
অনলাইন ডেস্ক: বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেছেন, (অন্তর্বর্তী সরকারের) নিরপেক্ষতার পরীক্ষায় ফেল করার সুযোগ নেই। প্রজ্ঞা ও দূরদর্শিতা নিয়ে বিদ্যমান সংকট উত্তরণে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে। তীরে এসে তরি ডোবাবেন না।
সাইফুল হক বলেন, এ মুহূর্তে সরকারের একটি ভুল সিদ্ধান্ত বিরাট বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে। তিনি জুলাই সনদ, গণভোট ও ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান। তবে এমন কোনো পদক্ষেপ নেওয়া উচিৎ হবে না, যা টেকসই করা যাবে না।
তিনি বলেন, ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশগুলো কেন্দ্র করে ঐক্যের পরিবর্তে আরও অনৈক্য দেখা দিয়েছে। ভিন্নমতের বিষয়গুলো পুরোপুরি বাদ দিয়ে সুপারিশ করায় কমিশনের বিরুদ্ধে বিশ্বাসঘাতকতা ও প্রতারণার গুরুতর অভিযোগ উত্থাপিত হয়েছে। এটা অনভিপ্রেত, দুঃখজনক ও বিব্রতকর। কমিশনের সুপারিশে জুলাই সনদ বাস্তবায়নে সংবিধান সংশোধনে সরকার যেভাবে সংবিধান সংশোধন আদেশ প্রদানের কথা বলা হয়েছে তাও পুরোপুরি অগ্রহণযোগ্য।
কারণ এই ধরনের কোনও ক্ষমতা, এখতিয়ার বা মান্ডেট অন্তর্রর্তী সরকারের নেই। এই ধরনের উদ্যোগ হবে প্রকারান্তরে সংবিধান অস্বীকারের শামিল।
তাছাড়া সংবিধান সংশোধনের এই ধরনের আদেশ এক ভয়ংকর নজিরও সৃষ্টি করবে। ভবিষ্যতে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনে সংবিধান সংশোধনে এই উদাহরণকে ব্যবহার করার আশঙ্কা থাকবে। এই ধরনের পদক্ষেপ পরোক্ষভাবে বরং কর্তৃত্ববাদী শাসনের রাস্তা খুলে দিতে পারে।
তিনি বলেন, গণভোটের প্রশ্নে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে অধিকাংশ দল ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচনের দিনেই গণভোট অনুষ্ঠানে মতামত দিয়েছিল।
বাস্তবে গণভোটের প্রশ্নে এর অন্যথা হওয়ার সুযোগ নেই। তাছাড়া জাতীয় নির্বাচনের আগে আর একটা নির্বাচন করার সময় ও সামর্থ্য সরকার বা নির্বাচন কমিশনের নেই। আর কোনো কারণে গণভোটে ভোটের হার স্বল্প হলে তা রাজনৈতিক দিক থেকে বিরাট বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে। কমিশনের সুপারিশে ২৭০ দিনের মধ্যে সব ইস্যু সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে সম্পন্ন না হলে যেভাবে স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংবিধানে যুক্ত হয়ে যাওয়ার কথা হয়েছে তা রীতিমতো উদ্ভট ও হাস্যকর। সংবিধান সংশোধন নিয়ে এই ধরনের ছেলেখেলার কোনো অবকাশ নেই।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য বহ্নিশিখা জামালী। উপস্থিত ছিলেন রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য আকবর খান, মীর মোফাজ্জল হোসেন মোশতাক, কেন্দ্রীয় সদস্য সিকদার হারুন মাহমুদ, যোবরান আলী জুয়েল, বাবর চৌধুরী, ঢাকা মহানগর কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন, আরিফুল ইসলাম আরিফ প্রমুখ।