কাতার রাশিয়া থেকে অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এস-৪০০ কিনলে সৌদি বাদশা দোহারের বিরুদ্ধে যে সামরিক পদক্ষেপ নেবেন বলে হুমকি দিয়েছেন তা প্রত্যাখ্যান করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন আব্দুল রহমান আল থানি। খবর আল জাজিরার।
তিনি বলেছেন, কাতারের অস্ত্র কেনার সিদ্ধান্ত সার্বভৌমত্বের সঙ্গে জড়িত।
হুমকি সম্পর্কে সোমবার কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন আব্দুল রহমান আল থানি বলেছেন, আন্তর্জাতিক আইন এবং সব ধরনের আন্তর্জাতিক নিয়মনীতির লঙ্ঘন।
আল জাজিরাকে আল থানি বলেছেন, ‘যেকোনো ধরনের সামরিক সরঞ্জাম কেনা একটি স্বাধীন, সার্বভৌম দেশের সিদ্ধান্ত। অন্য কোনো দেশ এই ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করতে পারে না।’
শুক্রবার ফ্রান্সের দৈনিক লা মন্ড পত্রিকা জানিয়েছে, রাশিয়ার কাছ থেকে অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ‘এস-৪০০’ কেনার জন্য কাতার যে আলোচনা চালাচ্ছে চিঠিতে সে ব্যাপারে ‘গভীর উদ্বেগ’ প্রকাশ করেন সৌদি বাদশা। প্রেসিডেন্ট ম্যাকরনকে লেখা চিঠিতে বাদশা সালমান বলেন, দোহা ‘এস-৪০০’ কিনলে মধ্যপ্রাচ্যে রিয়াদের নিরাপত্তাগত স্বার্থ বিপন্ন হবে।
কাজেই কাতার যাতে এ ব্যবস্থা ক্রয় না করে সেজন্য দেশটির ওপর চাপ সৃষ্টি করতে ফরাসি প্রেসিডেন্টকে অনুরোধ জানিয়েছেন বাদশা সালমান।
চিঠিতে সৌদি বাদশা লিখেছেন, ‘কাতার এস-৪০০ কিনলে সৌদি আরব ওই ব্যবস্থা ধ্বংস করার জন্য সামরিক ব্যবস্থাসহ সব ধরনের ব্যবস্থা নেয়ার জন্য প্রস্তুত থাকবে।’
কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আল থানি সৌদি বাদশার এই চিঠি সম্পর্কে বলেছেন, ‘কোনো পদক্ষেপ নেয়ার জন্য এই চিঠির আইনগত কোনো ভিত্তি নেই।’
তিনি বলেছেন, ‘এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক যে তারা এটাকে অস্থিতিশীল আচরণ হিসেবে দেখছে। কাতার সৌদির জন্য হুমকি নয়।’
এই ধরনের হুমকি উপসাগরীয় দেশগুলোর জোট গালফ কো-অপোরেশন কাউন্সিলের (জিসিসি) সনদের লঙ্ঘন। সনদ অনুযায়ী, এই সংগঠনের কোনো সদস্য দেশ একে অপরের বিরুদ্ধে হামলা চালাতে পারে না বলে তিনি জানান।
আল থানি বলেন, বর্তমানে কাতার ফরাসি সরকারের কাছ থেকে হুমকির বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করার চেষ্টা করছে।