পৃথিবীর সব মানুষই আলাদা বৃদ্ধিমত্তার অধিকারী। তবে যার যতটুকু বুদ্ধি, তার সম্পূর্ণ ব্যবহার করেই জীবনে সফল হতে পারেন। আপনিও কি নিজের বুদ্ধি সঠিকভাবে ব্যবহার করে আরও দক্ষ হয়ে উঠতে চান? তাহলে আপনার ইন্টেলিজেন্স কোশেন্ট (আইকিউ) বাড়াতে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য টেলিগ্রাফে প্রকাশিত নিচের টিপস অনুসরণ করুন-
১. তুলসি
মস্তিষ্কের ক্ষমতা বাড়াতে তুলসির কোনো বিকল্প নেই বললেই চলে। তুলসি পাতা খাওয়া মাত্র মস্তিষ্কের ভেতরে অক্সিজেন সমৃদ্ধ রক্তের প্রবাহ বেড়ে যায়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই কগনিটিভ ফাংশনের উন্নতি ঘটতে সময় লাগে না।
২. অশ্বগন্ধা
ব্রেনের কর্মক্ষমতা বাড়াতে এই প্রকৃতিক উপাদানটি অনেক কার্যকর। আসলে অশ্বগন্ধার শরীরে উপস্থিত একাধিক উপাকারি উপাদান ব্রেন সেলের কর্মক্ষমতাকে বাড়িয়ে দেয়। ফলে স্মৃতিশক্তি যেমন বৃদ্ধি পায়, তেমনি বুদ্ধির ধারও বাড়ে। শুধু তাই নয়, মস্তিষ্কজনিত বিভিন্ন জটিল রোগ প্রতিরোধ করে অশ্বগন্ধা।
৩. জায়ফল
বিরিয়ানিতে ব্যবহৃত এই মশলাটি মস্তিষ্কের ধারণ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। গবেষণায় দেখা গেছে মস্তিষ্কের সেল সুস্থ রাখতেও জায়ফল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
৪. হলুদ
এই মশলায় এমন কিছু উপাদান রয়েছে যা মস্তিষ্কের ক্ষমতা বৃদ্ধিতে কাজে আসে। সেই সঙ্গে মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতারও বৃদ্ধি ঘটায়।
৫. রোজমেরি
প্রাচীনকাল থেকে নানা ধরনের রোগ নিরাময়ে আয়ুর্বেদিক ওষুধি হিসেবে রোজমেরি ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এটি মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যরক্ষা করে, ফলে কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। সেই সঙ্গে বাড়ে মস্তিষ্কের ক্ষমতাও।
৬. লবঙ্গ
স্ট্রেস কিংবা মানসিক চাপ কমাতে এটি দারুন কাজে আসে। শুধু তাই নয় সার্বিকভাবে মস্তিষ্কের উন্নতি ঘটিয়ে বুদ্ধি এবং স্মৃতিশক্তির বৃদ্ধির ঘটায়।
৭. দারচিনি
শরীর সুস্থ রাখতে এই মশলা বেশ কার্যকর। শুধু তাই নয় মস্তিষ্কের ক্ষমতা বাড়াতেও দারচিনি বেশ কাজে আসে। গবেষণায় দেখা গেছে প্রতিদিন এই মশলাটি খেলে নানা রকমের জটিল নিউরোলজিকাল সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা কমে যায়। সেই সঙ্গে নার্ভাস সিস্টেমকে প্রয়োজনীয় পুষ্টি প্রদান করে মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বাড়ায়।
৮. ক্যামোমিল
একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে মস্তিষ্ককে গতিশীল করে কর্মক্ষমতা বাড়াতে এটি বেশ কাজে আসে। প্রতিদিন কয়েক কাপ ক্যামোমিল পান করলে মনোযোগ যেমন বাড়ে, তেমনি বুদ্ধি এবং স্মৃতিশক্তিরও উন্নতি ঘটে।