মোঃ আশিকুর রহমান, সাতক্ষীরা প্রতিনিধি ঃ সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ থেকে এক মাদক ব্যবসায়ীর (৪৫) গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ সময় সেখান থেকে উদ্ধার করা হয়েছে এক বস্তা ফেনসিডিল, একটি রিভলবার ও ৫ রাউন্ড গুলি। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার ভাড়াশিমলা ইউনিয়নের চৌবাড়িয়া এলাকা থেকে উক্ত গুলিবিদ্ধ লাশটি উদ্ধার করা হয়।
নিহতের নাম আব্দুল আজিজ (৪৫)। তিনি সাতক্ষীরা সদর উপজেলার পরানদহ গ্রামের মৃত কেরামত আলির ছেলে।
ভাড়াশিমলা ইউপি সদস্য পিয়ার আলী জানান, ভোরে চৌবাড়িয়া গ্রাামের সিদ্ধেরপুকুর নামকস্থানে পাকা রাস্তার পাশে গুলিবিদ্ধ এক ব্যক্তিকে মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা তাকে খবর দেয়। বিষয়টি তিনি কালিগঞ্জ থানায় জানালে সকাল সাতটার দিকে কালিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাসান হাফিজুর রহমান, ওসি তদন্ত রাজীব হোসেন ও উপ-পরিদর্শক আলমগীর হোসেন ঘটনাস্থলে এসে লাশটি উদ্ধার করেন। লাশের চোয়ালে ও গলায় দু’টি গুলির চিহ্ন রয়েছে। লাশের পাশ থেকে একটি দেশী তৈরি পিস্তল, পাঁচ রাউন্ড গুলি ও একটি পলিথিনের বস্তায় থাকা ৪৮ বোতল ভারতীয় ফেনসিডিল উদ্ধার করে পুলিশ।
কালিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান হাফিজুর রহমান গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, সকালে স্থানীয়দের দেয়া খবরের ভিত্তিতে চৌবাড়িয়া এলাকা থেকে গুলিবিদ্ধ অজ্ঞাত এক মাদকব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। তিনি আরও জানান, চৌবাড়িয়া-খানজিয়া সীমান্ত এলাকাটি চোরাচালান রুট হিসেবে পরিচিত। ধারণা করা হচ্ছে কোন মাদক ব্যবসায়ী গ্রæপ নিজেদের মধ্যে অভ্যন্তরীণ কোন্দলে জড়িয়ে তাকে হত্যা করেছে। এ বিষয়ে আরও অধিকতর তদন্ত করে বিস্তারিত বলা যাবে।
সাতক্ষীরায় আপন মামা কর্তৃক সম্পত্তি দখলের জন্য মারপিট ভাংচুর মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানির অভিযোগ
মোঃ আশিকুর রহমান, সাতক্ষীরা প্রতিনিধি ঃ আপন মামা কর্তৃক অবৈধভাবে সম্পত্তি দখলের জন্য মারপিট, ভাংচুর ও মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানির অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভাগ্নে। বুধবার দুুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক জনাকীর্ণ সংবাদ সম্মেলনে পুরাতন সাতক্ষীরা এলাকার মৃত নবিস উদ্দীন সরদারের ছেলে আনোয়ার হোসেন এ অভিযোগ করেন। লিখিত বক্তব্য তিনি বলেন, আমার নানা মৃত উজির আলী মন্ডলের মৌজা সাতক্ষীরাধীন ডিপি-১৯৬৮খতিয়ান, হাল দাগ- ৮১৮৯, ৮২০৩, ৮২০৪, ৮২০৫, ৮২০৬, ৮২০৭, ৮৬৬৫ ও ৮৫১৩ দাগে মোট ১ একর ৮৯ শতক সম্পত্তি থেকে ৩৬ শতক সম্পত্তি ওয়ারেশ সূত্রে আমার মাতা সাজেদা খাতুন, খালাদ্বয় মাজেদা খাতুন ও মরিয়ম খাতুন। আমার মা এবং খালারা বেচেঁ থাকাকালীন সময়ে তাদের সাথে মামা রবিউল ইসলামের সু সম্পর্ক বজায় ছিলো। কিন্তু মা এবং খালাদের মৃত্যুর পর মামা রবিউল ইসলাম ওই ৩৬ শতক সম্পত্তি নিজ দখলে নেওয়ার পায়তারা শুরু করেন। কিন্তু অর্থলোভী রবিউল ওই সম্পত্তি অবৈধভাবে দখল করার পায়তারা করেন। এবিষয়ে সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব নজরুল ইসলাম, পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি মোহাম্মদ আবু সায়ীদ, ৩নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শেখ আব্দুস সেলিম ও পৌর যুগ্ম সম্পাদক রাশিদুজ্জামান শালিস মিমাংসাও করে দেন। সে অনুযায়ী রবিউল উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া ৩৬ শতক জমি বুঝিয়ে দেন। এরপর আমরা ঘেরাবেড়া দেই এবং টিন সেডের ঘর নির্মান করি। জমি বুঝিয়ে দেওয়ার ২০ দিন পর ২০/৫/২০১৮ তারিখে তারা ওই শালিস না মেনে পুনরায় জমি দখলের চেষ্টা করে। পরে সদর থানার এস আই হাসান পরির্দশনে গিয়ে উভয় পক্ষকে স্ব স্ব অবস্থানে থাকার নির্দেশ দেন। তিনি ঘটনাস্থল থেকে চলে আসর পর দুপুর ১টার দিকে রবিউল ইসলামের নেতৃত্বে ঘুড্ডের ডাঙ্গী গ্রামের মৃত ইমান আলীর ছেলে ইবাদুল, রেজাউল, ঘোষপাড়ার জবেদ আলীর স্ত্রী তাহেরুন নেছা, আলিপুর গ্রামের মৃত. ছলেমান ঢালির ছেলে মফিজুল ইসলাম ও তার স্ত্রী রুবাইয়া সুলতানা, ঘুড্ডের ডাঙ্গী গ্রামের রবিউল ইসলামের স্ত্রী হোসনেয়ারা, ইমান আলীর স্ত্রী জাহেদাসহ ১০/১২ জন ব্যক্তি ২০ মে’১৮ একত্রিত হয়ে দেশীয় অস্ত্র শস্ত্র নিয়ে অবৈধ ভাবে আমার ঘুড্ডেডাঙ্গীস্থ সম্পত্তিতে প্রবেশ করে টিন সেডের ঘরটি ভাংচুর করে। এসময় আমরা বাধা দিলে তারা আমাকে ভাই মনিরুজ্জামান ও খালাতো বোনকে বেধড়ক মারপিট করতে থাকে। এতে আমি, ভাই মনিরুজ্জামান ও খালাতো বোন গুরুত্বর আহত হই। এসময় তারা প্রায় ২ লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুটপাট করে নিয়ে যায়। আমাদের ডাক চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে এসে আহতদের উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। রবিউল ও ভাড়াটিয়া লোকজন হাসপাতালে গিয়েও আহতদের চিকিৎসা সেবা নিতে বাধাসৃষ্টি করছে। এদিকে রবিউল আমাদের মারপিট করে উল্টো আমার ভগ্নিপতি জয়নুর রহমানকে প্রধান আসামী করে ৯ জনের নামে থানায় মিথ্যা অভিযোগসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দায়ের করেছেন। অথচ ঘটনার সময় ভগ্নিপতি সেখানে ছিল না। তিনি অবিলম্বে মা খালাদের পৈত্রিক সম্পত্তি উদ্ধারের দাবিতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
আইনপ্রয়োগকারি সংস্থার সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে ওই মাদক ব্যবসায়ির মৃত্যু হতে পারে বলে ধারনা করা হচ্ছে।
এদিকে, নিহত আব্দুল আজিজের দুলাভাই মুকুল হোসেন সেল ফোনে জানান, বুধবার সন্ধ্যায় ইফতারির পর পরই পুলিশ পরিচয়ে আইনশৃখংলা বাহিনীর সদস্যরা তাকে তার বাড়ি থেকে আটক করে নিয়ে যায়। এরপর বৃহস্পতিবার সকালে তার গুলিবিদ্ধ লাশ পাওয়া যায় কালিগঞ্জের চৌবাড়িয়া এলাকায়।