মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস) গ্রুপকে পরাজিত করার পর এই প্রথম ইরাকের জনগণ দেশটির পার্লামেন্ট নির্বাচনে ভোট দিচ্ছে। খবর বিবিসির।
শনিবার স্থানীয় সময় সকাল ৭টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। চলবে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত।
ইরাক ৩২৯ আসনবিশিষ্ট পার্লামেন্টের সদস্য হতে প্রতিদ্বন্দ্বী জোটগুলোর সদস্যসহ প্রায় সাত হাজার প্রার্থী এবারের নির্বাচনে লড়াই করছেন।
ইসলামিক স্টেটের (আইএস) সঙ্গে চার বছরের যুদ্ধে বিপর্যস্ত ইরাক। এই নির্বাচনের মধ্যদিয়ে দেশটিতে শান্তি ফিরিয়ে আনা ও পুনর্গঠন প্রক্রিয়া জোরদার হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এএফপির সংবাদদাতা জানিয়েছেন, সংঘাতপূর্ণ এ দেশের নিবন্ধিত প্রায় ২ কোটি ৪৫ লাখ ভোটারকে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগে ভোট কেন্দ্র খুলে দেয়া হয়েছে।
পর্যবেক্ষকরা বলছেন, নির্বাচনে যারাই জিতুক না কেন, গোষ্ঠীগত দ্বন্দ্ব ও বিচ্ছিন্নতাবাদের উত্তেজনাকে কমিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে দেশ পরিচালনাই তাদের জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে।
শনিবারের ভোটে অংশ নেয়া প্রার্থীদের বেশিরভাগই হয় সুন্নি না হয় শিয়া বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিত্ব করছেন। এর বাইরে কুর্দিদেরও আলাদা তালিকা আছে।
গত বছরের সেপ্টেম্বরে কুর্দি নিয়ন্ত্রিত স্বায়ত্তশাসিত কুর্দিস্তান এক গণভোটের মাধ্যমে নিজেদের স্বাধীন ঘোষণার পথে এগিয়ে গেলেও বাগদাদ তাতে বাদ সাধে।
তুরস্কসহ সীমান্তবর্তী দেশগুলোও স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে কুর্দিস্তানকে মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানায়। কুর্দি নিয়ন্ত্রিত এলাকাগুলোতেও এবারের ভোটে রমরমা প্রচার দেখা গেছে।