1. rajubdnews@gmail.com : 24jibonnews : admin
রবিবার, ০৬ জুলাই ২০২৫, ০৪:২৯ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদ:
গাজায় যুদ্ধবিরতি ও মানবিক সহায়তার দাবিতে ফ্রান্স-মালয়েশিয়ার আহ্বান ইথিওপিয়ান রেনেসাঁস ড্যাম (জিইআরডি)-এর নির্মাণ কাজ সম্পন্ন আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা জোরদার করতে জেলেনস্কি- ট্রাম্পের ফোনালাপ অঙ্গ প্রতিস্থাপন আইন সহজ করতে নতুন উদ্যোগ নিয়েছে সরকার গণতান্ত্রিক অধিকার নিশ্চিতে ভোটের বিকল্প নেই : রুহুল কবীর রিজভী আওয়ামীদের পৈশাচিক দমন-পীড়ন এজিদ বাহিনীর সমতুল্য : তারেক রহমান রাতে ৮ জেলার ওপর দিয়ে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড় হতে পারে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে নতুন করে আরও ২০৪ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি খুলনার সঙ্গে সারাদেশের রেল চলাচল বন্ধ ইউক্রেনে রেকর্ড সংখ্যক ড্রোন হামলা চালিয়েছে রাশিয়া

যশোরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর টার্গেট ৩০৩ জন

প্রতিনিধির নাম :
  • আপডেট এর সময় : শনিবার, ২৬ মে, ২০১৮

যশোরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর টার্গেট ৩০৩ মাদক বিক্রেতা ও গডফাদার। তালিকাভুক্ত এসব মাদক চোরাকারবারিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সাঁড়াশি অভিযানে মাঠে রয়েছে পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। গত এক সপ্তাহে বন্দুকযুদ্ধে সাতজন নিহত ও ৭৩ জন মাদক বিক্রেতাকে আটক করা হয়েছে। তবে পুলিশ ঘোষিত শীর্ষ ১৪ মাদক বিক্রেতা এখনো ধরাছোয়ার বাইরে রয়েছেন। তাদের ধরিয়ে দিতে পুরস্কার ঘোষণা করেছিল যশোর জেলা পুলিশ।

স্থানীয়রা জানায়, মাদকের ডিলার হিসেবে পরিচিত শীর্ষ মাদক বিক্রেতাদের অধিকাংশেই গা ঢাকা দিয়েছে। আবার কেউ কেউ আদালতে আত্মসমর্পণ করে কারাগারে ঠাঁই নিয়েছেন। তবে পুলিশ বলছে, মাদকবিরোধী অভিযানে তালিকাভুক্ত মাদক বিক্রেতা ও গডফাদারদের ধরতে মাঠে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকায় যশোরের ৩০৩ জন মাদক বিক্রেতা ও গডফাদারের নাম রয়েছে। ওই তালিকা অনুযায়ী আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মাদকবিরোধী অভিযানে তৎপর রয়েছে। তালিকায় সবচেয়ে বেশি মাদক বিক্রেতা ও গডফাদার রয়েছে কোতোয়ালি থানার ৯৬ জন। সবচেয়ে কম বাঘারপাড়ায় একজন। এছাড়াও বেনাপোলে ১৬ জন, কেশবপুরে ২৭ জন, চৌগাছায় ২১ জন, শার্শায় ৩৮ জন, ঝিকরগাছায় ২১ জন, মণিরামপুরে ৫০ জন ও অভয়নগরে ৩৩ জনের নাম রয়েছে।  সর্বশেষ এক সপ্তাহে যশোরে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ সাতজন মাদক বিক্রেতা নিহত হয়েছেন। সর্বশেষ সাতদিনে পুলিশ ৭৩ জনকে আটক ও সাতজন মাদক বিক্রেতা নিহত হলেও ২০১৭ সালের ২৪মে জেলা পুলিশ পুরস্কার ঘোষিত শীর্ষ ১৪ মাদক বিক্রেতা ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছেন। তারা হলেন, যশোর শহরের চাঁচড় রায়পাড়া এলাকার মৃত ওলিয়ার রহমানের মেয়ে বেবি খাতুন, একই এলাকার মোহাম্মদ আলীর স্ত্রী রুমা বেগম, শংকরপুর এলাকার মৃত পিয়ারু কাজীর ছেলে তারেক কাজী, চৌগাছার বড় কাবিলপুর গ্রামের সোনাই মন্ডলের ছেলে শফি মেম্বার, অভয়নগর উপজেলার গুয়াখোলা গ্রামের আবদুল গণির ছেলে কামরুল ও বুইকারা গ্রামের মৃত হাশেম আলীর মেয়ে লিপি বেগম, বেনাপোল পোর্ট থানার ভবের বেড় গ্রামের কলুপাড়া এলাকার মৃত হোসেন আলীর ছেলে রবিউল ইসলাম, বারোপোতা গ্রামের মোনতাজ আলীর ছেলে রিয়াজুল ইসলাম। চৌগাছার ফুলসারা গ্রামের মৃত আবদুল হকের ছেলে আশরাফুল আলম, শার্শার কোটা পশ্চিমপাড়ার শের আলী দফাদারের ছেলে আনোয়ার হোসেন আনা, চৌগাছার বড়কাবিলপুর গ্রামের মৃত রিয়াজ উদ্দিন মন্ডলের ছেলে ইসরাইল হোসেন নুনু, শার্শার কাশিপুর-গোপীনাথপুর গ্রামের মৃত জয়নালের ছেলে আশাদুল ইসলাম আশা, বেনাপোল পোর্টথানার নারায়ণপুর গ্রামের মৃত কেরামত মল্লিকের ছেলে বাদশা মল্লিক ও রঘুনাথপুর গ্রামের গোলাম মোস্তফার ছেলে জাহাঙ্গীর। অভিযান শুরুর পর শীর্ষ মাদক চোরাকারবারিদের অনেকে গা ঢাকা দিয়েছেন। আবার কেউ কেউ আদালত আত্মসমর্পণ করে কারাগারে ঠাঁই নিয়েছেন বলেও জানা গেছে।

যশোর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সালাউদ্দিন শিকদার বলেন, যারা বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন, তারা সবাই মাদক বিক্রেতা। তাদের বিরুদ্ধে মাদক, চোরাচালান ও অস্ত্র মামলা আছে। তালিকাভুক্ত মাদক বিক্রেতাদের  ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। অধিকাংশ মাদক বিক্রেতা গা ঢাকা দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

পোস্টটি আপনার স্যোশাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© All rights reserved © জীবন নিউজ ২৪ ডট কম
Theme Customized BY LatestNews