ভবনের পশ্চিম পার্শ্বে সওদাগড়পাড়ার সামনে।

এদিকে সারাদেশের মতো মির্জাপুরেও মাদক বিক্রেতা ও ছিনতাইকারীদের বিরুদ্ধে পুলিশের বিশেষ অভিযান শুরু হলেও মির্জাপুরে এখনও প্রকাশ্যে ঘুরাঘুরি করছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

প্রত্যাক্ষদর্শীরা জানান, সুন্দুরি বেগম বেলা বারটার দিকে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের মির্জাপুর পুরাতন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় আশকবর ভবনের পশ্চিম পাশ্বে ভিক্ষা করছিলেন। এ সময় এক ব্যাক্তি তাকে কাপড় কেনার জন্য ৩শ টাকা সাহায্য দেন। সুন্দুরি বেগম ওই টাকা হাতে নিয়ে মোনাজাত শেষে তার ব্যাগে রাখছিলেন। এ সময় সওদাগর পাড়ার বাসিন্দা মাদকসেবী আল আমিন থাবা মেরে ওই বৃদ্ধার টাকা নিয়ে রিকশাযোগে চম্পট দেয়। এ ঘটনার পর ভিক্ষুক সুন্দুরি কান্নায় ভেঙে পড়েন। পরে আশপাশের লোকজন তাকে সান্তনা দেন।

সুন্দুরি বেগমের বাবার বাড়ি মহেড়া ইউনিয়নের মহেড়া গ্রামে। একই ইউনিয়নের ঘোনাপাড়া গ্রামের মকবুল হোসেনের সাথে বিয়ে হয়। পরে স্বামী মারা যাওয়ার পর দেলদুয়ার উপজেলার দশীরা গ্রামের রজব আলীর সাথে দ্বিতীয় বিয়ে হয়। দ্বিতীয় স্বামীও মারা যায়। পরে মহেড়া গ্রামে ভাই আশোক আলীর পরিবারে থেকে ভিক্ষা করে দিনাতিপাত করছেন।

সুন্দরি বেগমের বয়স ৭৫ বছর হলেও তার ভাগ্যে জুটেনি বিধবা কিংবা বয়স্ক ভাতার কোন কার্ড।

মহেড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. বাদশা মিয়ার সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, সুন্দুরি বেগম নামে কেউ তার কাছে আসেনি। আসলে তার নামে একটি কার্ড করে দেয়া হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

পোস্টটি আপনার স্যোশাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© All rights reserved © জীবন নিউজ ২৪ ডট কম লিমিটেড
Theme Customized BY LatestNews